বন্দরে শ্রমিক হত্যা চেষ্টার ঘটনায় থানায় অভিযোগ
Published: 5th, May 2025 GMT
বন্দরে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সালাউদ্দিন (৩৮) নামে এক স্ট্রিল মিলের শ্রমিককে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শ্রমিক বাদী হয়ে হামলাকারি মা ও সন্ত্রাসী ছেলের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এর আগে বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ১টায় বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের মালামত এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের মালামত এলাকার জজ মিয়ার ছেলে সালাউদ্দিন মিয়া তার মায়ের পৈত্রিক সম্পত্তি সাড়ে ৮ শতাংশ বসত বাড়ি প্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘ দিন ধরে ভোগদখলে রয়েছে।
এ নিয়ে একই এলাকার মৃত হানিফ মিয়ার স্ত্রী তারেই খালা হালিমা বেগম ও তার সন্ত্রাসী ছেলে মহিউদ্দিনের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল।
এর ধারাবাহিকতা বুধবার দুপুর ১টায় পাষান্ড খালা হালিমা বেগম হুকুমে তার সন্ত্রাসী ছেলে মহিউদ্দিনসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী দেশিয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সালাউদ্দিন বসত বাড়িতে অনাধিকার ভাবে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে সালাউদ্দিনকে হত্যার চেষ্টা চালায়।
ওই সময় সালাউদ্দিন মিয়ার বড় খালা ফাতেমা বেগম বাধা দিলে সন্ত্রাসী ভাগ্নিা মহিউদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে বৃদ্ধা ফাতেমা বেগমকে হত্যার উদ্দেশ্য বুকে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দিয়ে নিলাফুলা জখম করে পালিয়ে যায়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: হত য ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ আনিসুর হত্যা মামলার বাদীকে হুমকি
জুলাই-আগস্ট গণ–অভ্যুত্থানে শহীদ আনিসুর রহমান আশিকের পরিবারকে মামলা তুলে নিতে আসামিরা হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী। সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন আনিসুরের বোন ও মামলার বাদী তাহমিনা আক্তার।
তাহমিনা আক্তার সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, গত শুক্রবার একটি মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে বিপ্লব সাহা পরিচয় দিয়ে আসামি দিলীপ কুমার আগারওয়ালের নাম মামলা থেকে বাদ দিতে বলা হয়। দিলীপ কুমার আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটির সম্পাদক। তিনি রাজি না হওয়ায় দিলীপ কুমার ফোন করে ২৫ লাখ টাকার বিনিময়ে মামলা তুলে নিতে বলেন। কিন্তু রাজি না হওয়ায় তাঁকে গালাগাল করেন এবং হুমকি দেন।
দিলীপ কুমার আগারওয়াল গত ২২ এপ্রিল গ্রেপ্তার হন। এরপর অসুস্থতা দেখিয়ে বাংলাদেশ মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানিয়েছে আনিসুর রহমানের পরিবার।
তাহমিনা আক্তার আরও বলেন, মামলার আরেক আসামি শ্রমিক লীগ নেতা আওরঙ্গজেব সিদ্দিক নান্নু। তাঁর কথিত বোন পরিচয় দিয়ে জোবাইদা ইসলাম নামের এক নারী ফোন করে মামলা থেকে তাঁর নাম বাদ দিতে বলেন। রাজি না হওয়ায় উল্টো তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দেন।
জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে জোবাইদা ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আওরঙ্গজেব সিদ্দিক তাঁর কাছের ভাই। তিনি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে (রাউজক) চাকরি করেন। তিনি শ্রমিক দলের সদস্য, শ্রমিক লীগ নেতা নন। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলা দেওয়া হয়েছে।
অপর দিকে দিলীপ কুমার আগারওয়াল পরিচয় দিয়ে যে মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে হুমকি দেওয়া হয়েছে, সেই নম্বরে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
তাহমিনা আক্তার উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, মামলার এজাহারভুক্ত অধিকাংশ আসামি এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। পলাতক ও কারাগারে থাকা আসামিদের হুমকিতে তিনি ও তাঁর পরিবার বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। অবিলম্বে আসামিদের গ্রেপ্তার ও অন্য মামলায় কারাগারে থাকা আসামিদের এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে প্রধান উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।