গত ১০ ফেব্রুয়ারি ৩৬ নারী ফুটবলারের সঙ্গে ছয় মাসের চুক্তি করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। কিন্তু চুক্তিতে তখন রাখা হয়নি কোচ পিটার বাটলারের সঙ্গে বিদ্রোহ করা কাউকে। এ নিয়ে একটু দুশ্চিন্তায়ই ছিলেন তাঁরা। অবশেষে চিন্তামুক্ত হলেন ১৮ বিদ্রোহী ফুটবলারের ৮ জন। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, গত পরশু এই আটজনের সঙ্গে নতুন চুক্তি করেছে বাফুফে।

ফেডারেশন বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানালেও নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাফুফের এক কর্মকর্তা গতকাল প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘১৮ জনের মধ্যে দেশে থাকা ৮ জনের সঙ্গে চুক্তি হয়ে গেছে। কয়েকজনের বেতনও বেড়েছে।’

বিদ্রোহীদের মধ্যে চুক্তির আওতায় আসা ৮ ফুটবলার হলেন শিউলি আজিম, তহুরা খাতুন, মোসাম্মাৎ সাগরিকা, শামসুন্নাহার জুনিয়র, নিলুফা ইয়াসমিন, স্বর্ণা রানী, সাথী বিশ্বাস ও নাসরিন আক্তার।

জানা গেছে, এই আটজনের মধ্যে চারজনের বেতন ৫ হাজার টাকা করে বাড়িয়ে ৫৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। বাকি চারজনের একজনের ২৫ হাজার ও তিনজনের বেতন ৩০ হাজার টাকা করে ধরা হয়েছে। তাঁদের চুক্তি কার্যকর হবে অনুশীলনে যোগ দেওয়ার দিন, অর্থাৎ গত ৮ এপ্রিল থেকে। প্রথম দফায় চুক্তিতে আসা ৩৬ জনের বেতন ৬টি শ্রেণিতে ৫০ হাজার, ৩০ হাজার, ২৫ হাজার, ২০ হাজার, ১৫ হাজার ও ১০ হাজার টাকা করে ধরা হয়েছিল।

ভুটানের মাটিতে বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা।.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ টবল র জন র ব

এছাড়াও পড়ুন:

সৌদি আরবে এক দিনে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

সৌদি আরবে এক দিনে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। দেশটিতে সম্প্রতি মাদক-সংক্রান্ত অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের হার বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে উপসাগরীয় দেশটিতে এক দিনে এত বেশি মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলো।

রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) বলেছে, গত শনিবার দক্ষিণাঞ্চলীয় নাজরান এলাকায় সোমালিয়ার চারজন ও ইথিওপিয়ার তিনজন নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে সৌদিতে হাশিশ (গাঁজার মতো একধরনের মাদকদ্রব্য) চোরাচালানের অভিযোগ ছিল।

মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া অন্য ব্যক্তি হলেন সৌদি আরবের নাগরিক। মাকে হত্যার দায়ে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এএফপির হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সৌদি আরবে ২৩০ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে মাদক–সংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগ ছিল।

এই হারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে থাকলে চলতি বছর দেশটিতে ২০২৪ সালের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। গত বছর দেশটিতে ৩৩৮ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল।

বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৩ সালে শুরু হওয়া ‘মাদকবিরোধী যুদ্ধের’ কারণেই মূলত সৌদি আরবে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা বাড়ছে। এ অভিযানের সময় যাদের আটক করা হয়েছিল, এখন বিচারপ্রক্রিয়া শেষে তাদের অনেকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হচ্ছে।

প্রায় তিন বছর বন্ধ রাখার পর ২০২২ সালের শেষ দিক থেকে মাদক–সংক্রান্ত অপরাধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর আবার শুরু করে সৌদি আরব।

সৌদি আরবে ২০২২ সালে মাদক-সম্পর্কিত অপরাধে ১৯ জন, ২০২৩ সালে ২ জন এবং ২০২৪ সালে ১১৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

অধিকারকর্মীরা বলছেন, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের এই ধারাবাহিকতা সৌদি আরবের ‘উন্মুক্ত ও সহনশীল সমাজ’ গঠনের প্রচেষ্টাকে ক্ষুণ্ন করছে। অথচ এটাই ছিল যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ঘোষিত ভিশন ২০৩০ সংস্কার কর্মসূচির মূল ভিত্তি।

তবে সৌদি কর্তৃপক্ষের দাবি, জনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য মৃত্যুদণ্ড অপরিহার্য এবং সব ধরনের আপিলপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরই এই ধরনের সাজা কার্যকর করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সৌদি আরবে এক দিনে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর