প্রিয়ন্তী উর্বী। অভিনেত্রী ও মডেল। ঈদে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত সিনেমা ‘নীলচক্র’। এ ছাড়া ১০ জুলাই গানচিল ড্রামার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পেয়েছে তাঁর নাটক ‘নসীব’। তামিম রহমান অংশু পরিচালিত এ নাটক ও অন্যান্য প্রসঙ্গে এ অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন এমদাদুল হক মিলটন।

‘নসীব’ নাটকে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
ভালোই। সাধারণত সিনেমার ট্রেইলার প্রকাশ হয়, কিন্তু এ নাটকের ট্রেইলার প্রকাশ হয়েছে। ট্রেইলার প্রকাশের পর থেকে কাজটি সম্পর্কে দর্শকের আগ্রহ ছিল। যারা ইউটিউবে কাজ দেখেছেন, তাদের কাছ থেকে বেশ প্রশংসা পাচ্ছি। এই নাটকে উঠে এসেছে প্রেম, বিশ্বাস, প্রতিশোধ আর অতি প্রাকৃত শক্তির টানাপোড়েন। রয়েছে ব্ল্যাক ম্যাজিকও। যে কারণে দর্শক কাজটি দেখছেন। সামাজিক মাধ্যমেও অনেক লেখালেখি হয়েছে। ‘নসীব’ নাটকটি প্রকাশ হয়েছে দু’দিন হলো। দর্শকের সাড়া পুরোপুরি বুঝতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। আসলে দর্শক ভালো গল্প দেখতে চায়। 

আপনিতো বেশ বাছবিচার করে কাজ করেন। কোন ভাবনা থেকে এ নাটকে কাজ করেছেন?
অভিনয় ক্যারিয়ারে রোমান্টিক গল্পেই বেশি কাজ হয়েছে। সবসময়ই চেয়েছি ভিন্নধর্মী একটি কাজ করতে। আমার চরিত্রটি গভীরতা ও আবেগে পূর্ণ। এতে অভিনয়ের অনেক জায়গা ছিল। এ কারণেই কাজটি করেছি। তানিম রহমান অংশু ভাইয়ের নির্মাণ মানেই তো আলাদা কিছু। আর সহশিল্পী হিসেবে তানজিন তিশা আপু ও ইয়াশ রোহান ভাইয়াতো অসাধারণ। এগুলো কাজটি করতে আমাকে আগ্রহী করে তুলেছে।

এটি তো সাইকো থ্রিলারধর্মী কাজ। এ ধরনের কাজ কতটা চ্যালেঞ্জিং মনে হয়?
আমি যে ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছি, সারাক্ষণ এই চরিত্রে থাকা কঠিন। একটি শুটিংয়ে গেলে অনেক কিছুর মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আমি প্রিয়ন্তী উর্বি। কিন্তু আমি তো ওই চরিত্রটি নই। চরিত্রটা ধরে থেকে ওই রকম করেই রিঅ্যাক্ট করা কঠিনই ছিল। সাধারণত যে ধরনের চরিত্রে অভিনয় করি, সে তুলনায় এটিতে অনেক অ্যাফোর্ট দিতে হয়েছে। এ কারণে সাইকো থ্রিলারধর্মী কাজ অনেক কঠিন। আমি ও নির্মাতা বেশ কয়েক দফা কথা বলেছি। তিনি আমাকে যেভাবে দেখিয়ে দিয়েছেন, আমি চরিত্রটি সেভাবেই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। এখানে আমি ব্ল্যাক ম্যাজিকের ভিকটিম। চরিত্রে নানা বাঁক রয়েছে। চরিত্রটির জন্য নানা চ্যালেঞ্জ নিতে হয়েছে। 

আপনি কী ব্ল্যাক ম্যাজিক বিশ্বাস করেন?
সতি বলতে কী এটি বিশ্বাস করি না। আমার সঙ্গে কখনও হয়নি বলেই আমি বিশ্বাস আনি না।

গ্ল্যামারাস চরিত্রের বাইরে অভিনয়ের আগ্রহ কতটুকু?
গল্পকে সব সময় প্রাধান্য দিই। গল্প ভালো লাগলে গ্ল্যামারাস হোক কিংবা গ্রামের কোনো সাধারণ মেয়ের চরিত্রে হোক– কোনো চরিত্রেই অভিনয় করতে সমস্যা নেই। সুন্দর লাগলে তো ভালো। তবে সুন্দরের চেয়ে আমি অভিনয়কে বেশি প্রাধান্য দিই। নির্মাতারা আমাকে ইদানীং গ্ল্যামারাস চরিত্রের বাইরেই বেশি ভাবছেন। 

অভিনয়ের ক্ষেত্রে কাউকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করেন? 
আমার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। কারণ, প্রতিনিয়ত নিজের সঙ্গেই লড়াই করি। কীভাবে আরও ভালো করা যায়, সে চেষ্টাই জারি রাখি। 

ঈদে আপনার বাণিজ্যিক সিনেমায় অভিষেক হয়েছে। কেমন লাগছে?
বেশ ভালো। নিজেকে বড় পর্দায় দেখার আনন্দই আলাদা। হলে হলে ঘুরেছি। দর্শক সিনেমাটি অনেক পছন্দ করেছেন। অভিনয় ক্যারিয়ারে সিনেমায় কাজ করার অনেক প্রস্তাব পেয়েছি। কিন্তু গল্প ও চরিত্র পছন্দ না হওয়ায় না করতে হয়েছে। ‘নীলচক্র’র মতো ভালো গল্পের সিনেমা দিয়ে অভিষেক হয়েছে। এটিই পরম পাওয়া। এখানে আমি অভিনয় করেছি ভিউ পাগল একটি মেয়ের চরিত্রে। চরিত্রটি সমসাময়িক। এ সিনেমায় কাজের অভিজ্ঞতাও অসাধারণ ছিল।

বাস্তবে ভিউ আপনার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
আমি তো টিকটক চালাই না। ভিউ বাণিজ্য বুঝি না। বুঝলে এসবে অনেক অ্যাকটিভ থাকতাম। দেখুন, গল্প যদি সুন্দর হয় মানুষ কাজটি দেখুক বা না দেখুক, সেটা আর্কাইভে থেকে যাবে। ভালো কাজ আজকে না কালকে মানুষ দেখবেই।

চলচ্চিত্রে কী নিয়মিত হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে? 
যদি ভালো গল্প ও চরিত্রের সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পাই, তাহলে অবশ্যই করব। সংখ্যায় কম হলেও ভালো সিনেমায় অভিনয় করতে চাই।

অভিনয় নিয়ে স্বপ্ন কী?
তারকা নয়, অভিনেত্রী হতে চাই। আরও অনেক বড় জায়গায় যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। এজন্য অনেক পরিশ্রম করতে হবে। খুব জনপ্রিয় হতে হবে, এটি আমি মনে করি না। রাস্তায় দাঁড়ালে আমাকে দেখে ১০ জন ভিড় করবে, এমন ভাবনাও নেই। সব সময় ভালো কাজের সঙ্গে থাকতে চাই। 

এবার একটু ব্যক্তিগত প্রসঙ্গে আসা যাক, আগামীকাল আপনার জন্মদিন। এ বিশেষ দিনটি কীভাবে উদযাপনের পরিকল্পনা রয়েছে?
সাধারণত জন্মদিন ঘটা করে উদযাপন করি না। কাছের মানুষ শুভেচ্ছা জানায়, বন্ধুরা কেক কাটে– এভাবে দিনটি কেটে যায়। জন্মদিন মানে একটি বছর জীবন থেকে হারিয়ে যাওয়া। এটা ভেবে মাঝে মাঝে মনে বিষাদ ভর করে। এবারের জন্মদিনে বাবাকে খুব মিস করব। গত বছর তিনি বেঁচে ছিলেন। এ বছর তাঁকে ঘিরে শুধুই শূন্যতা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র চর ত র প রক শ ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় বাসে ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় একই পরিবারের ১১ জন নিহত

উত্তর গাজায় একটি বাসের ওপর ইসরায়েলি ট্যাঙ্কের হামলায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। গাজার হামাস পরিচালিত বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে।

শুক্রবার রাতে গাজা শহরের জেইতুন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ওই সময় পরিবারটি তাদের বাড়িতে ফেরার চেষ্টা করছিল।

আট দিন আগে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে এটি গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের সবচেয়ে মারাত্মক ঘটনা।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সেনারা একটি ‘সন্দেহজনক গাড়ি’ লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে।

বেসামরিক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল এএফপি সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, নিহতরা আবু শাবান পরিবারের সদস্য এবং এলাকায় ‘তাদের বাড়ি খোঁজার চেষ্টা করার সময়’ তাদের মৃত্যু হয়েছে।

বেসামরিক প্রতিরক্ষা অনুসারে, নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে।

হামাস জানিয়েছে, পরিবারটিকে কোনো যুক্তি ছাড়াই লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ