Samakal:
2025-05-01@09:58:29 GMT

রুমমেটের সঙ্গে সম্পর্ক

Published: 4th, February 2025 GMT

রুমমেটের সঙ্গে সম্পর্ক

রুমমেট মানেই শুধু একই রুমে থাকা নয়, বরং এটি জীবন ও সময় ভাগ করে নেওয়ার একটি অভিজ্ঞতা। রুমমেটের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখা কখনও কখনও একটু কঠিন হতে পারে, বিশেষ করে যদি কারও ব্যক্তিত্ব ও অভ্যাস আলাদা রকমের হয়। কিছু সহজ উপায় অনুসরণ করলে রুমমেটের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব। 
১. খোলামেলা যোগাযোগ বজায় রাখা
রুমমেটের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার প্রথম এবং প্রধান শর্ত হচ্ছে সরাসরি যোগাযোগ। আপনাদের মধ্যে যে কোনো সমস্যা বা মতের বিরোধ হলে তা পরস্পরের সঙ্গে শেয়ার করুন। সমস্যা বা ক্ষোভ জমে গেলে তা সম্পর্ক নষ্টের কারণ হতে পারে। সপ্তাহের নির্দিষ্ট কোনো সময়ে মিটিং বা চা-কফির আড্ডায় নিজেদের চাহিদা ও সমস্যাগুলো নিয়ে কথা বলতে পারেন। হালকা মেজাজে কথা বলুন, যাতে তা মনোমালিন্যের কারণ না হয়। খোলামেলা আলোচনা সম্পর্কের গভীরতা বাড়ায়, একই সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পথও সহজ করে। 
২.

গোপনীয়তা ও ব্যক্তিগত স্থানকে সম্মান করা
যার যার গোপনীয়তা রক্ষা করা এবং ব্যক্তিগত স্থানকে সম্মান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রুমমেটের অনুমতি ছাড়া তাদের কোনো ব্যক্তিগত জিনিস ব্যবহার না করা, তাদের ব্যক্তিগত কাজের সময় বাধা না দেওয়া বা বিরক্ত না করা উচিত। যদি দেখেন তারা পড়াশোনা বা গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত, তাহলে শান্ত থাকা ও অহেতুক উচ্চ শব্দ না করা– এগুলো ভদ্রতা ও সুসম্পর্ক গড়ে তুলবে। 
৩. দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নেওয়া
রুম শেয়ার করার মানে দায়িত্বও শেয়ার করা। ঘর পরিষ্কার রাখা, খাবার তৈরি করা, গোছগাছ এবং অন্যান্য কাজ ভাগাভাগি করলে উভয়ের জন্যই জীবন সহজ হয়ে যায়। একটি কাজের তালিকা তৈরি করে সাপ্তাহিক বা মাসিক কাজ ভাগাভাগি করে নিলে কাজ অনেকটাই কমে আসে। যেমন এক সপ্তাহ একজন রান্না করবে, অন্যজন রান্নাঘর পরিষ্কার করবে। নিজের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করলে রুমমেটের সঙ্গে সমস্যা হবে না বরং একসঙ্গে কাজ করতে করতে সম্পর্ক আরও ভালো হয়। একইসঙ্গে এটি পারস্পরিক সম্মানের সম্পর্ক গড়ে তোলে।
৪. অর্থনৈতিক বিষয় বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে পরিচালনা করা 
অর্থনৈতিক বিষয় রুমমেটদের মধ্যে বড় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এ ব্যাপারে শুরু থেকেই সতর্ক থাকা প্রয়োজন। খরচ ভাগাভাগি করার একটি স্পষ্ট হিসাব করে নিন। বিদ্যুৎ বিল, ভাড়া বা ইন্টারনেট বিলের মতো খরচগুলো কীভাবে ভাগ হবে, তা আগে থেকেই ঠিক করে নিন। প্রতি মাসের খরচ ট্র্যাক করুন এবং এ ব্যাপারে হেলাফেলা করবেন না। যদি কোনো মাসে আপনি বেশি খরচ করেন অথবা কম খরচ করেন, তাহলে তা রুমমেটকে জানিয়ে রাখুন। 
৫. নিয়মকানুন মেনে চলা 
একসঙ্গে বসবাস করলে কিছু নির্দিষ্ট নিয়মকানুন তৈরি করা জরুরি। কখন ঘরে অতিথি আনা যাবে, তা নিয়ে আলোচনা করুন। সম্ভব হলে আগে থেকে প্ল্যান করে রাখুন। ঘুমের সময় বা ব্যক্তিগত সময়ের সময়সূচি মেনে চলুন। যদি আপনার রুমমেট সকালে ঘুম থেকে ওঠে আর আপনি রাতে জেগে থাকেন, তাহলে এমনভাবে চলুন যাতে কেউ বিরক্ত না হয়। আলো জ্বালা, শব্দ করা এসব বিষয়ে খেয়াল রাখুন। পার্টি বা বন্ধুবান্ধবের আড্ডা আয়োজন করার আগে রুমমেটের অনুমতি নিন। এ রকম কিছু নিয়মকানুন উভয়ের স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করে এবং অপ্রয়োজনীয় বিরোধ এড়াতে সাহায্য করে।
 ৬. বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব বজায় রাখা
রুমমেটের সঙ্গে শুধু এক রুমে থাকা নয়, বরং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুললে একসঙ্গে থাকা হয়ে ওঠে আরও সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যের। প্রয়োজনের সময় পাশে থাকুন যদি রুমমেটের কোনো সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তাদের সহযোগিতা করুন। মাঝে মধ্যে  রুমমেটের পছন্দের খাবার, ছোট কোনো উপহার এনে দিয়ে বা তাদের বিশেষ দিনগুলো উদযাপন করে তাদের মন ভালো করে দিন। একসঙ্গে সময় কাটাতে পারেন– সিনেমা দেখা, বাইরে খেতে যাওয়া বা একটি ছোট ট্যুর অথবা পিকনিকের পরিকল্পনা করতে পারেন। পরস্পরের সঙ্গে ভালো স্মৃতি এভাবেই গড়ে ওঠে। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক শুধু দৈনন্দিন জীবনকে মধুর করে তোলে না, বরং একসঙ্গে থাকার একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি করে। v

তথ্যসূত্র: টাইমস ইন্ডিয়া, নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি ব্লগ। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: একসঙ গ র সময সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা চেয়ারম্যানের

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ সংস্থাটির সবাইকে একত্রিত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে এক সভায় তিনি এ অনুরোধ জানান।

আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনের মাল্টিপারপাস হলে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিএসইসির কমিশনার মোহসিন চৌধুরী, আলী আকবর, ফারজানা লালারুখসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। বিএসইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সভায় বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, দেশের পুঁজিবাজার ও অর্থনীতিসহ জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় এই সংস্থার সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে পরিপূর্ণ দায়িত্বশীল হয়ে ও শৃঙ্খলার সঙ্গে কাজ করতে হবে। সভায় কর্মকর্তাদের দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সংস্কারের জন্য কাজ করার নির্দেশনা দেন তিনি।

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, সবাই একসঙ্গে কাজ করলে বিএসইসির কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে। গুরুত্বপূর্ণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সংস্কারের জন্য কাজ করার নির্দেশনা দেন তিনি।

বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনাররা আগের সব ভুলভ্রান্তি ভুলে গিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি কমিশনের বিভিন্ন সমস্যার সুরাহা করার বিষয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আশ্বাস দেন তাঁরা।

বিএসইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কমিশনের সঙ্গে পূর্ণ উদ্যম ও শৃঙ্খলা বজায় রেখে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সন্তানদের টানে বিচ্ছেদ থেকে বন্ধন, আদালত চত্বরে আবার বিয়ে
  • ভারত-পাকিস্তানকে একসঙ্গে কাজ করতে বললো যুক্তরাষ্ট্র
  • ‘আগে সাকিব ভাই করতেন, এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি’
  • বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা চেয়ারম্যানের
  • নোবিপ্রবির পুকুরে ছাত্র-ছাত্রীদের গোসলের ছবি ভাইরাল, ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন