গাজায় মানবিক সাহায্যের উপর ইসরায়েলি অবরোধ ৬২ দিন ধরে চলছে। ফিলিস্তিনিরা কমিউনিটি রান্নাঘরের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়লেও সেখানে সরবরাহ ফুরিয়ে আসছে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, একবেলার খাবার খুঁজে পাওয়া এখন অসম্ভব হয়ে উঠেছে। শনিবার স্থানীয়দের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।

গাজা সিটির বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আহমেদ আল-নাজ্জার আল জাজিরাকে বলেন, “একবার খাবার খুঁজে পাওয়া এখন অসম্ভব হয়ে উঠেছে। এখানকার মানুষ একের পর এক দাতব্য সংস্থাকে ঘোষণা করতে দেখেছে যে তাদের সরবরাহ শেষ হয়ে গেছে, তারা তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিচ্ছে কারণ তারা .

.. জনগণকে প্রয়োজনীয় ত্রাণ সরবরাহ করার মতো অবস্থানে নেই।”

তিনি বলেন, “মজুদ কমে যাওয়ার ফলে বাজারের দোকানগুলিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের দাম আকাশছোঁয়া হয়ে গেছে। যদি আপনার টাকা থাকে, তাহলে আপনি সঠিক কিছু খুঁজে পেতে পারেন। তবে বেশিরভাগ মানুষেরই সেই সামর্থ্য নেই।”

নাজ্জার বলেন, “এটা হতাশাজনক এবং ক্ষোভজনক যে বেড়ার ওপারে ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। অথচ মানুষ, এমনকি শিশুরাও ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে রয়েছে।”

গাজা সিটি থেকে আল-জাজিরার সংবাদদাতা বলেছেন, “আমরা এখানে ধ্বংসস্তূপে ভরা রাস্তায় মানুষদের ঘোরাফেরা করতে দেখি, আর গাজা শহরে আবর্জনার মধ্য দিয়ে শিশুদের যাতায়াত, টিনজাত খাবারের অবশিষ্টাংশ অথবা আগুন লাগানোর জন্য কার্ডবোর্ডের সন্ধান করা খুবই দুঃখজনক ও হৃদয়বিদারক। এখানে মানুষের জন্য খাবার সরবরাহের কোনো লাইন নেই। তারা অতীতে যা কিছু সংগ্রহ করেছে তা দিয়েই জীবনযাপন করছে।”

ঢাকা/শাহেদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরবর হ

এছাড়াও পড়ুন:

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: বিশ্ববাজারে বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম

মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ও ইরানের পাল্টাপাল্টি হামলা শুরু হওয়ার পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ছেই। মঙ্গলবারও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। 

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, আজ ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ১ দশমিক ২৩ ডলার বা ১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪ দশমিক ৪৬ ডলার। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) তেলের দাম বেড়েছে ১ দশমিক ০৮ ডলার বা ১ দশমিক ৫ শতাংশ-দাম বেড়ে হয়েছে ৭২ দশমিক ৮৫ ডলার। এর আগে ট্রেডিং সেশনের শুরুতে উভয় চুক্তিই ২ শতাংশের বেশি বেড়েছে। কিন্তু প্রতিযোগিতামূলক ট্রেডিংয়ে ফিরে আসার আগে কিছুটা পতনও হয়েছে। 

তেল সরবরাহে দৃশ্যমান কোনো বাধা না থাকলেও শনিবার ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া দক্ষিণ পার্স গ্যাসক্ষেত্রে ইরান আংশিকভাবে গ্যাস উৎপাদন স্থগিত করেছে। ইরানের শাহরান তেল ডিপোতেও ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে।

ইরানের পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনায় ইসরায়েলের বিমান হামলার পর শুক্রবার বিশ্ববাজারে তেলের দাম একলাফে ১৩ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

বাস্তবতা হলো, ২০২২ সালের মার্চ মাসের পর গত শুক্রবার এক দিনে তেলের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে, অর্থাৎ এর মধ্যে তেলের দাম এক দিনে আর কখনোই এতটা বাড়েনি। এ ছাড়া গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ।

ইসরায়েল-ইরানের পাল্টাপাল্টি হামলা চলছেই কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় ইরান হরমুজ প্রণালি বন্ধ করার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন দেশটির একজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা। গোল্ডম্যান স্যাকস বলছে, বিশ্বের মোট তেলের প্রায় ২০ শতাংশ এই প্রণালিপথ দিয়ে পরিবাহিত হয়। প্রণালি বন্ধ হয়ে গেলে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।

এ ছাড়া হরমুজ প্রণালি বন্ধ হলে বিশ্বজুড়ে জাহাজ চলাচলে বিঘ্ন ঘটবে। ফলে আমদানি-রপ্তানির সময় বেড়ে যাবে, বেড়ে যাবে খরচ। ফলে বাংলাদেশের মতো রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতির জন্য তা বিপজ্জনক হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। ক্রেতাদের কাছে সময়মতো পণ্য সরবরাহ করা না গেলে চুক্তি বাতিলের ঝুঁকিও আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মুরগির শেডে হাঁস পালনে সফল কামরুন নাহার
  • কমছে শোধনাগারের ক্ষমতা পানি মিলছে এক-চতুর্থাংশ
  • বাংলাদেশকে ৬৪ কোটি ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক
  • দুই প্রকল্পে ৬৪০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক
  • সরবরাহ পর্যাপ্ত, দামও নাগালে
  • বিদ্যুৎ করিডোর প্রকল্প বাতিল করছে ঢাকা
  • চট্টগ্রামে চার গুণ দামে বিক্রি হচ্ছে মাস্ক
  • ধামরাইয়ে ৬টি ফিডারের বিদ্যুৎ সরবরাহ ৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে
  • সিডনিতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রদর্শনীতে ১০ বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান
  • ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: বিশ্ববাজারে বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম