চাঁদপুরে দুই অটোরিকশার সংঘর্ষে যুবক নিহত
Published: 7th, May 2025 GMT
চাঁদপুরে সিএনজিচালিত দুই অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে এনাম হোসেন (২১) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৫ জন।
বুধবার (৭ মে) দুপুর ১টার দিকে সদর উপজেলার দেবপুরে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত এনাম হোসেন জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল ইউনিয়নের নাটেহারা গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে।
বাকিলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো.
আরো পড়ুন:
ঈদুল আজহায় সড়ক দুর্ঘটনা রোধে আহছানিয়া মিশনের ৯ সুপারিশ
কুড়িগ্রামে ট্রাক্টরে ট্রেনের ধাক্কা, আহত ২
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’
ঢাকা/অমরেশ/রাজীব
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত
এছাড়াও পড়ুন:
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ: যশোরে ‘কাচ্ছি ভাই’সহ তিন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য তৈরি ও বিক্রির অভিযোগে যশোরে ‘কাচ্চি ভাই’, ‘জনি কাবাব’ ও ‘অনন্যা ঘোষ ডেয়ারি’ নামের তিনটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে মামলা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে জেলা বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শান্তনু কুমার মণ্ডলের নেতৃত্বে একটি দল এসব প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায়।
অভিযানে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে ফেলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য প্রস্তুত, সরবরাহ ও খাদ্যপ্রক্রিয়ায় মান লঙ্ঘনের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে থেকেই মামলা করেন স্যানেটারি পরিদর্শক ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মহিবুল ইসলাম।
অভিযানে অংশ নেন জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা আবদুর রহমান ও জেলা স্যানেটারি পরিদর্শক নাজনীন নাহার।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, খাদ্য আদালতের ভ্রাম্যমাণ দলটি প্রথমেই যশোরের রেল সড়কে অবস্থিত কাচ্চি ভাই নামের প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায়। বিভিন্ন অসংগতির কারণে প্রতিষ্ঠানের মালিক ভেকুটিয়া গ্রামের সোহেল সিরাজের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
পরে দলটি যায় পার্শ্ববর্তী জনি কাবাবে। সেখানেও ছিল একই অবস্থা। বিশেষ করে রান্নাঘরে দেখেন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। অনিরাপদ অবস্থায় রান্নাঘরেই রয়েছে গ্যাসের সিলিন্ডার। প্রতিষ্ঠানের মালিক বেজপাড়ার জয়নুল হক জনির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
এরপর দলটি যায় শহরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সড়কের মিষ্টি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অনন্যা ঘোষ ডেয়ারিতে। সেখানে গিয়ে আদালত দেখতে পান, দোকানের সামনে সুন্দরভাবে মিষ্টি সাজিয়ে রাখলেও ভেতরের গুদামে ময়লা–আবর্জনার স্তূপের পাশেই রাখা হয়েছে মিষ্টির গামলাসহ বিভিন্ন আসবাব। পরে তাঁরা যান ঘোপ নওয়াপাড়া সড়কে অনন্যা ঘোষ ডেয়ারির কারখানায়। সেখানে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, মিষ্টিতে মাছি, স্যাতসেতে পরিবেশ ছিল। পরে প্রতিষ্ঠানের মালিক মিহির ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা আবদুর রহমান বলেন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত, সরবরাহ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের অভিযোগে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি আদালতের নেতৃত্বে তিনটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে ফেলায় নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ অনুযায়ী তিনটি প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।