টি-টোয়েন্টি খেলাটাই এমন। এই মৌসুমে অপরাজেয় তো পরের মৌসুমে অসহায়। আর যদি আইপিএল হয়, তাহলে উপরের তত্ব তো শতভাগ সঠিক। এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগটির প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন ছিল রাজস্থান র‍্যায়েলস আর টেবিলের শেষ দুই দল ছিল র‍্যায়াল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও ডেকেন চার্জার্স হায়দরাবাদ। দ্বিতীয় মৌসুমে ফাইনাল খেলল আগেরবারের তলানির দুই দল, আর সবচেয়ে হতশ্রী খেলে টেবিলে সবার নিচে ছিল রাজস্থান! নেই মৌসুমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ আবারও সেই তত্বের সত্যতা দিল।

গত মৌসুমের সবচেয়ে ‘এন্টারটেইনিং ক্রিকেট’ খেলা ও রানার্সআপ হায়দরাবাদ এবার ৪ ম্যাচ বাকি থাতেই প্লে’অফ থেকে বাদ পড়ার দ্বারপ্রান্তে। গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে শুক্রবার (২ মে) রাতে ৩৮ রানে হারে প্যাট কামিন্সের হায়দরাবাদ। তারা প্লে’অফের দৌড়ে কাজে-কলমে এখনো টিকে থাকলেও কার্যত বাদ পড়ে গিয়েছে।

শুক্রবার ঘরের মাঠ নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে শুবমান গিল আর জস বাটলারের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৬ উইকেটে ২২৪ রানের বিশাল স্কোর দাঁড় করায় গুজরাট। জবাবে ৬ উইকেটে ১৮৬ রান তুলতে পারে হায়দরাবাদ। ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট রান হয়েছে ৪১০। যা আইপিএলের ইতিহাসে এই দুই দলের মধ্যকার কোনো ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।

আরো পড়ুন:

সুরিয়াবানশি দেখে ফেললেন ক্রিকেট বাস্তবতা

আইপিএলে ম্যাক্সওয়েল অধ্যায়ের ইতি, সুযোগ পাচ্ছেন নতুন মুখ

এই জয়ে ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে গুজরাট। অন্যদিকে সমান ম্যাচে হায়দরাবাদের পয়েন্ট মাত্র ৬। কামিন্সের দলের অবস্থান নিচের দিক থেকে দুই নম্বরে।

টস হেরে ব্যাট করতে নামা গুজরাটের উদ্বোধনী জুটিতে ৮৭ রান তোলেন দুই ওপেনার শুবমান গিল ও সাই সুদর্শন। ফিফটি থেকে মাত্র ২ রান দূরে থাকতে আউট হন সুদর্শন (৪৩ বলে ৪৮)। পার্টনার হতাশ হয়ে ফিরলেও গিল ঠিকই ফিফটি তুলে নেন। ৩৮ বলে ১০ চার ২ ছক্কায় ৭৬ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন। অপ্রত্যাশিত রানআউটের শিকার হন তিনি। ডানহাতি এই ব্যাটারের ফেরায় গুজরাটের দ্বিতীয় উইকেটে ৬২ রানের জুটি ভাঙে।

ইনিংসের মাঝের ওভারগুলোতে ঝড় তোলেন জস বাটলার। ৩৭ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৬৪ রানের মারকুটে ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন তিনি। দলের স্কোর ২০০ পেরিয়ে গেলে ১৯তম ওভারে আউট হন এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান। জয়দেব উনাদকাতের করা শেষ ওভারে ৩ উইকেট হারায় তারা, এরপরও আসে বিনিময়ে ১২ রান। গুজরাটের দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ২২৪ রান।

রান তাড়ায় নেমে শুরুতে ব্যর্থ হায়দরাবাদের ওপেনার ট্রাভিস হেড। ১৬ বলে ২০ রান করে প্রসিধ কৃষ্ণার বলে রশিদ খানের হাতে ক্যাচ হন হেড। এরপর হায়দরাবাদকে আশার আলো দেখান অভিষেক ও অভিষেক শর্মা। ৪১ বলে ৭৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন। যদিও সেটি হায়দরাবাদের কোনো কাজে আসেনি।

অভিষেক আউট হওয়ার পর নিচের দিকে আর কেউ লড়াই করতে পারেননি। সর্বোচ্চ ২৩ রান (১৮) করেন হেনরিখ ক্লাসেন। নিতিশ কুমার রেড্ডি অপরাজিত থাকেন ২১ রানে। বাকিদের কেউ ২০ রানের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি। গুজরাটের হয়ে ২টি করে উইকেট দখল করেন মোহাম্মদ সিরাজ ও প্রসিধ কৃষ্ণা।

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ য়দর ব দ উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

হস্তক্ষেপ নয়, পর্যবেক্ষণ ও সহযোগিতায় বিশ্বাসী টিম ডিরেক্টর রাজ্জা

সংবাদ সম্মেলন তখন শেষ। আব্দুর রাজ্জাককে মনে করিয়ে দেওয়া হলো, ‘‘বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর কিন্তু টসেও ইনপুট দিতেন। আপনি কি…?’’ রাজ্জাক মুখে হাসি আটকে রাখেন। এই পদে আসন্ন আয়ারল‌্যান্ড সিরিজে দায়িত্ব পাওয়া রাজ্জাক স্রেফ এতোটুকুই বলতে পারেন, ‘‘আমাদের থেকে এমন কিছু কখনোই দেখতে পারবেন না। আমরা নতুন কিছু নিয়ে ভাববো।’’ 

জাতীয় দলকে নিয়ে সেই ভাবনা থেকেই ‍আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বোর্ড একজনকে টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের জাতীয় পুরুষ দলের ব‌্যর্থতার কারণে আলোচনা হচ্ছিল, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ওপরে একটি ছায়া বিভাগ থাকবে যারা সরাসরি জাতীয় দল পর্যবেক্ষণ করবে।

সেই ছায়া বিভাগে সাবেক ক্রিকেটাররাই থাকবেন। প্রথম টিম ডিরেক্টর হিসেবে রাজ্জাক পেলেন দায়িত্ব। কেন টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব হলো সেই প্রশ্ন করা হয় তাকে। নাজমুল হাসান বোর্ড সভাপতির দায়িত্বে থাকার সময় টিম ডিরেক্টর পদটি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। সাবেক অধিনায়ক ও বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ এই দায়িত্ব পালন করেছেন বিশ্বকাপসহ বেশ কয়েকটি সিরিজে। দলের সঙ্গে গভীরভাবে মিশে যেতেন তিনি। টস থেকে শুরু করে টিম মিটিংয়ে দিতেন ইনপুট। যা নিয়ে পরবর্তীতে অভিযোগ করেছিলেন কোচ ও অধিনায়ক।

তবে রাজ্জাক নিজের কাজ, পরিধি এবং দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন বলেই নিশ্চিত করলেন,"অন্যান্য যে কোনো টিম ডিরেক্টরের মতোই হবে আমার কাজ। আমি সব কিছু পর্যবেক্ষণ করব, সব কিছুতে নজর রাখব। আর কখনও যদি টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে আমার কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন, তাহলে সেটিও দেওয়ার চেষ্টা করব। তাদের সাহায্য প্রয়োজন হলে আমি করব।"

"ক্রিকেট বোর্ডের মনে হয়েছে, দলের সঙ্গে একজন টিম ডিরেক্টর থাকলে ভালো হবে। এই পদটি কিন্তু আগেও ছিল। অনেক দিন ধরেই ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে বোর্ড পরিচালকের সংখ্যা কম থাকায় হয়তো দলের সঙ্গে কেউ যায়নি। তবে এর আগে প্রায় সিরিজেই দলের সঙ্গে টিম ডিরেক্টর থাকত।" - যোগ করেন তিনি।

ঢাকা/ইয়াসিন 

সম্পর্কিত নিবন্ধ