চাঁদপুরে গরুর খণ্ডিত মাথা দেখে চুরি হওয়া গরু শনাক্ত করলেন মালিক
Published: 5th, May 2025 GMT
চাঁদপুর শহরের বিপণীবাগে গরুর খণ্ডিত মাথা দেখে চুরি হওয়া নিজের গরু শনাক্ত করলেন মালিক আব্দুল মতিন মিজি।
রবিবার (৪ মে) ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. বাহার মিয়া।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চাঁদপুর সদরের তরপুরচণ্ডী সেনের দিঘির পাড়ের বাসিন্দা আব্দুল মতিন মিজির গরু চুরি করে নিয়ে যায় একই এলাকার মোহাম্মদ সোহাগ। এরপর ৫০ হাজার টাকায় গরুটি কসাইয়ের কাছে বিক্রি করে দেন তিনি। গরু খুঁজতে গিয়ে দুপুরে বিপণীবাগ বাজারে কসাইখানায় গিয়ে মতিন মিজি দেখেন তার গরুর খণ্ডিত মাথা পড়ে রয়েছে। মাথা দেখে তিনি গরুটি চিনতে পারেন। জেরার মুখে কসাই ঘটনার বিস্তারিত জানালে মোহাম্মদ সোহাগের নাম বেরিয়ে পড়ে। এরপর সোহাগকে খুঁজে বের করে জনতা পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
ঘটনা প্রসঙ্গে আব্দুল মতিন মিজি বলেন, ‘‘গরুটা গাভী গরু। একটা বাছুর রয়েছে। দিনে গড়ে ৮ কেজি করে দুধ দিতো। গরু চুরি করে কসাইয়ের কাছে বিক্রি করে সোহাগ। গরুটি কসাই জবাই করলেও মাথা দেখে আমি চিনতে পারি। আমার এই গরুর দাম প্রায় এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা। আমি সোহাগ এবং ওই কসায়ের বিচার চাই।’’
দায় স্বীকার করে পুলিশি হেফাজতে থাকা সোহাগ বলেন, ‘‘অনেক অভাব থেকেই গরু চুরি করেছিলাম। আমি কখনও এমন কাজ করি নাই। অনেক টাকা ধারদেনা হওয়ায় শয়তানের পাল্লায় পড়ে এই ভুল কাজ করে ফেলেছি।’’
এদিকে কসাই পালিয়ে যাওয়ায় তাকে খুঁজতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মো.
অমরেশ//
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এনসিপি নেতাকে ‘প্রস্তুত হ রাজাকার’ চিরকুটের সঙ্গে কাফনের কাপড় পাঠিয়ে হুমকি
রাজশাহীতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতার বাড়ির সামনে ‘প্রস্তুত হ রাজাকার’ লেখা একটি চিরকুটের সঙ্গে কাফনের কাপড় ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শনিবার রাতে জেলার মোহনপুর উপজেলার ধুরইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ওই নেতার নাম খালিদ হাসান ওরফে মিলু। তিনি এনসিপির রাজশাহী জেলা সমন্বয় কমিটির সদস্য এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সংগঠক। জেলার মোহনপুর উপজেলার ধুরইল গ্রামে তাঁর বাড়ি।
চিরকুটে লেখা ছিল, ‘প্রস্তুত হ রাজাকার। বাপ-মায়ের দোয়া নে। তোদের দিন শেষ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’ ওই রাতে খালিদ হাসানের বাড়িতে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করা হয় বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
এনসিপি নেতা খালিদ হাসান জানান, শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি বাড়িতে যান। এরপর ঘরের মধ্যে বসে ছিলেন। হঠাৎ জানালার পাশ দিয়ে অপরিচিত একজন বলেন, ‘বাইরে বের হয়ে দেখ।’ এরপর তিনি বারান্দায় গিয়ে দেখেন, টিনের সঙ্গে থাকা কাঠের আড়ায় আগুন জ্বলছে। এ সময় তিনি পেট্রলের গন্ধ পান।
খালিদ হাসান বলেন, এ ঘটনার পর তিনি বাড়ি থেকে বের না হয়ে প্রতিবেশীদের ডাকেন। ধুরইল বাজারের নৈশপ্রহরীও আসেন। ইতিমধ্যে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। এরপর তিনি বাড়ি থেকে বের হলে সামনে একটি পলিথিন দেখতে পান। পলিথিনে কী আছে না জেনে তাঁরা সেটিতে হাত দেননি। পুলিশ আসার পর সেটি দেখে। তখন ভেতরে একটি কাফনের কাপড় ও চিরকুট পাওয়া যায়। পরে চিরকুট ও কাফনের কাপড়টি পুলিশ নিয়ে যায়।
খালিদ হাসান বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে বাড়ি ভেজা অবস্থায় আছে। এ জন্য পেট্রল ঢাললেও আগুন ছড়িয়ে পড়েনি। যেটুকু আগুন লেগেছিল, সেটা আমরা নিভিয়ে ফেলতে পেরেছিলাম। এখন এমন হুমকি পাওয়ায় আমি উদ্বিগ্ন ও আতঙ্কিত। চিরকুটে জয় বাংলা লেখা আছে। তাতে বোঝা যায়, কারা করেছে। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করব।’
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, ‘রাত পৌনে ১২টার দিকে খবর পেয়েই সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। আমি খালিদ হাসানকে অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ পাওয়ার পর সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করছি।’
এনসিপির রাজশাহী জেলার যুগ্ম সমন্বয়কারী নাহিদুল ইসলাম আজ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, আপাতত থানায় একটি জিডি করা হবে। তারপর পুলিশ তদন্ত করে ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করবে।