শ্রীপুরে রেললাইনে ত্রুটি, লাল ওড়না দেখে থামল ট্রেন
Published: 8th, May 2025 GMT
গাজীপুরের শ্রীপুরে রেললাইনে ত্রুটি দেখে লাল ওড়না উড়িয়ে সংকেত দিয়ে বলাকা কমিউটার এক্সপ্রেস ট্রেন থামিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার দিকে উপজেলার বালিয়াপাড়া গ্রামে শ্রীপুর ও কাওরাইদ রেলস্টেশনের মাঝামাঝি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রেলওয়ের লোকজন এসে তাৎক্ষণিক ত্রুটি সারিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করেন।
রেলওয়ের কর্মী ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকালে ঢাকা থেকে জারিয়ামুখী বলাকা কমিউটার এক্সপ্রেস ট্রেন আসার আগে বালিয়াপাড়া গ্রামে রেললাইনের একটি অংশে ত্রুটি দেখতে পান ওই গ্রামের এক বাসিন্দা। খবর পেয়ে সেখানে স্থানীয় আরও অনেকেই জড়ো হন। তাঁরা রেললাইনের একটি অংশে ফাটল দেখতে পান। লাইনের একপাশ বিপজ্জনকভাবে উঁচু হয়ে ছিল। এ দৃশ্য দেখে স্থানীয় লোকজন সে সময় ওই পথে চলাচল করার ট্রেন থামানোর প্রস্তুতি নেন। বলাকা কম্পিউটার এক্সপ্রেস ট্রেন আসার সময় তাঁরা একটি লাল ওড়না দেখিয়ে সংকেত দেন। সংকেত দেখতে পেয়ে ট্রেনটি নিরাপদ দূরত্বে থামিয়ে ফেলেন লোকোমাস্টার। এরপর কাওরাইদ রেলস্টেশন থেকে ট্রেনের কর্মীরা এসে ক্ষতিগ্রস্ত লাইন ঠিক করে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করেন।
শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স থ ন য় ল কজন
এছাড়াও পড়ুন:
আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন চয়নিকা চৌধুরী
চেক ডিজঅনার মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির দুই দিন পর আদালতে আত্মসমর্পণ করায় জামিন পেয়েছেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (৮ মে) ঢাকার ৭ম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ মো. বুলবুল ইসলামের আদালতে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
এর আগে, গত ৬ মে মামলার ধার্য তারিখে আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় চয়নিকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন আদালত।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল এ তথ্য জানিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন চয়নিকা চৌধুরী। তবে পূর্বের ধার্য তারিখে আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় তাকে তিরস্কার করেন বিচারক। পরে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
২০১৩ সালের ১৪ মে এই মামলা করেন প্রযোজক রাশেদুল ইসলাম রিয়াজ। এ মামলার পর ২০১৪ সালে ২ জুন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন চয়নিকা চৌধুরী। ওই বছরের ৭ আগস্ট মামলাটি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করা হয়। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ৭ম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালত তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, চয়নিকা চৌধুরীর মাধ্যমে প্রযোজক রাশেদুল ইসলাম রিয়াজ 'জীবন সুন্দর হোক' নাটক নির্মাণের প্রস্তুতি নেন। এজন্য ২০১২ সালের ২৪ আগস্ট তাদের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তি অনুযায়ী চয়নিকাকে দুই লাখ ৩০ হাজার টাকা দেন বাদী। একইসঙ্গে ২০১২ সালের ৩০ অক্টোবর চয়নিকা বাদী রিয়াজকে দুই লাখ ৩০ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন।
অভিযোগে বলা হয়, আসামি চুক্তিবদ্ধ হয়েও নাটক নির্মাণ করেননি। যোগাযোগ করলে তিনি নাটক নির্মাণ করতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। তখন টাকা ফেরত চাইলে তিনি ২০১৩ সালের জানুয়ারি চেক নগদায়ন করতে অনুরোধ করেন। পরে একাধিকবার টাকা নগদায়ন করতে গেলে চেক ডিজঅনার হয়। টাকা ফেরত চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হলেও তিনি টাকা ফেরত দেননি।