যুক্তরাজ্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক ভোট দেখতে চায় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।

সোমবার (১০ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানান তিনি। এ সময় সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

সারাহ কুক বলেছেন, “আমরা আলোচনার জন্য এসেছিলাম। জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জেনেছি। আগামী সংসদ নির্বাচনে আমরা নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করতে আগ্রহী। আমরা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক ভোট চাই।”

তিনি বলেন, “ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে সিইসি ও তার টিমের সঙ্গে। এই মুহূর্তে এখানে তার টিমের সঙ্গে কাজ করাটা একটা সুযোগ।”

আজ আর কোনো প্রশ্ন নয় বলে সাংবাদিকদের অন্যান্য প্রশ্ন এড়িয়ে যান সারাহ কুক। সারাহ কুকের সঙ্গে ছিলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনের রাজনৈতিক ও শাসনব্যবস্থা দলের প্রধান টিমোথি ডাকেট।

আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের টার্গেট নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে বিদেশি রাষ্ট্র ও সংস্থাগুলো সহায়তার জন্য এগিয়ে আসতে শুরু করেছে। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) এরইমধ্যে ভোটের উপকরণ দিয়ে সহায়তা করেছে।

ঢাকা/হাসান/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে আরো অস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা ট্রাম্পের

ইউক্রেনের ওপর লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। এই নিয়ে কয়েকদিন আগেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এবার তিনি ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন। 

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনে রাশিয়ার ব্যাপক আক্রমণের প্রেক্ষিতে দেশটিকে আত্মরক্ষার সুযোগ দিতে নতুন করে অস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি হোয়াইট হাউজে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের জানান, “আমরা আরো কিছু অস্ত্র পাঠাতে যাচ্ছি। আমাদের এটা করতেই হবে। ইউক্রেনকে আত্মরক্ষার সুযোগ দিতে হবে।”

কী কারণে এই সিদ্ধান্ত তাও জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “রাশিয়া এখন প্রচণ্ডভাবে ইউক্রেনকে আঘাত করছে। সেখানে এর ফলে অনেক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। এই অবস্থায় আমরা ইউক্রেনে আরো কিছু অস্ত্র পাঠাতে চলেছি। এতে তারা নিজেদেরকে রক্ষা করতে সক্ষম হবে।”

আরো পড়ুন:

মার্কিন অস্ত্র সহায়তা স্থগিতে রুশ হামলা জোরদারের শঙ্কায় ইউক্রেন

ইউক্রেনের লুহানস্ক পুরোপুরি দখলে নেওয়ার দাবি রাশিয়ার

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই হোয়াইট হাউজ ইউক্রেনে গুরুত্বপূর্ণ কিছু মার্কিন অস্ত্রের চালান স্থগিত করার ঘোষণা দেওয়ার পর, ইউক্রেনের পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল। তারা বলেছিল, অস্ত্র সরবরাহ কমলে রাশিয়ার আকাশ ও স্থল হামলা প্রতিহত করা কঠিন হবে। এই বিষয়টি নিয়ে মার্কিন রাজনীতিতেও সমালোচনা হয়েছে।

সোমবার (৭ জুলাই) সেই হোয়াইট হাউজেই সাংবাদিকদের ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানোর কথা জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, “ইউক্রেনে আমাদের আরো অস্ত্র পাঠাতে হবে। প্রাথমিকভাবে প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র পাঠানো হবে।” তবে কী ধরনের অস্ত্র পাঠানো হবে তা জানাননি তিনি।

এর আগে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, যেভাবে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালাচ্ছে তাতে তিনি ‘অসন্তুষ্ট’।

তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের জন্য একাধিকবার পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন ট্রাম্প। বৃহস্পতিবারও তাদের দুজনের মধ্যে ফোনে কথা হয়। তবে আলোচনা যে ফলপ্রসূ হয়নি তাও জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প বলেন, “পরিস্থিতি খুবই কঠিন। রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপে আমি খুবই অসন্তুষ্ট। তিনি কেবল মানুষ হত্যা চালিয়ে যেতে চাইছেন। তা কখনই ভালো বিষয় নয়।”

সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অধীনে, ওয়াশিংটন ইউক্রেনকে ৬৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সামরিক সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। কিন্তু ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে ইউক্রেনের জন্য সহায়তার বিষয়ে সন্দিহান এবং তিনি প্রতিশ্রুতি অনুসরণ করেননি। এই বছরের জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে কিয়েভের জন্য কোনো নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেননি।

রাশিয়া গত কয়েক দিনে ইউক্রেনের একাধিক শহরে বড় আকারে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার দাবিও জানান তিনি।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ