বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী। শক্তিমান অভিনেতা হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে প্রায় দুই দশক সময় লেগেছে। ক্যারিয়ারে অনেক সফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। তবে বলিউড ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে হতাশ এই শিল্পী। কেবল তাই নয়, হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে ‘চোর’ বলে মন্তব্য করেছেন নওয়াজউদ্দিন। 

নওয়াজউদ্দিন অভিনীত নতুন সিনেমা ‘কোস্টাও’। বায়োগ্রাফিক্যাল এ সিনেমা গত ১ মে মুক্তি পেয়েছে। এ সিনেমার প্রচারের অংশ হিসেবে পূজা তালওয়ারকে সাক্ষাৎকার দেন নওয়াজউদ্দিন। এ আলাপচারিতায় এমন মন্তব্য করেন ‘গ্যাংস অব ওয়াসিপুর’ তারকা। 

নওয়াজউদ্দিন বলেন, “গত পাঁচ বছর ধরে আমাদের ইন্ডাস্ট্রি একই জিনিস পুনরাবৃত্তি করছে। মানুষ যখন একই জিনিস দেখে বিরক্ত হয়, তখন এটি বন্ধ করা হয়। সত্যি বলতে, নিরাপত্তাহীনতা অনেক বেড়েছে। তারা মনে করে, যদি কোনো ফর্মুলা কাজ করে, তবে এটিকে দুধ খাওয়ানো উচিত, অতিরিক্ত পরিমাণে করা উচিত।”

আরো পড়ুন:

ভারতে নিষিদ্ধ পাকিস্তানি অভিনেতার সিনেমা, ক্ষুব্ধ প্রকাশ রাজ

মেট গালার লাল গালিচায় হাঁটবেন শাহরুখ, উড়ে গেলেন যুক্তরাষ্ট্রে

বলিউড ইন্ডাস্ট্রিকে ‘চোর’ বললেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী। তার ভাষায়, “আরো দুঃখজনক ব্যাপার হলো— এখন ২, ৩, ৪ পর্যন্ত সিক্যুয়েল তৈরি হচ্ছে। এটা সৃজনশীল দেউলিয়া, ঠিক আর্থিক দেউলিয়ার মতো। এখানে সৃজনশীলতার প্রচুর ঘাটতি রয়েছে, বলা যায় এ ক্ষেত্রে তারা দারিদ্র্য। শুরু থেকেই আমাদের ইন্ডাস্ট্রি চুরি করে আসছে। আমরা গান চুরি করেছি, গল্প চুরি করেছি।”

প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে নওয়াজউদ্দিন বলেন, “চোরেরা কীভাবে সৃজনশীল হতে পারে? আমরা দক্ষিণ থেকে চুরি করেছি। কখনো এখান থেকে, কখনো ওখান থেকে। এমনকি, কিছু কাল্ট ফিল্ম যা হিট হয়েছে, সেই সিনেমার দৃশ্যগুলোও নকল করা হয়েছে। চুরি করলে কী হবে— এটি এতটাই স্বাভাবিক করা হয়েছে।” 

নওয়াজউদ্দিন অভিনীত ‘কোস্টাও’ সিনেমা পরিচালনা করেছেন সেজাল শাহ। গোয়ার এক কাস্টমস অফিসার, যার নাম ‘কোস্টাও ফার্নান্ডেজ’। এ চরিত্রে অভিনয় করেছেন নওয়াজউদ্দিন। চোরাচালান রোধে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তিনি। বলা যায়, এ সিনেমার প্রাণ নওয়াজউদ্দিন। বিভিন্ন চরিত্রে আরো অভিনয় করেছেন— প্রিয়া বাপট, কিশোর কুমার হুলি, গগন দেব রিয়ার, হুসেন দালাল প্রমুখ।

তথ্যসূত্র: দ্য ফ্রি প্রেস জার্নাল

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইন ড স ট র কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

দিনাজপুরে টাকা চুরির অভিযোগ তোলায় যুবককে পিটিয়ে হত্যা

দিনাজপুরের বিরামপুরে টাকা চুরির অভিযোগ তোলায় সাজেদুল ইসলাম (৩৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের দক্ষিণ দাউদপুর গ্রামের জোলাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাজেদুল ইসলাম ওই গ্রামের মৃত অছির উদ্দিনের ছেলে। তিনি মৌসুমি ফল ব্যবসায়ী ছিলেন।

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন একই গ্রামের রায়হান কবির (২২) ও তাঁর চাচাতো ভাই নুরুন্নবী ইসলাম (২৩)। ঘটনার পর তাঁরা পলাতক।

নিহত ব্যক্তির পরিবার ও প্রতিবেশীদের বরাতে জানা যায়, গতকাল বিকেলে রায়হান কবির সাজেদুলের কাছে টাকা ধার চান। সাজেদুল টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। কিছুক্ষণ পর বাড়িতে রাখা সাজেদুলের গচ্ছিত ছয় হাজার টাকা হারিয়ে যায়। তিনি এ ঘটনায় রায়হান কবিরকে জিজ্ঞেস করলে প্রথমে অস্বীকার করেন। এ নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার পর রায়হান তাঁর চাচাতো ভাই নুরুন্নবীকে ডেকে আনেন। পরে দুজনে মিলে বাঁশের লাঠি দিয়ে সাজেদুলকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। মারধরের একপর্যায়ে তাঁরা সাজেদুলের বুকে ও অণ্ডকোষে লাথি মারেন। এতে গুরুতর আহত হয়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় বাধা দিতে গেলে সাজেদুলের মাকেও মারধর করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পরিবার তাঁকে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসকেরা অবস্থার অবনতি দেখে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। কিন্তু পথে ফুলবাড়ি এলাকায় তাঁর মৃত্যু হয়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, ‘টাকা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত দুজন পলাতক। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ