দেখতে দেখতে প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৮তম আসর। গত ২২ মার্চ কলকাতা নাইট রাইডার্স-রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়েছিল এবারের আইপিএল, যার ফাইনাল হবে এ মাসের ২৫ তারিখ। তবে সেই ফাইনালে যাওয়ার আগে পেরোতে হবে কোয়ালিফায়ার ও এলিমিনিটের বাধা। যার জন্য সবার আগে দলগুলোকে শীর্ষ চার দলের মধ্যে থেকে প্লে-অফে খেলা নিশ্চিত করতে হবে।
এরই মধ্যে আইপিএলের দলগুলো ১০ বা ১১টি করে ম্যাচ খেলে ফেলেছে। ফলে খুব স্বাভাভিকভাবেই শুরু হয়ে গেছে শেষ চারের হিসাব-নিকাশও। কোন দলের সামনে এখন কী সমীকরণ, সেটাই দেখি চলুন।

প্লে-অফে যাওয়ার কী নিয়ম

গ্রুপ পর্বের খেলা শেষ হওয়ার পর যে চারটা দলের পয়েন্ট সবচেয়ে বেশি হবে, তারা প্লে-অফে যাবে।
প্লে-অফে প্রথমে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দুই দল একটা ম্যাচ খেলবে, যার নাম ‘কোয়ালিফায়ার ১’। অন্যদিকে পয়েন্ট তালিকার তিন ও চার নম্বর দল আরেকটা ম্যাচ খেলবে, যেটার নাম ‘এলিমিনেটর’।
কোয়ালিফায়ার ১-এ যে দল জিতবে, তারা সরাসরি ফাইনালে চলে যাবে। তবে কোয়ালিফায়ার ১-এর যে দল হারবে, তাদের আরও একটা সুযোগ থাকবে ফাইনালে যাওয়ার। তারা এলিমিনেটরের জেতা দলের সঙ্গে আরেকটা ম্যাচ খেলবে, যেটার নাম ‘কোয়ালিফায়ার ২’। কোয়ালিফায়ার ২-এ যে দল জিতবে, তারা কোয়ালিফায়ার ১-এ জয়ী দলের সঙ্গে খেলবে ফাইনালে।

এখন পয়েন্ট তালিকার কী অবস্থাআরও পড়ুনআম্পায়ারের ওপর শুবমান গিল এত খেপলেন কেন১ ঘণ্টা আগেকোন দলের সামনে প্রতিপক্ষ কারা

মুম্বাই ইন্ডিয়ানস: গুজরাট (৬ মে), পাঞ্জাব (১১ মে), দিল্লি (১৫ মে)
গুজরাট টাইটানস: মুম্বাই (৬ মে), দিল্লি (১১ মে), লক্ষ্ণৌ (১৪ মে), চেন্নাই (১৮ মে)
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: চেন্নাই (৩ মে), লক্ষ্ণৌ (৯ মে), হায়দরবাদ (১৩ মে), কলকাতা (১৭ মে)
পাঞ্জাব কিংস: লক্ষ্ণৌ  (৪ মে), দিল্লি (৮ মে), মুম্বাই (১১ মে), রাজস্থান (১৬ মে)
দিল্লি ক্যাপিটালস: হায়দরাবাদ (৫ মে), পাঞ্জাব (৮ মে), গুজরাট (১১ মে), মুম্বাই (১৫ মে)
লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস: পাঞ্জাব (৪ মে), বেঙ্গালুরু (৯ মে), গুজরাট (১৪ মে), হায়দরাবাদ (১৮ মে)
কলকাতা নাইট রাইডার্স: রাজস্থান (৪ মে), চেন্নাই (৭ মে), হায়দরাবাদ (১০ মে), বেঙ্গালুরু (১৭ মে)
রাজস্থান রয়্যালস: কলকাতা (৪ মে), চেন্নাই (১২ মে), পাঞ্জাব (১৬ মে)
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: দিল্লি (৫ মে), কলকাতা (১০ মে), বেঙ্গালুরু (১৩ মে), লক্ষ্ণৌ (১৮ মে)
চেন্নাই সুপার কিংস: বেঙ্গালুরু (৩ মে), কলকাতা (৭ মে), রাজস্থান (১২ মে)

আরও পড়ুন৪ ম্যাচে ৮ উইকেট, তবু কেন রিশাদকে বাদ দিল লাহোর কালান্দার্স১১ ঘণ্টা আগেকোন দলের কী হিসাব

মুম্বাই ইন্ডিয়ানস: পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। নেট রানরেট (+১.

২৭৪) খুবই ভালো। প্লে-অফে যাওয়ার জন্য আর একটি জয় দরকার। এমনকি বাকি ম্যাচগুলোয় খারাপ খেললেও ভালো নেট রানরেটের কারণে তাদের সুযোগ থাকবে।


গুজরাট টাইটানস: আপাতত পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। তাদের নেট রানরেটও (+০.৮৬৭) বেশ ভালো। প্লে-অফের টিকিট নিশ্চিত করার জন্য তাদের আর একটি মাত্র জয় দরকার। তবে দুটি জয় শীর্ষ দুইয়ে থাকার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেবে।


রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: আপাতত তৃতীয় স্থানে। নেট রানরেট (+০.৫২১) ভালো। প্লে-অফে যাওয়ার জন্য তাদের একটি জয় যথেষ্ট হতে পারে, তবে দুটি জয় শীর্ষ দুইয়ে থাকার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেবে।


পাঞ্জাব কিংস: আপাতত চতুর্থ স্থানে। তাদের নেট রানরেট (+০.১৯৯) ইতিবাচক। প্লে–অফে নিজেদের স্থান পাকা করতে বাকি চারটি ম্যাচের মধ্যে অন্তত দুটি জিততে হবে।

আরও পড়ুনইমরান-আকরাম-বাবররা এখন ভারতে ‘ব্লকড’২ ঘণ্টা আগে

দিল্লি ক্যাপিটালস: নেট রানরেট (+০.৩৬২) ভালো। প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখতে তাদের বাকি চারটি ম্যাচের মধ্যে অন্তত দুটি জিততে হবে এবং অন্যান্য দলের ফলাফলের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে।


লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস: নেট রানরেট (-০.৩২৫) কিছুটা দুর্বল। প্লে-অফে যাওয়ার জন্য তাদের বাকি চার ম্যাচের তিনটিতে বড় ব্যবধানে জিততে হবে এবং অন্যান্য দলের ফলাফলের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে।


কলকাতা নাইট রাইডার্স: নেট রানরেট (+০.২৭১) ভালো হলেও পয়েন্ট কম। প্লে–অফের  আশা বাঁচিয়ে রাখতে তাদের বাকি চারটি ম্যাচের অন্তত তিনটি জিততে হবে এবং অন্য দলের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।


রাজস্থান রয়্যালস: ১১ ম্যাচে মাত্র ৬ পয়েন্ট। এরই মধ্যে প্ল-অফের দৌড় থেকে ছিটকে গেছে।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: প্লে–অফে যাওয়ার আশা নেই বললেই চলে। বাকি সব ম্যাচই বড় ব্যবধানে জিততে হবে, তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলগুলোর দিকেও।


চেন্নাই সুপার কিংস: ১০ ম্যাচে মাত্র ৪ পয়েন্ট, নেট রানরেট (-১.২১১) সবচেয়ে খারাপ। প্লে-অফের দৌড় থেকে সবার আগে ছিটকে গেছে।

আরও পড়ুনসূর্যবংশী সম্পর্কে কতটা জানেন: কত টাকা তার, বয়স কি আসলেই ১৪৩০ এপ্রিল ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ য়দর ব দ ফ ইন ল দল র স র জন য লক ষ ণ ন য দল কলক ত

এছাড়াও পড়ুন:

কমেডিয়ান মদন মারা গেছেন

তামিল সিনেমার বরেণ্য কমেডিয়ান মদন বব মারা গেছেন। শনিবার (৩ আগস্ট) বিকালে চেন্নাইয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এই তারকা। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। 

এনডিটিভ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন মদন বব। গতকাল চেন্নাইয়ের আদিয়ার বাসায় মারা যান এই অভিনেতা। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। 

১৯৫৩ সালের ১৯ অক্টোবর মাদ্রাজে জন্মগ্রহণ করেন মদন বব। তার আসল নাম এস. কৃষ্ণামুর্তি। ক্যারিয়ারের শুরুতে বিভিন্ন পেশায় যুক্ত ছিলেন তিনি। মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবেও কাজ করেছেন। সংগীত জগতে কাজের সুযোগের জন্য এ চাকরি ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে সংগীত অনুষ্ঠান, বিজ্ঞাপনের গান, নাটক, রেডিও বিজ্ঞাপন এবং সিরিয়ালে কাজ করেন। ১৯৭৫ সালে চেন্নাইয়ে ‘দূরদর্শন’ কার্যক্রম শুরু করে, তখন চ্যানেলে গিটার বাজানো প্রথম ব্যক্তি হয়ে ওঠেন মদন। 

আরো পড়ুন:

‘দ্য কেরালা স্টোরি কেরালাবাসীর জন্য চূড়ান্ত অবমাননাকর’

জুনিয়র এনটিআর কত কোটি টাকার মালিক?

১৯৮৪ সালে তামিল ভাষার ‘নীনগাল কেট্টাভি’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় যাত্রা শুরু করেন। তারপর প্রায় ২০০ সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। পার্শ্ব এবং হাস্যরসাত্মক চরিত্রে অভিনয় করতেন মদন। তামিল ছাড়াও মালায়ালাম, তেলেগু ও হিন্দি ভাষার সিনেমায়ও দেখা গেছে তাকে। কমল হাসান, রজনীকান্ত, অজিত, সুরিয়া, বিজয়ের মতো তারকাদের সঙ্গে পর্দা ভাগ করে নিয়েছেন এই অভিনেতা।  

মদন অভিনীত সিনেমার উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলো হলো— ‘তেনালি’ সিনেমায় ‘ডায়মন্ড বাবু’, ‘ফ্রেন্ডস’ সিনেমায় ম্যানেজার সুন্দরেষন প্রভৃতি। তার অনন্য অভিনয়শৈলী, তার ফুলে ওঠা চোখ, প্রাণবন্ত মুখের অভিব্যক্তি এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়া দর্শকদের বিমোহিত করেছে।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ