জবি ‘এ’ ক্যাটাগরিতে, আবাসন সমস্যা অগ্রাধিকার পাবে: ইউজিসি সদস্য
Published: 7th, May 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের আবাসিক সমস্যা সমাধানে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান।
তিনি বলেছেন, “হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট) প্রকল্পের আওতায় দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ‘এ’ ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত। ফলে উন্নয়ন প্রকল্প ও বাজেট বরাদ্দে এ বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রাধিকার পাবে।”
বুধবার (৭ মে) জবি উপাচার্য কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষার্থী ও ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সাংবাদিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে শিক্ষার্থী-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে এই সভার আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবিষয়ক সমস্যা সমাধানে গঠিত কমিটি উদ্যোগে আয়োজিত এ সভায় শিক্ষার্থীরা তাদের আবাসন-সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা ও চাহিদা তুলে ধরেন।
সভায় ইউজিসি সদস্য বলেন, “শিক্ষা খাতে বাজেট বৃদ্ধি এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চাহিদা অনুযায়ী সম্পদ বরাদ্দ নিশ্চিত করা গেলে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান সম্ভব। তবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের আবাসিক সমস্যা সমাধানে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।”
কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড.
কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেন, “আবাসন সংকট নিরসনে প্রশাসন, ইউজিসি ও সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে একযোগে কাজ করতে হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেন স্বস্তিতে পড়াশোনা করতে পারে, সে ব্যবস্থা করতে হবে।”
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ রেজাউল করিম বলেন, “প্রচলিত কাঠামো ভেঙে পরিবর্তন আনার জন্য আমাদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। শুধু ইউজিসির বাজেট নয়, অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্পেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সমস য ইউজ স সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
এনসিপি ও এবি পার্টির নেতাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল কুলিয়াপাড়ায় ‘আল্লাওয়ালা হ্যাচারি’তে আলী আকবর নামের যুবক খুনের ঘটনায় এনসিপি নেতা রাইয়ান কাশেম ও আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কাশেমসহ ৬ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মামলাটি নথিভুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান। নিহত আলী আকবরের স্ত্রী এলমুন্নাহার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- জাহাঙ্গীর কাশেম (৬০), তার ছেলে ও জেলা এনসিপি নেতা রাইয়ান কাশেম (২৮), আবুল কাশেমের ছেলে তানভীর কাশেম (৫০), আল্লাওয়ালা হ্যাচারীর ম্যানেজার আনোয়ার (৫০), আলী আহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদ হোছাইন (২৮) এবং রেজাউল করিমের ছেলে মো. মিজানুর রহমান (১৯)। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয়ে ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে রায়হান কাশেম, মিজান ও আনোয়ার হোসাইন কারাগারে রয়েছেন।
মামলা নথিভুক্ত হওয়ার আগেই মঙ্গলবার পুলিশ হেফাজতে থাকা হ্যাচারি পরিচালক রাইয়ান কাশেমকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় আদালতে সোপর্দ করা হয়। কক্সবাজার সদর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আখতার জাভেদের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মিজান ও হোসাইন নামের আরও দুজনকে সোমবার কারাগারে পাঠানো হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম ফারুক খান কায়সার জানান, তারা এ ঘটনায় রাইয়ানের সম্পৃক্ততা না থাকার বিষয়ে নানা যুক্তি তুলে ধরেছেন। কিন্তু আদালত এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে আদালত রাইয়ানকে সুচিকিৎসার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এ ঘটনায় কারাগারে থাকা রাইয়ান কাশেম জুলাই অভ্যুত্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক। সম্প্রতি আত্মপ্রকাশ করা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জেলার নেতা হিসেবে কাজ করছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, রোববার রাত ১০টার দিকে খুরুশকুলের কুলিয়াপাড়া ও মাঝির ঘাট এলাকার ‘আল্লাওয়ালা হ্যাচারি’ নামে ঘেরে আলী আকবর নামের ওই যুবককে হত্যার অভিযোগ ওঠে। নিহত আলী আকবর খুরুশকুলের কুলিয়াপাড়ার মৃত দানু মিয়ার ছেলে।