শীর্ষ দুইয়ে এবারের মৌসুমে দুই ‘ফ্লপ শো’।

ম্যানচেস্টার সিটির জন্য এবারের মৌসুম হতাশার। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষ চারে থেকে মৌসুম শেষ করার চ্যালেঞ্জ নিতে হবে নিজেদের বাকি তিন ম্যাচে। চ্যাম্পিয়নস লিগ নকআউট পর্বের প্লে–অফ থেকে ছিটকে পড়েছে। লিগ কাপে ছিটকে পড়েছে চতুর্থ রাউন্ড থেকে। এ মৌসুমে সিটির শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা শুধু টিকে আছে এফএ কাপে। ১৭ মে ওয়েম্বলিতে ফাইনালে ক্রিস্টাল প্যালেসের মুখোমুখি হবে পেপ গার্দিওলার দল।

আরও পড়ুনইন্টারের ‘ইয়ামাল-ঠেকাও ফর্মুলা’: দুই নাকি তিন, কতজন লাগবে৫০ মিনিট আগে

রিয়ালের অবস্থাও সিটির চেয়ে খুব একটা ভালো নয়। লা লিগার শিরোপাদৌড়ে শেষ পর্যন্ত হয়তো দুইয়ে থেকেই মৌসুম শেষ করতে হবে কার্লো আনচেলত্তির দলকে। হাতে চার ম্যাচ রেখে শীর্ষে থাকা বার্সার সঙ্গে ৪ পয়েন্ট ব্যবধানে পিছিয়ে রিয়াল। চ্যাম্পিয়নস লিগেও ছিটকে পড়েছে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। কোপা দেল রে ও সুপার কোপার ফাইনালে উঠেও শিরোপা জিততে পারেনি। অর্থাৎ বড় কোনো শিরোপা নেই, জেতার মধ্যে শুধু মৌসুমের শুরুতে উয়েফা সুপার কাপ ও ফিফা ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ।

প্রশ্ন হচ্ছে, বিশ্বের সবচেয়ে দামি ১০ ফুটবল ক্লাবের ‘ধান ভানতে’ এই দুই ক্লাবকে নিয়ে ‘শীবের গীত’ কেন? উত্তর—চলতি মৌসুমে ‘ফ্লপ শো’ দেখানো এ দুটি বড় দল বিশ্বের সবচেয়ে দামি ১০ ফুটবল ক্লাবের তালিকায় শীর্ষ দুইয়ে। অর্থাৎ, মাঠে প্রত্যাশা মেটাতে না পারলেও স্কোয়াড–মূল্যে তাদের ওপরে কেউ নেই। বাংলাদেশের রসিক ফুটবলপ্রেমীরা চাইলে কয়েক বছর আগে নেটে ভাইরাল হওয়া একটি বিজ্ঞাপনের সংলাপ (দামে কম, মানে ভালো) নকল করে বলতে পারেন, এ দুটি ক্লাব দামে আছে মানে নেই।

আরও পড়ুনযে কারণে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে খেলতে পারবে না বার্সেলোনা ও আর্সেনাল২ ঘণ্টা আগে

ট্রান্সফারমার্কেট জানাচ্ছে, ২৮ খেলোয়াড় নিয়ে সিটির স্কোয়াড, যার মোট দাম ১৩১ কোটি ইউরো (প্রায় ১৮ হাজার ৫৭ কোটি টাকা)। সিটির স্কোয়াডের খেলোয়াড়দের গড় বাজারমূল্য ৪ কোটি ৬৬ লাখ ইউরো করে (প্রায় ৬৪২ কোটি টাকা)।

ট্রান্সফারমার্কেটের হিসাবে, এ মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবল দলটি সিটির।

তালিকার তিনে আর্সেনাল.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জোড়া গোলের পর লাল কার্ড, বায়ার্নের কাছে পিএসজির হার

পিএসজি ১-২ বায়ার্ন মিউনিখ

মৌসুমের শুরু থেকে প্রথম ১৪ ম্যাচ জিতে ইউরোপিয়ান রেকর্ড গড়েছিল আগেই। পার্ক দে প্রিন্সেসে স্বাগতিক পিএসজিকে ২-১ গোলে হারিয়ে রেকর্ডটি ১৬ ম্যাচে উন্নীত করল বায়ার্ন মিউনিখ। সেটাও দ্বিতীয়ার্ধের পুরো সময়ে ১০ জন নিয়ে! গতবারের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন পিএসজি এই সুযোগ তো কাজে লাগাতে পারেই-নি, উল্টো দেখতে হয়েছে চ্যাম্পিনস লিগে এবারের মৌসুমে প্রথম হার।

বায়ার্নের কলম্বিয়ান লেফট উইঙ্গার লুইজ দিয়াজ পিএসজির এই হারের কারণ। ৪ ও ৩২ মিনিটে দুটি গোল করেন। পিএসজির আশার কারণও আবার এই দিয়াজই। প্রথমার্ধে যোগ করা সময়ের ৭ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন  এই কলম্বিয়ান তারকা। তাতে দ্বিতীয়ার্ধের পুরো সময় একজন খেলোয়াড় বেশি নিয়ে খেলার ‘সুবিধা’ পেয়েছে লুইস এনরিকের দল।

কিন্তু ৭৪ মিনিটে হোয়াও নেভেসের লক্ষ্যভেদ ছাড়া আর কোনো গোল পায়নি পিএসজি। পর্তুগিজ এই মিডফিল্ডার বাইসাইকেল কিকে গোলটি করেন।  তার আগে ম্যাচের ৪ মিনিটে ফিরতি বলে নেওয়া শটে বায়ার্নকে প্রথম গোলটি এনে দেন দিয়াজ। তাঁর পরের গোলে পিএসজি সেন্টারব্যাক মারকিনিওসেরও দুর্বলতা ছিল। ব্রাজিল ডিফেন্ডারের কাছ থেকে বল কেড়ে গোল করেন দিয়াজ। এরপর লাল কার্ড দেখেন পিএসজি তারকা আশরাফ হাকিমিকে মারাত্মক ফাউল করে। হাঁটুতে চোট নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়েন মরক্কো তারকা হাকিমি। প্রথমে হলুদ কার্ড দেখালেও পরে ভিএআর দেখে দিয়াজকে লাল কার্ড দেন রেফারি মউরিসিও মারিয়ানি।

অফসাইডের কারণে প্রথমার্ধে পিএসজির ব্যালন ডি’অরজয়ী তারকা ওসমান দেম্বেলের গোলটি বাতিল হয়। চোটের কারণে ২৫ মিনিটেই মাঠ ছাড়েন ফরাসি তারকা।৪ ম্যাচের সবগুলো জিতে মোট ১২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ পর্বে শীর্ষে বায়ার্ন। সমান ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে তিনে পিএসজি।

আরও পড়ুনলিভারপুলের আর্জেন্টাইন হেডে ‘ভাঙল’ রিয়ালের কোর্তোয়া-দেয়াল২ ঘণ্টা আগে১২২ বছর আগের স্মৃতি ফেরাল আর্সেনাল:  

স্লাভিয়া প্রাহার মাঠে ৩-০ গোলে জিতেছে আর্সেনাল। প্রথমার্ধের ৩২ মিনিটে বুকায়ো সাকা পেনাল্টি থেকে গোল করেন। বিরতির পর দুটি গোল করেন উইঙ্গার মিকেল মেরিনো। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এ নিয়ে টানা ১০ ম্যাচ জিতল আর্সেনাল। টানা আট ম্যাচে ক্লিন শিটও ধরে রাখল তারা। সর্বশেষ এমন কিছু দেখা গেছে ১৯০৩ সালে। ৪ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আর্সেনাল।

রাতের অন্যান্য ম্যাচে আতলেতিকো মাদ্রিদ ৩-০ গোলে হারিয়েছে ইউনিয়নকে। জুভেন্টাস ও স্পোর্টিং লিসবনের মধ্যে ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হয়। কোপেনহেগেনকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে টটেনহাম হটস্পার। পিএসভি-অলিম্পিয়াকোস ম্যাচ ১-১ গোল ড্র হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ