মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করে ‘নারী ও শিশু মন্ত্রণালয়’ করার সুপারিশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আজ সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটির সভার প্রকাশিত কার্যবিবরণীতে এ বিষয়ে জানা যায়।

কার্যবিবরণী দেখা যায়, মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রণালয়ের অধীনে অন্যান্য সংস্থা ও পদেরও নাম পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছে। নতুন নামকরণের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগের  সম্মতি গ্রহণ ও আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনার আনুষ্ঠানিকতা প্রতিপালন করতে বলা হয়েছে।

গত ২৭ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় নাম পরিবর্তনের বিষয়ে প্রস্তাব উপস্থাপন করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের পক্ষে যুগ্ম সচিব মো.

ফিরোজ উদ্দিন খলিফা।

সেই সভায় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নাম ‘নারী ও শিশু মন্ত্রণালয়’, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের নাম ‘নারী অধিদপ্তর’, জাতীয় মহিলা সংস্থার নাম ‘জাতীয় নারী সংস্থা’ এবং উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা পদের নাম ‘উপজেলা নারী উন্নয়ন কর্মকর্তা’ করার সুপারিশ করা হয়।

এ বিষয়ে প্রস্তাব উপস্থাপন করে বলা হয়, ১৯৮৯ সালে ‘সমাজকল্যাণ ও মহিলাবিষয়ক মন্ত্রণালয়’কে পৃথক করে ‘সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়’ ও ‘মহিলাবিষয়ক মন্ত্রণালয়’ গঠন করা হয়। ১৯৯৪ সালে শিশুবিষয়ক কার্যক্রম সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে স্থানান্তর করে মহিলাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। নামকরণ করা হয় ‘মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়’ নামে।

প্রস্তাবে বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধান, নারীবিষয়ক অন্যান্য আইন, বিধিমালা ও নীতিমালায় এবং দেশে-বিদেশে সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সব ক্ষেত্রে ‘মহিলা’ শব্দের পরিবর্তে ‘নারী’ শব্দটি বেশি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ২০২৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি (আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে) মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির (জাতীয় সংসদের) বৈঠকে নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় নামকরণের সুপারিশ করা হয়। ওই বছরের ৭ জুলাই প্রথম আন্তমন্ত্রণালয় সভা এবং ২৭ অক্টোবর দ্বিতীয় আন্তমন্ত্রণালয় সভায় মন্ত্রণালয় ও এর অধীন সংস্থা ও দপ্তর এবং মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা পদের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়।

সভার কার্যবিবরণীতে নাম পরিবর্তনের সুপারিশ করে বলা হয়, জাতীয় মহিলা সংস্থার নাম ‘জাতীয় নারী সংস্থা’ করার জন্য জাতীয় মহিলা সংস্থা আইন, ১৯৯১–এ প্রয়োজনীয় সংশোধন আনতে হবে। উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা পদের নাম পরিবর্তন করে ‘উপজেলা নারী উন্নয়ন কর্মকর্তা’ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ বিভাগের সম্মতি নিতে হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র স প র শ কর কর মকর ত ব ষয়ক ক উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

নভেম্বরে কি রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত হতে যাচ্ছে

সংস্কার প্রশ্নে গত প্রায় সাড়ে আট মাস রাজনৈতিক দলগুলো ছিল আলোচনার টেবিলে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে সবকিছু। কিন্তু নভেম্বরে আবার রাজপথে কর্মসূচি নিয়ে নেমেছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ শীর্ষ রাজনৈতিক দলগুলো। একদিকে সংস্কার বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে ভিন্নমত, অন্যদিকে দ্রুত এগিয়ে আসছে নির্বাচনের সময়। এ পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মাঠের কর্মসূচি নিয়ে নামার পেছনে নির্বাচনের প্রস্তুতি, নাকি রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত করার ইঙ্গিত—এ প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ