ভালুকায় পুলিশ পরিচয়ে যুবলীগ নেতার বাড়িতে ডাকাতি, টাকা-স্বর্ণ লুট
Published: 8th, May 2025 GMT
ময়মনসিংহের ভালুকায় পুলিশ পরিচয়ে যুবলীগের স্থানীয় এক নেতার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার কাচিনা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাচিনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ডাকাতদের ১০ থেকে ১৫ জনের একটি দল বাড়ির ফটকের দরজা ভাঙার সময় পরিবারের সদস্যরা টের পেয়ে যান। তখন পরিচয় জানতে চাইলে ডাকাতেরা নিজেদের পুলিশ সদস্য পরিচয় দিয়ে ভেতরে ঢোকেন। পরে পরিবারের সদস্যদের হাত-পা বেঁধে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যান। খবর পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায় পুলিশ।
যুবলীগের ওই নেতার নাম মামুনুর রশিদ। তিনি কাচিনা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে এবং ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে তিনি সদস্যপদে নির্বাচন করেছিলেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মামুনুরের ভগ্নিপতি আবদুল মালেক বলেন, একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে রাত সাড়ে ৩টার দিকে ১০ থেকে ১৫ জনের ডাকাতদল বাড়িতে হানা দেয়। ঘরের দরজা ভাঙার সময় স্বজনেরা টের পেয়ে যান। তখন তাঁদের পরিচয় জানতে চাইলে বলা হয়, পুলিশের লোক। পরে ভেতরে ঢুকে মামুনুরের তিন বছর বয়সী মেয়ের গলায় ছুরি ধরে জিম্মি করে আরেক মেয়ে ও স্ত্রীর হাত-পা বেঁধে ফেলেন তাঁরা। এরপর ঘরের স্টিলের আলমিরা ও অন্যান্য ফার্নিচার তছনছ করে ২ লাখ ২৯ হাজার টাকা এবং ৫ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যান।
আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, মামুনুরের ঘরে ছয়জন ডাকাতি করার সময় পাশের ঘরে থাকা তাঁর বাবা আবুল কালামকে দুজন এবং বড় ভাই শফিকুল ইসলামের ঘরে আরও তিনজন ঢুকে তাঁদের বেঁধে ফেলেন। ডাকাত দলের সদস্যরা সবাই ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী। দুজনের বয়স ৫০ বছরের মতো হবে। প্রায় ৩০ মিনিট সময় ধরে এ কাজ করে তাঁরা এলাকা ছেড়ে চলে যান।
মামুনুরের বড় ভাই শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ঘরে ঢোকার মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই পেছন থেকে ডাকাতেরা ঘরে ঢুকে আমাকে বেঁধে ফেলেন। দা দিয়ে আমাকে আঘাতও করেন। ডাকাত দল আমার ছোট ভাইয়ের ঘরে গেলে টের পেয়ে ভিন্ন দরজা দিয়ে ঘর থেকে সে পালিয়ে যায়। যেহেতু আমার ভাই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন, পুলিশ আসতেই পারে। কিন্তু এখানে ডাকাতেরাই ঘটনা ঘটিয়েছেন। সবার মুখ বাধা থাকায় আমরা কাউকে চিনতে পারিনি। ডাকাতেরা চলে যাওয়ার পর আশপাশের লোকজন এসে আমাদের বাঁধন খুলে দেয়।’
খবর পেয়ে ভালুকা মডেল থানার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোবিন্দ দাস ঘটনাস্থলে যান। তিনি ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে বাড়িতে দলটি ঢুকলে পালিয়ে যান মামুনুর রশিদ। কিন্তু দলটি টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছেন বলে পরিবারটি দাবি করছে। জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে কাজ চলছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স বর ণ ল পর ব র য বল গ সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
ডুবে যাওয়া ট্রলারের সঙ্গে কুয়াকাটায় ভেসে এল জেলের মরদেহ
ডুবে যাওয়ার প্রায় দুই সপ্তাহ পর পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে ভেসে এসেছে এফবি সাগরকন্যা নামের একটি মাছ ধরার ট্রলার। এতে মিলেছে এক নিখোঁজ জেলের মরদেহ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সৈকতের পূর্ব দিকে কুয়াকাটা ট্যুরিজম পার্কসংলগ্ন এলাকায় ট্রলারটি খুঁজে পাওয়া যায়।
মৃত ওই জেলের নাম ইদ্রিস হাওলাদার (৫০)। তিনি মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম মধুখালী গ্রামের বাসিন্দা। এক ব্যক্তি নিজেকে ইদ্রিসের স্বজন দাবি করে লাশটিকে শনাক্ত করেছেন। ওই ট্রলারের থাকা আরও তিন জেলে এখনো নিখোঁজ বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ জুলাই বঙ্গোপসাগরের শেষ বয়া থেকে ৭৫ কিলোমিটার গভীরে ১৫ জেলেসহ এফবি সাগরকন্যা নামের মাছধরার ট্রলারটি ডুবে যায়। সেখানে ৪ দিন ভেসে থাকার পর ১০ জেলেকে আরেকটি ট্রলারের সাহায্যে উদ্ধার করা হয়। পরে ১ আগস্ট নজরুল ইসলাম নামের ওই ট্রলারে থাকা এক জেলের মরদেহ ভেসে আসে কুয়াকাটা সৈকতের মীরা বাড়ি পয়েন্ট এলাকায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুয়াকাটা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ইদ্রিস হাওলাদারের মরদেহসহ ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।