পাকা চুল কালো করার ঘরোয়া উপায় জেনে নিন
Published: 4th, July 2025 GMT
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রথমে চুল ধূসর হয় তারপর পাকতে শুরু করে। অনেক সময় কম বয়সীদের চুলও পেকে যায়। চুল পেকে যাওয়া রোধে রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করতে পারেন। কোন উপাদান চুলে কীভাবে ব্যবহার করবেন জেনে নিন।
আমলকি প্যাক
আমলকিতে রয়েছে ভিটামিন সি। এই ভিটামিন চুলের জন্য উপকারী। চুলের গোড়া শক্তিশালী করে তুলতেও আমলকির গুরুত্ব অপরিসীম। চুলের কালো রং বজায় রাখতে ব্যবহার করতে পারেন আমলকির প্য়াক। আমলকির গুঁড়ো এবং কারিপাতা বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে মাথায় মাখুন। ৩০ মিনিট মতো রেখে ধুয়ে ফেলুন। চুল কালো হবে।
তুলসি হেয়ার প্যাক
তুলসি পাতাও চুলের জন্য দারুণ উপকারী। এই পাতাতেও রয়েছে ভিটামিন সি। চুল কালো করতে তুলসি বেশ কার্যকরী। চা পাতার সঙ্গে তুলসি পাতা একসঙ্গে মিক্সিতে বেটে পেস্ট করে নিন। এই পেস্ট চুলের ধূসর অংশে লাগান। কালো ভাব ফিরে আসবে।
আরো পড়ুন:
চার ধাপে বানান আম-নারকেলের পুডিং
লিভার থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দিতে পারে যেসব খাবার
হেনা হেয়ার প্যাক
হেনা প্রাকৃতিক রং। কোনও কেমিক্যাল থাকে না। সাদা রঙের চুল ঢাকতে হেনা দারুণ উপকারী। অনেকেই হেনা দিয়ে নানা হেয়ারপ্যাক তৈরি করেন। তবে চুল কালার করার জন্য হেনার সঙ্গে মেশান কফি। এক টেবিল চামত কফির গুঁড়ো খানিকক্ষণ জলে ফুটিয়ে তাতে হেনা পাউডার মিশিয়ে ঘন পেস্ট করে নিন। চুলের গোড়ায় ভালো করে মেখে নিন। কিছুক্ষণ রেখে শ্যাম্পু করে নিন। মাসে দু'বার করলেই চুল কালো এবং সিল্কি থাকবে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল
একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদা আক্তারের ছয় সন্তানের মধ্যে পাঁচজনই মারা গেল। গতকাল রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জন্ম নেওয়ার পরপরই একটি শিশু মারা যায়। আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে আরও চার নবজাতকের মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কর্মকর্তা মো. ফারুক প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের মোকসেদা আক্তার রোববার সকালে একসঙ্গে এই ছয় সন্তানের জন্ম দেন। তাঁর স্বামী মো. হানিফ কাতারপ্রবাসী। মোকসেদা আক্তারের ননদ লিপি বেগম আজ প্রথম আলোকে বলেন, বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকের অবস্থাও বেশি ভালো নয়।
ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মোকসেদা তিন ছেলে ও তিন মেয়েসন্তান প্রসব করেন। সন্তানেরা ২৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই জন্ম নেয়। জন্মের সময় প্রত্যেকের ওজন ছিল ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রামে মধ্যে। এ কারণে তাদের সবার অবস্থাই ছিল সংকটজনক।
আরও পড়ুনঢাকা মেডিকেলে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম, নবজাতকদের অবস্থা সংকটাপন্ন২২ ঘণ্টা আগেঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে আইসিইউতে পর্যাপ্ত শয্যা খালি না থাকায় তিনজনকে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকটি বেসরকারি হাসপাতালে আছে।