নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় হামলায় আহত এক কৃষক মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে গতকাল বুধবার সন্ধ্যার দিকে লোহাগড়া উপজেলার করফা গ্রামে তাঁর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। পরিবারের অভিযোগ, চাচাতো ভাই ও ভাতিজারা তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছেন।

মৃত সৈয়দ টোকন আলীর (৬০) বাড়ি করফা গ্রামে। তিনি পেশায় কৃষক। এ ঘটনায় আহত টোকনের দুই ছেলে সৈয়দ রাজু ও সৈয়দ রুবেল এবং এক পুত্রবধূ লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।

মৃত ব্যক্তির পরিবারের দাবি, গতকাল বিকেলে টোকন আলীর বাড়ির ওপর দিয়ে ভ্যান নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁর চাচাতো ভাইয়ের ছেলেরা। এ সময় তাঁদের ভ্যান নিতে নিষেধ করেন টোকনের স্ত্রী। তখন টোকনের স্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এর কিছু সময় পর টোকন ও তাঁর দুই ছেলে রাজু এবং রুবেল মাঠ থেকে বাড়িতে ফিরলে তাঁদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান টোকনের চাচাতো ভাই ফেরদৌস, রিজ্জাক, এরদাউস ও ভাতিজা রহিম, করিম, রহমত, হৃদয় আলীসহ বাড়িতে থাকা ধান কাটার শ্রমিকেরা। হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেন টোকন, তাঁর দুই ছেলে এবং এক পুত্রবধূকে। পরে স্বজন ও স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। রাতে টোকনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসক তাঁকে অন্যত্র নেওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর টোকনকে প্রথমে যশোর ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। আজ দুপুর ১২টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা সবাই এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ায় তাঁদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দুই পরিবারের মধ্যে জমিজমাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছে। গতকাল বিকেলে বাড়ির ওপর দিয়ে ভ্যান নেওয়ায় টোকনের স্ত্রীর সঙ্গে ফেরদৌসদের পরিবারের সদস্যদের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। সন্ধ্যার পর বাড়ি এসে ঘটনা শুনে ছেলেদের সঙ্গে নিয়ে টোকন চাচাতো ভাইদের কাছে যান বিষয়টি জানতে। এ সময় ফেরদৌসদের হামলায় টোকনসহ তাঁদের পরিবারের চারজন এবং ফেরদৌসদের পরিবারের একজন আহত হন। টোকনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। আজ তিনি মারা গেছেন।

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

আশিকুর রহমান বলেন, ঘটনার পরপরই ওই এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়। এখনো অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র পর ব র র ল হ গড় উপজ ল র ওপর অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

বৈষম্যমুক্ত সমাজ নির্মাণে যাঁর চিন্তা অন্তহীন প্রেরণার উৎস

ইতিহাসে সময় কখনো কখনো মুখর ও চঞ্চল হয়ে ওঠে। তখন খোলনলচে অনেক কিছু বদলাতে শুরু করে। জন্ম হয় নতুন মানুষের। এঁদের মধ্যে দু-একজন থাকেন দুর্লভ, যাঁদের দেখার চোখ, বলার ভঙ্গি বা শোনার ক্ষমতা সবার চেয়ে আলাদা। এসব মননশীল ও গভীর চিন্তাশীল মানুষ প্রচলিত ধ্যানধারণায় মোচড় দেন, নড়েচড়ে বসে সমাজ। তাঁদের মৌলিক চিন্তা সমস্যাকে শনাক্ত করার ও বিশ্লেষণের কাঠামোই আমূল বদলে দেয়। কার্ল হাইনরিশ মার্ক্স এমনই একজন মনীষী। ৫ মে ছিল তাঁর ২০৭তম জন্মদিন।

তৎকালীন প্রুশিয়া সাম্রাজ্যের রাইন প্রদেশের ট্রিয়ার শহরে ১৮১৮ সালের ৫ মে এক ইহুদি পরিবারে কার্ল মার্ক্সের জন্ম। ৯ ভাই-বোনের মধ্যে কার্ল মার্ক্স ছিলেন তৃতীয়। দক্ষিণ জার্মানির এই শহর তখন আজকের মতো এতটা বড় ছিল না। মানে, ইউরোপের কোনো রাজধানী শহর নয়, একটি অপরিচিত প্রাদেশিক শহর থেকেই উঠে এসেছিলেন আধুনিক সময়ের অন্যতম প্রভাবশালী এই দার্শনিক, রাজনৈতিক অর্থনীতিবিদ ও স্বাপ্নিক।

কার্ল মার্ক্সের ব্রোঞ্জের ভাস্কর্য স্থাপন করা হচ্ছে। জার্মানির ট্রিয়ার শহরে, এপ্রিল ১৩, ২০১৮

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জবিতে ৫ বছরে ৯ আত্মহত্যা, মানসিক সেবায় নেই পেশাদার কাউন্সিলর
  • সাংবাদিকতার মান নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রোহিত
  • ইমিগ্রেশনের অতিরিক্ত এসপি প্রত্যাহার, বরখাস্ত ২
  • ইমিগ্রেশনের অতিরিক্ত এসপি প্রত্যাহার, বরখাস্ত দুই
  • ইমিগ্রেশনের অতিরিক্ত এসপি প্রত্যাহার, তদন্ত কর্মকর্তা বরখাস্ত
  • ইমিগ্রেশনের অতিরিক্ত এসপি প্রত্যাহার, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বরখাস্ত
  • ইমিগ্রেশনের এসপি প্রত্যাহার, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বরখাস্ত
  • আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার, বরখাস্ত ২
  • ফিরে দেখা এক জীবন: যেখানে মা ছিলেন অভিনেত্রী, অভিনেত্রী ছিলেন মা
  • বৈষম্যমুক্ত সমাজ নির্মাণে যাঁর চিন্তা অন্তহীন প্রেরণার উৎস