ডাবের পানি না আখের রস- গরমে সুস্থ থাকতে কোনটি উপকারী?
Published: 4th, May 2025 GMT
গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে সবাই এমন পানীয় খেতে চায় যা শরীরের জন্য উপকারী । ঠান্ডা পানীয় শরীরকে ভেতর থেকে হাইড্রেটেড এবং শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে। গ্রীষ্মে, শরীর ঠান্ডা রাখতে অনেকের প্রথম পছন্দ আখের রস, তবে ডাবের পানি এবং আখের রস দুটিই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়।
আখের রস পান করার উপকারিতা
আখের রস সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক, যা শরীরকে তাৎক্ষণিক শক্তি দেয়। এটি পান করলে শরীর থেকে ক্ষতিকারক বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে এবং লিভারকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। গ্রীষ্মে, আখের রস শরীরকে শীতল করে। এই পানীয় পান করলে হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমে। এতে থাকা বিভিন্ন উপাদান ত্বককে উজ্জ্বল এবং শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।
ডাবের পানি পানের উপকারিতা
গ্রীষ্মকালে ডাবের পানি পান করলে শরীরে পানির অভাব হয় না। এটি হজমশক্তি উন্নত করতে এবং অ্যাসিডিটি কমাতেও সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে ডাবের পানি পান করলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, কারণ এতে ক্যালোরি কম থাকে। এর পাশাপাশি, এটি রক্তচাপের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে।
গ্রীষ্মের জন্য কোনটি ভালো: ডাবের না আখের রস?
গ্রীষ্মে দুটি পানীয়রই আলাদা আলাদা উপকারিতা রয়েছে। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী এসব পানীয় পান করতে পারেন। আপনার যদি তাৎক্ষণিক শক্তির প্রয়োজন হয়, তাহলে আখের রস পান করতে পারেন, তবে আপনি যদি আপনার শরীরকে হাইড্রেট করতে চান, তাহলে ডাবের পানি পান করতে পারেন। যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা যদি ডাবের পানি পান করেন, তাহলে তাদের শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সেই সঙ্গে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। অন্যদিকে আখের রসে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকায় এটি পানে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। সূত্র: ইন্ডিয়া টিভি
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স হ য য কর প ন করল প ন কর উপক র
এছাড়াও পড়ুন:
প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে ২০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মাসুদপুর সীমান্ত দিয়ে প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে ২০ জনকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। গতকাল বুধবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে ভারতের ৭১ ব্যাটালিয়নের সভাপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা শিবগঞ্জ উপজেলার মাসুদপুর সীমান্তের ৪/৫-১ এস আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলারের পাশ দিয়ে তাদের বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দেয়। ঠেলে দেওয়াদের মধ্যে ৭ নারী ও ১০ শিশু রয়েছে। বিজিবি তাদের আটক করেছে।
৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু জানান, ঠেলে দেওয়া ২০ জন প্রায় ১০ বছর আগে বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম এলাকা থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে। তারা ভারতের রাজধানীর দিল্লির হরিয়ান এলাকায় একটি ইটভাটায় কাজ করত। পরে ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে। ওই ২০ জনকে শিবগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ঠেলে দেওয়াদের মধ্যে একজন রোজিনা বেগম জানান, কয়েক দিন ধরে বিএসএফ তাদের আটকে রেখেছিল। এ সময় সবাইকে নানা ধরনের নির্যাতন করা হয়েছে। ঠিকমতো খেতে দেয়নি। বাচ্চারা খাবারের জন্য কাঁদলেও তাদের মন গলেনি। বুধবার ভোরে প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে তাদের বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়। এ সময় বৃষ্টিতে ভিজে তাঁর সন্তানসহ অন্য শিশুরা ঠান্ডায় কাঁপছিল। বাংলাদেশিরা আমাদের অনেক সাহায্য করছেন।
এদিকে, ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক আল-আমিন নামে এক কিশোরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির কাছে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। মঙ্গলবার রাতে দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত দিয়ে ওই কিশোরকে ফেরত আনে বিজিবি। আল-আমিন হবিগঞ্জ জেলা সদরের কালিগাছতলা মহল্লার মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি জানায়, আল-আমিন গত ১৫ জুন জাফলং সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল। এরপর মঙ্গলবার হিলি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা তাকে আটক করে। তাকে ফেরত পাঠাতে ওই দিনই বিএসএফ পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানায়। এরপর রাত ১০টায় বিজিবির কাছে তাকে ফেরত দেওয়া হয়। আল-আমিনের বিরুদ্ধে মামলা করে হাকিমপুর থানায় সোপর্দ করেছে বিজিবি।