চাঁদপুরে পিকআপ ভ্যান খালে পড়ে কাপড় ব্যবসায়ী নিহত
Published: 5th, May 2025 GMT
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় পিকআপ ভ্যান খালে পড়ে এক কাপড় ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। তাদের চাঁদপুর সদর হাসপাতাল ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (৫ মে) ভোর ৬টার দিকে উপজেলার ভাটিরসূলপুর এলাকার বেড়িবাঁধ সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত কাপড় ব্যবসায়ীর নাম মো.
আরো পড়ুন:
খিলক্ষেতে ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দোকানে ঢুকে গেল পাওয়ার টিলার, স্কুলছাত্র নিহত
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রায়পুর থেকে ১২ জন কাপড় ব্যবসায়ী একটি পিকআপ ভ্যানে করে ভুলতা গাউছিয়ায় মালামাল কিনতে যাচ্ছিলেন। পিকআপ ভ্যানটি ভাটিরসূলপুর এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের সেচ খালে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই আলাউদ্দিনের মৃত্যু হয়। আহত হন আটজন। তাদের মধ্যে ছয়জনকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে এবং দুইজনকে মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানার ওসি মো. রবিউল হক জানান, দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত পিকআপ ভ্যানটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
ঢাকা/অমরেশ/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত আহত প কআপ ভ য ন উপজ ল ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
সৌদি আরবে এক দিনে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
সৌদি আরবে এক দিনে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। দেশটিতে সম্প্রতি মাদক-সংক্রান্ত অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের হার বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে উপসাগরীয় দেশটিতে এক দিনে এত বেশি মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলো।
রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) বলেছে, গত শনিবার দক্ষিণাঞ্চলীয় নাজরান এলাকায় সোমালিয়ার চারজন ও ইথিওপিয়ার তিনজন নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে সৌদিতে হাশিশ (গাঁজার মতো একধরনের মাদকদ্রব্য) চোরাচালানের অভিযোগ ছিল।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া অন্য ব্যক্তি হলেন সৌদি আরবের নাগরিক। মাকে হত্যার দায়ে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এএফপির হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সৌদি আরবে ২৩০ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে মাদক–সংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগ ছিল।
এই হারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে থাকলে চলতি বছর দেশটিতে ২০২৪ সালের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। গত বছর দেশটিতে ৩৩৮ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল।
বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৩ সালে শুরু হওয়া ‘মাদকবিরোধী যুদ্ধের’ কারণেই মূলত সৌদি আরবে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা বাড়ছে। এ অভিযানের সময় যাদের আটক করা হয়েছিল, এখন বিচারপ্রক্রিয়া শেষে তাদের অনেকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হচ্ছে।
প্রায় তিন বছর বন্ধ রাখার পর ২০২২ সালের শেষ দিক থেকে মাদক–সংক্রান্ত অপরাধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর আবার শুরু করে সৌদি আরব।
সৌদি আরবে ২০২২ সালে মাদক-সম্পর্কিত অপরাধে ১৯ জন, ২০২৩ সালে ২ জন এবং ২০২৪ সালে ১১৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
অধিকারকর্মীরা বলছেন, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের এই ধারাবাহিকতা সৌদি আরবের ‘উন্মুক্ত ও সহনশীল সমাজ’ গঠনের প্রচেষ্টাকে ক্ষুণ্ন করছে। অথচ এটাই ছিল যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ঘোষিত ভিশন ২০৩০ সংস্কার কর্মসূচির মূল ভিত্তি।
তবে সৌদি কর্তৃপক্ষের দাবি, জনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য মৃত্যুদণ্ড অপরিহার্য এবং সব ধরনের আপিলপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরই এই ধরনের সাজা কার্যকর করা হচ্ছে।