ঢাবির সাবেক উপাচার্য আখতারুজ্জামানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
Published: 4th, May 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান, সাবেক প্রক্টর গোলাম রাব্বানীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষক, আওয়ামী লীগের নেতা এবং নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাসহ ১৩ জনের নামে শাহবাগ থানায় মামলার আবেদন করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান।
আজ রোববার দুপুরে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুরের কাছে মামলার জন্য একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন রাশেদ খান। এরপর তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এদিকে ওসি মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হবে।
এজাহারে ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে শেখ হাসিনাকে কটূক্তি এবং উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে করা দুই মামলায় রাশেদ খান গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তিনি দাবি করেন, ওই দুই মামলায় তিনি যথাক্রমে ১৫ দিন রিমান্ড এবং ৩ দিন পুলিশি হেফাজতে থেকে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। ভুক্তভোগী হিসেবে এখন তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
রাশেদ খান বলেন, বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের (এখন নিষিদ্ধ সংগঠন) নেতা–কর্মীরা তাঁদের ওপর যেসব হামলা ও নির্যাতন করেছেন, সেগুলোর বিচার চেয়ে এখন মামলা করবেন। তিনি বলেন, ‘প্রশ্ন আসতে পারে, ২০১৮ সালের ঘটনায় ২০২৫ সালে কেন মামলা করা হচ্ছে? আমি বলব, এটা কোনো মামলা–বাণিজ্য নয়। আমাদের ওপর হওয়া জুলুমের বিচার চেয়ে এই মামলা করা হচ্ছে।’
বিগত ফ্যাসিবাদি আমলে তাঁদের ওপরে বিভিন্ন সময় হামলার ঘটনায় তাঁরা মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নিত না বলে গণ অধিকার পরিষদের এই নেতা অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হকের কক্ষে হামলার ঘটনায়ও ছাত্রলীগের (এখন নিষিদ্ধ সংগঠন) সাবেক সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে নিজেদের মতো করে একটি মামলা করে।
যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগলিখিত অভিযোগে নাম থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন, ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সাবেক সভাপতি আবিদ আল হাসান, ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স, ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় (পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় সভাপতি), ছাত্রলীগের ঢাকা কলেজ শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সাকিব হাসান সুইম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মেহেদী হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির তৎকালীন সভাপতি অধ্যাপক মাকসুদ কামাল (পরবর্তী সময়ে উপাচার্য), সাবেক সহ–উপাচার্য মুহাম্মদ আবদুস সামাদ।
এ ছাড়া লিখিত অভিযোগে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের অজ্ঞাতনামা পাঁচ শতাধিক নেতা–কর্মীকে আসামি করা হয়।
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে গণ অধিকার পরিষদের এই নেতা বলেন, ‘যেহেতু একটি গণ–অভ্যুত্থান হয়েছে, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের পতন হয়েছে, তাই আমরা আগের প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে মামলা করব।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মেসিকে নিয়ে যে ‘সমস্যা’ ছিল, আছে, থাকবেও
লিওনেল মেসিকে নিয়ে সমস্যা?
মেসি-সমর্থকদের অনেকের ভ্রু কুঁচকে উঠতে পারে। যে খেলোয়াড় ম্যাচের পর ম্যাচ, বছরের পর বছর দলের জন্য ‘সমাধান’ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন, তিনিই কিনা ‘সমস্যা’। হ্যাঁ, সমস্যাই। এমন সমস্যা, মেসিকে নিয়ে সব দলের সব কোচই যার মুখোমুখি হয়েছিলেন। এখনো হচ্ছেন। এমনকি ভবিষ্যতেও হবেন।
আর সমস্যাটা তুলে ধরেছেন, এমন একজন—যিনি মেসির ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ সময়ই তাঁর পাশে ছিলেন। মেসির দীর্ঘদিনের এই সঙ্গীর নাম হাভিয়ের মাচেরানো।
২০০৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মেসি–মাচেরানো একসঙ্গে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। এর মধ্যে ২০১০ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত একসঙ্গে ছিলেন বার্সেলোনায়ও। এখন দুজনই ইন্টার মায়ামিতে, মেসি খেলোয়াড়, মাচেরানো কোচ।
মায়ামিতে মেসি-মাচেরানো জুটির সাম্প্রতিক সময়টা ভালো যাচ্ছে না। লিগ (এমএলএস) ও মহাদেশীয় (কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস লিগ) প্রতিযোগিতার সর্বশেষ তিন ম্যাচেই হেরেছে ইন্টার মায়ামি। আর দলের সর্বশেষ চার ম্যাচেই গোল করতে পারেননি মেসি। এ ক্ষেত্রে মেসিকে নিয়ে ‘কমন সমস্যার’ কথা তুলে ধরেছেন মাচেরানো।
শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে মাচেরানোকে এক সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেন, ইন্টার মায়ামিতে মেসির ওপর খুব বেশি নির্ভরশীল কি না? প্রশ্ন শুনে হেসে দেন মাচেরানো।
ইন্টার মায়ামিতে মেসির কোচ মাচেরানো।