চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় পিকআপ ভ্যান খালে পড়ে এক কাপড় ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। তাদের চাঁদপুর সদর হাসপাতাল ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার (৫ মে) ভোর ৬টার দিকে উপজেলার ভাটিরসূলপুর এলাকার বেড়িবাঁধ সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। 

নিহত কাপড় ব্যবসায়ীর নাম মো.

আলাউদ্দিন (৪০)। তিনি সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানার চারপিরচর গ্রামের মো. হামিদ মোল্লার ছেলে। তিনি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর থেকে কাপড়ের ব্যবসা করতেন।

আরো পড়ুন:

খিলক্ষেতে ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দোকানে ঢুকে গেল পাওয়ার টিলার, স্কুলছাত্র নিহত

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রায়পুর থেকে ১২ জন কাপড় ব্যবসায়ী একটি পিকআপ ভ্যানে করে ভুলতা গাউছিয়ায় মালামাল কিনতে যাচ্ছিলেন। পিকআপ ভ্যানটি ভাটিরসূলপুর এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের সেচ খালে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই আলাউদ্দিনের মৃত্যু হয়। আহত হন আটজন। তাদের মধ্যে ছয়জনকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে এবং দুইজনকে মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানার ওসি মো. রবিউল হক জানান, দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। ‍আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত পিকআপ ভ্যানটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

ঢাকা/অমরেশ/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত আহত প কআপ ভ য ন উপজ ল ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

পটুয়াখালীতে ডেঙ্গু ও ডায়রিয়ার চোখ রাঙানি

পটুয়াখালীতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডায়রিয়া ও ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, আগের ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ জন। একই সময়ে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে ১২ জনের শরীরে। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডায়রিয়া রোগী রয়েছে ৭৭ জন, ডেঙ্গু রোগী ৫০ জন।
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শনিবার থেকে চিকিৎসাধীন মোহাম্মদ কাইব হাসান (২) নামের এক শিশু। সে শহরের কাঠপট্টির মোহাম্মদ কাওসারের ছেলে। কাওসার বলেন, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়া ছেলেকে নিয়ে পাঁচ দিন ধরে হাসপাতালে আছেন। এখানে আসার পর থেকে মোটামুটি ভালো আছে। এই হাসপাতালের চিকিৎসাও আগের চেয়ে ভালো হয়েছে। চিকিৎসক-নার্সের কাছে সেবা পাচ্ছেন।
ডায়রিয়ায় আক্রান্ত লাল বানুকে একই হাসপাতালে শনিবার ভর্তি করা হয়। তাঁর মেয়ে সদর উপজেলার বশাক বাজার এলাকার মালা বেগমের ভাষ্য, এখানে আসার পর ওষুধ ও স্যালাইন পেয়েছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষাও হয়েছে। তাঁর মায়ের শরীরের অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। 
বরগুনার আমতলী উপজেলার মোখলেছুর রহমানের শরীরে ডেঙ্গু শনাক্ত হয় কয়েকদিন আগে। তিনি পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন সোমবার। মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘তিন দিন এ হাসপাতালে আছি। ডাক্তাররা নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাচ্ছেন। চিকিৎসা মোটামুটি ভালো চলছে। ডাক্তার-নার্স সবাই নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছেন।’
পটুয়াখালী সিভিল সার্জন দপ্তর সূত্র জানায়, জানুয়ারি থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ৮ হাজার ৩৫৩ জন। এই সময়ের মধ্যে ৪৫৮ জনের শরীরে শনাক্ত হয়েছে ডেঙ্গু। তারা পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। বেশির ভাগ সুস্থ হয়ে ফিরে গেলেও ৭৭ জন ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৫ জন, মির্জাগঞ্জে ছয়জন, দশমিনায় ১১ জন, বাউফলে ছয়জন, কলাপাড়ায় আটজন, গলাচিপায় আটজন ও দুমকিতে তিনজন রোগী ভর্তি।
এ ছাড়া ৫০ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২১ জন। এ ছাড়া মির্জাগঞ্জে ২১ জন, কলাপাড়ায় দু’জন, গলাচিপায় পাঁচজন ও বাউফলে একজন ডেঙ্গু চিকিৎসাধীন।
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলরুবা ইয়াসমিন লিজার ভাষ্য, তাদের হাসপাতালে প্রতিদিন ডায়রিয়া রোগী বাড়ছে। ডাক্তার-নার্স সতর্ক আছেন। তারা যথাযথ চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। এই চিকিৎসক সবাইকে সচেতন হতে ও রাস্তার পাশের শরবত, বাসি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ডেঙ্গু আপাতত নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সবাইকে সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে। বাসাবাড়ির আশাপাশে জমানো পানি ফেলে দেওয়া ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানান। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পটুয়াখালীতে ডেঙ্গু ও ডায়রিয়ার চোখ রাঙানি