আইপিএল: সেরা চারের লড়াইয়ে কারা আছে, কারা নেই
Published: 3rd, May 2025 GMT
দেখতে দেখতে প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৮তম আসর। গত ২২ মার্চ কলকাতা নাইট রাইডার্স-রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়েছিল এবারের আইপিএল, যার ফাইনাল হবে এ মাসের ২৫ তারিখ। তবে সেই ফাইনালে যাওয়ার আগে পেরোতে হবে কোয়ালিফায়ার ও এলিমিনিটের বাধা। যার জন্য সবার আগে দলগুলোকে শীর্ষ চার দলের মধ্যে থেকে প্লে-অফে খেলা নিশ্চিত করতে হবে।
এরই মধ্যে আইপিএলের দলগুলো ১০ বা ১১টি করে ম্যাচ খেলে ফেলেছে। ফলে খুব স্বাভাভিকভাবেই শুরু হয়ে গেছে শেষ চারের হিসাব-নিকাশও। কোন দলের সামনে এখন কী সমীকরণ, সেটাই দেখি চলুন।
গ্রুপ পর্বের খেলা শেষ হওয়ার পর যে চারটা দলের পয়েন্ট সবচেয়ে বেশি হবে, তারা প্লে-অফে যাবে।
প্লে-অফে প্রথমে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দুই দল একটা ম্যাচ খেলবে, যার নাম ‘কোয়ালিফায়ার ১’। অন্যদিকে পয়েন্ট তালিকার তিন ও চার নম্বর দল আরেকটা ম্যাচ খেলবে, যেটার নাম ‘এলিমিনেটর’।
কোয়ালিফায়ার ১-এ যে দল জিতবে, তারা সরাসরি ফাইনালে চলে যাবে। তবে কোয়ালিফায়ার ১-এর যে দল হারবে, তাদের আরও একটা সুযোগ থাকবে ফাইনালে যাওয়ার। তারা এলিমিনেটরের জেতা দলের সঙ্গে আরেকটা ম্যাচ খেলবে, যেটার নাম ‘কোয়ালিফায়ার ২’। কোয়ালিফায়ার ২-এ যে দল জিতবে, তারা কোয়ালিফায়ার ১-এ জয়ী দলের সঙ্গে খেলবে ফাইনালে।
মুম্বাই ইন্ডিয়ানস: গুজরাট (৬ মে), পাঞ্জাব (১১ মে), দিল্লি (১৫ মে)
গুজরাট টাইটানস: মুম্বাই (৬ মে), দিল্লি (১১ মে), লক্ষ্ণৌ (১৪ মে), চেন্নাই (১৮ মে)
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: চেন্নাই (৩ মে), লক্ষ্ণৌ (৯ মে), হায়দরবাদ (১৩ মে), কলকাতা (১৭ মে)
পাঞ্জাব কিংস: লক্ষ্ণৌ  (৪ মে), দিল্লি (৮ মে), মুম্বাই (১১ মে), রাজস্থান (১৬ মে)
দিল্লি ক্যাপিটালস: হায়দরাবাদ (৫ মে), পাঞ্জাব (৮ মে), গুজরাট (১১ মে), মুম্বাই (১৫ মে)
লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস: পাঞ্জাব (৪ মে), বেঙ্গালুরু (৯ মে), গুজরাট (১৪ মে), হায়দরাবাদ (১৮ মে)
কলকাতা নাইট রাইডার্স: রাজস্থান (৪ মে), চেন্নাই (৭ মে), হায়দরাবাদ (১০ মে), বেঙ্গালুরু (১৭ মে)
রাজস্থান রয়্যালস: কলকাতা (৪ মে), চেন্নাই (১২ মে), পাঞ্জাব (১৬ মে)
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: দিল্লি (৫ মে), কলকাতা (১০ মে), বেঙ্গালুরু (১৩ মে), লক্ষ্ণৌ (১৮ মে)
চেন্নাই সুপার কিংস: বেঙ্গালুরু (৩ মে), কলকাতা (৭ মে), রাজস্থান (১২ মে)
মুম্বাই ইন্ডিয়ানস: পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। নেট রানরেট (+১.                
      
				
গুজরাট টাইটানস: আপাতত পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। তাদের নেট রানরেটও (+০.৮৬৭) বেশ ভালো। প্লে-অফের টিকিট নিশ্চিত করার জন্য তাদের আর একটি মাত্র জয় দরকার। তবে দুটি জয় শীর্ষ দুইয়ে থাকার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেবে।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: আপাতত তৃতীয় স্থানে। নেট রানরেট (+০.৫২১) ভালো। প্লে-অফে যাওয়ার জন্য তাদের একটি জয় যথেষ্ট হতে পারে, তবে দুটি জয় শীর্ষ দুইয়ে থাকার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেবে।
পাঞ্জাব কিংস: আপাতত চতুর্থ স্থানে। তাদের নেট রানরেট (+০.১৯৯) ইতিবাচক। প্লে–অফে নিজেদের স্থান পাকা করতে বাকি চারটি ম্যাচের মধ্যে অন্তত দুটি জিততে হবে।
দিল্লি ক্যাপিটালস: নেট রানরেট (+০.৩৬২) ভালো। প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখতে তাদের বাকি চারটি ম্যাচের মধ্যে অন্তত দুটি জিততে হবে এবং অন্যান্য দলের ফলাফলের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে।
লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস: নেট রানরেট (-০.৩২৫) কিছুটা দুর্বল। প্লে-অফে যাওয়ার জন্য তাদের বাকি চার ম্যাচের তিনটিতে বড় ব্যবধানে জিততে হবে এবং অন্যান্য দলের ফলাফলের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে।
কলকাতা নাইট রাইডার্স: নেট রানরেট (+০.২৭১) ভালো হলেও পয়েন্ট কম। প্লে–অফের  আশা বাঁচিয়ে রাখতে তাদের বাকি চারটি ম্যাচের অন্তত তিনটি জিততে হবে এবং অন্য দলের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।
রাজস্থান রয়্যালস: ১১ ম্যাচে মাত্র ৬ পয়েন্ট। এরই মধ্যে প্ল-অফের দৌড় থেকে ছিটকে গেছে।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: প্লে–অফে যাওয়ার আশা নেই বললেই চলে। বাকি সব ম্যাচই বড় ব্যবধানে জিততে হবে, তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলগুলোর দিকেও।
চেন্নাই সুপার কিংস: ১০ ম্যাচে মাত্র ৪ পয়েন্ট, নেট রানরেট (-১.২১১) সবচেয়ে খারাপ। প্লে-অফের দৌড় থেকে সবার আগে ছিটকে গেছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হ য়দর ব দ ফ ইন ল দল র স র জন য লক ষ ণ ন য দল কলক ত
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’