পরিবেশবান্ধব জ্বালানি হিসেবে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে রবি আজিয়াটা, ফ্লোসোলার সল্যুশনস ও গ্রিনপাওয়ার এশিয়া একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। চুক্তির আওতায় ১০০ মেগাওয়াট পিক (এমডব্লিউপি) সৌরবিদ্যুৎ প্ল্যান্ট নির্মাণ ও পরিচালনায় একটি স্পেশাল পারপাস ভেহিকেল (এসপিভি) গঠন করা হবে।

আজ বুধবার রবির করপোরেট অফিসে এক অনুষ্ঠানে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, উদ্যোগটি নেওয়া সম্ভব হচ্ছে সরকারের প্রস্তাবিত মার্চেন্ট পাওয়ার প্ল্যান্ট নীতির কারণে। খসড়া এ নীতিমালায় বলা হয়েছে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি ছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদন ও গ্রাহকের কাছে সহজে বিক্রির সুযোগ পাবে। শিগগিরই নীতিমালাটি অনুমোদন হওয়ার কথা রয়েছে।

প্রকল্পটি বিল্ড–ওন–অপারেট (বিওও) মডেলে বাস্তবায়ন হবে। প্রকল্পটি কার্যকর হলে বছরে প্রায় ৬৮ দশমিক ২ টন কার্বন নিঃসরণ কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে রবির সিটিও পেরিহান এলহামী আহমেদ মেতাওয়েহ বলেন, ‘এই অংশীদারত্ব আমাদের টেকসই যাত্রায় এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এটি উদ্ভাবন, নীতিগত ও কৌশলগত সহযোগিতার একটি যুগান্তকারী সংমিশ্রণ। সিপিপিএর মাধ্যমে ১০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন নিশ্চিত করে আমরা শুধু জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাচ্ছি না; বরং খরচ সাশ্রয় এবং পরিবেশ, সামাজিক ও সুশাসনগত (ইএসজি) দায়িত্বের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের টেলিকম খাতে অগ্রগামী ভূমিকা রাখছি।’

ফ্লোসোলারের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা আজিম কাসেম খান বলেন, ‘সরকারের উদ্ভাবনী নীতিমালার মাধ্যমে কীভাবে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার দ্রুততর করা যায় এবং কম খরচে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হয়, তার একটি দৃষ্টান্ত হবে প্রস্তাবিত এই সৌর পার্ক। এটি ভবিষ্যতের মার্চেন্টভিত্তিক নবায়নযোগ্য প্রকল্পগুলোর জন্য একটি মডেল হবে।’

গ্রিনপাওয়ার এশিয়ার প্রেসিডেন্ট পিয়েরিক মোরিয়ে বলেন, ‘রবি ও ফ্লোসোলারের সঙ্গে আমাদের এ সহযোগিতা নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনাকে জোরালোভাবে তুলে ধরছে। এ প্রকল্প জ্বালানি নিরাপত্তা ও টেকসই পরিবেশ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে।’

এমওইউয়ে স্বাক্ষর করেন রবি আজিয়াটার চিফ টেকনোলজি অফিসার (সিটিও) পেরিহান এলহামী আহমেদ মেতাওয়েহ, ফ্লোসোলার সল্যুশনস লিমিটেডের ফ্লোসোলারের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা আজিম কাসেম খান ও গ্রিনপাওয়ার এশিয়ার প্রেসিডেন্ট পিয়েরিক মোরিয়ে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় ফ্রান্সের দূতাবাসের হেড অব ইকোনমিক ডিপার্টমেন্ট জুলিয়েন দুয়ে, রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম ও ফ্লোসোলারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স রব দ য ৎ প রকল প সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের হামলায় পাকিস্তানে নিহত বেড়ে দাঁড়াল ৩১

পাকিস্তানে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও গুলিবর্ষণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও ৫৭ জন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর বিবিসির

‘অপারেশন সিঁদুর’ নাম দিয়ে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার পর পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও আজাদ কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থাপনায় এই হামলা চালায় ভারত।

এর আগে হামলায় ২৬ জন নিহত ও আহত অনেকের হওয়ার খবর জানান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ১৫ ভারতীয় নাগরিকের প্রাণহানি ও বেশ কয়েকজন আহত হন বলে জানায় ভারত।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি, তারা এসব হামলা চালিয়ে সশস্ত্র গোষ্ঠী লস্কর-ই-তায়েবা (এলইটি) ও জইশ-ই-মোহাম্মদের (জেইএম) প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা বলেছে, পাঞ্জাবের ভাওয়ালপুরে জেইএমের ঘাঁটি এবং একই প্রদেশের মুরিদকে শহরে এলইটি’র আস্তানাসহ নয়টি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে তারা।

অবশ্য পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর তথ্যমতে, পাকিস্তানের ছয় স্থান—পাঞ্জাবের শিয়ালকোট, ভাওয়ালপুর ও মুরিদকে এবং পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফ্ফারাবাদ, বাগ ও কোটলিতে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে।

এদিকে ভারতের হামলার পর পাকিস্তানের পক্ষ থেকে পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করা হয়েছে। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র জানান, এর মধ্যে তিনটি ফ্রান্সের তৈরি রাফাল, একটি রাশিয়ার তৈরি সু-৩০ ও অন্যটি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান। সু-৩০ ও মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান সোভিয়েত আমলে তৈরি।

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী জানায়, দেশটির মাটিতে আক্রমণে অংশ নেওয়ার পরই ওই পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমানকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার মাধ্যমে ভারতের হামলার জবাব দিয়েছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। তবে পাকিস্তানের এ দাবির বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে কিছু নিশ্চিত করা হয়নি।

অন্যদিকে ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতেই নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে (এলওসি) পাকিস্তানি সেনারা গোলাবর্ষণ করেছে। এতে ১৩ ভারতীয় নাগরিক নিহত হয়েছে।

গত ২২ এপ্রিল ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানির পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এখন তা পাল্টাপাল্টি হামলায় রূপ নিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ