চট্টগ্রামের রাউজানে তিনতলা বাড়ির কক্ষে এবার গুলিবিদ্ধ হয়েছেন জাহানারা বেগম নামের (৩৫) একজন নারী। আজ সোমবার সকালে উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নিরামিষ পাড়া এলাকার স্বামীর বাড়িটির তিনতলার একটি কক্ষে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ জাহানারা ওই গ্রামের যুবদল কর্মী মুহাম্মদ লোকমানের স্ত্রী। লোকমানের বিরুদ্ধে গুলি করে হত্যার চেষ্টা, হামলা, গোলাগুলিসহ পাঁচটি মামলা আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, ওই নারী ঘরে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর স্বজনেরা তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে ওই নারীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা পাওয়া গেছে। বাসিন্দাদের অনেকেই বলছেন, পারিবারিক কলহের জেরে ওই নারী নিজ শোবার কক্ষে গুলিবিদ্ধ হন। তাঁর স্বামীই তাঁকে গুলি করতে পারেন।

আবার পুলিশ বলছে, বাড়িটির বাসিন্দারা কেউই এ বিষয়ে কথা বলতে চাইছেন না। বাইরে থেকেও ওই বাড়ি লক্ষ্য করে গোলাগুলি হতে পারে বলে ধারণা করছেন তাঁরা।

পুলিশ জানায়, বাড়িটি তিনতলা। ওই নারী স্বামী–সন্তানসহ থাকেন তিনতলার একটি ফ্ল্যাটে। ওই ফ্ল্যাটের যে কক্ষে গুলিবিদ্ধ হন ওই নারী, সেটি পুলিশ গিয়ে তালাবদ্ধ পেয়েছে। দোতলা ও নিচতলার বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেও কোনো সঠিক তথ্য পায়নি তারা।

এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে যুবদল কর্মী মুহাম্মদ লোকমানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ কারণে তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, সকালে ওই বাড়িতে পুলিশ গেলেও কক্ষটি তালা দেওয়া পাওয়া যায়। কেউ বলছে পারিবারিক কলহ, আবার কেউ বলছে বাইরে থেকে ওই বাড়ি লক্ষ্য করে একদল সন্ত্রাসী গুলি ছুড়েছে। ওই নারীর স্বামী যুবদলের রাজনীতিতে সক্রিয় আছেন। তবে এলাকায় সন্ত্রাসী হিসেবেও পরিচিত। তাঁর নামে পাঁচটির মতো মামলা আছে থানায়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ওই ন র য বদল ত নতল

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ