যে ধর্মের নামে যুদ্ধ হয়, সে ধর্মকে স্বীকার করি না: কবীর সুমন
Published: 8th, May 2025 GMT
পেহেলগামে হামলার ঘটনার পর গত মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর পাকিস্তানে হামলা চালিয়েছে ভারত। এ অভিযানের নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’। ভারতীয় তারকাই এ হামলার সমর্থন জানিয়েছেন। তবে নিজের ভিন্ন ভাবনার কথা বলেছেন গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তী। এবার ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিয়ে নিজের অবস্থান পরিস্কার করলেন কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী কবীর সুমন।
পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যম দ্য ওয়ালের সঙ্গে সাক্ষাৎকার যুদ্ধ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন কবীর সুমন। প্রথমেই তিনি বলেন, ‘আমি যুদ্ধের সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে। সে যুদ্ধ যেই করুক, যারাই করুক, যেভাবেই করুক, আমি যুদ্ধবিরোধী ব্যক্তি। আমি তো লিখেছিলাম আমার গানে গানে এই যুদ্ধ বন্ধের কথা। সেই গান আজ সকল শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের মনে পড়বে।’
কয়েকটি প্রশ্ন তুলে কবীর সুমন বলেন, ‘এই দেশ যখন ভাগ হয়েছিল আমার অনুমতি নিয়েছিল কেউ? দেশের কোনও মানুষের অনুমতি নিয়েছিল কেউ? দেশের নেতারা কোনও জনগনের অনুমতি নিয়েছিল? আমি উপমহাদেশের নাগরিক! কীসের ভিত্তিতে আমার দেশ ভাগ হয়েছিল? আমি ১৯৪৯ সালে জন্মেছিলাম। আমি কোথায় জন্মালাম? তখন তো আমার কোন ব্যক্তিগত পছন্দ ছিল না! আমি তখন থেকেই সব জিনিস সন্দেহের চোখে দেখি। দেশপ্রেম আমার কাছে একটা বুজরুকি। সেখানে মানবপ্রেম নেই। মানুষের জন্য প্রেম নেই, প্রাণীদের জন্য প্রেম নেই।’
যুদ্ধ একেবারেই কাম্য নয়। আজকের সকালে খুব ব্যথিত হয়ে জানাচ্ছেন কবীর সুমন। তিনি আরও বলেন, ‘একবার ভেবে দেখুন বন্ধু, একটা যুদ্ধ হচ্ছে অস্ত্র চালাচ্ছি আমরা, অথচ কতগুলো প্রাণ হারাচ্ছে যারা এই পৃথিবীর কোনো ক্ষতি করেনি। কতগুলো গাছ পুড়ে যাচ্ছে, গাছ ধ্বংস নিয়ে কোনো নেতার কোনো মাথাব্যথা নেই। আর যাঁরা দেশপ্রেম দেখাচ্ছেন, তারা এই গাছেদের পুড়ে যাওয়া, গাছের সঙ্গে কত নিরীহ পাখি, পোকামাকড় মারা যাওয়া নিয়ে কিছু বলছেন না। জল বিষাক্ত হয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে কারও হেলদোল নেই।’
অপারেশন সিঁদুর নিয়ে তিনি বলেন, ‘সিঁদুর দেখাচ্ছে? কিসের অপারেশন সিঁদুর? আর বেশি বলতে চাই না। আমার মুখ দিয়ে এবার আর বললে খারাপ খারাপ কথা বেরোবে! আমি ৭৭ বছরের বৃদ্ধ। আমি সম্পূর্ণভাবে এই “দেশপ্রেমের”বিরুদ্ধে এবং এই যুদ্ধের বিরুদ্ধে।’
কবীর সুমনের কথায়, ‘এটাই বলি, যে ধর্মের নামে যুদ্ধ হয়, আমি সেই ধর্মকে স্বীকার করি না। সেই ধর্মকে আমি ধিক্কার জানাই। যে মতবাদ যুদ্ধ ঘটায়, তাকে আমি ধিক্কার জানাই।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মধ্যপ্রাচ্য সফরে পারস্য উপসাগরের নাম পরিবর্তন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন ট্রাম্প
মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশ পারস্য উপসাগরের নাম পরিবর্তন করতে চায়। তারা চায়, যুক্তরাষ্ট্র নতুন নামটি গ্রহণ করুক। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আসন্ন মধ্যপ্রাচ্য সফরে স্বাগতিক দেশের নেতারা তাকে এ বিষয়ে অনুরোধ করতে পারেন। তখন তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান ট্রাম্প। বুধবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘জলপথটির (পারস্য উপসাগরের) নাম নিয়ে আমি কোনো ঘোষণা দেব কি না, সে বিষয়ে আমাকে একটি সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমি কারও অনুভূতিতে আঘাত দিতে চাই না। তবে আমি জানি না, এতে (নাম পরিবর্তন করা হলে) কারও অনুভূতিতে আঘাত লাগবে কি না।’
১৩ থেকে ১৬ মের মধ্যে ট্রাম্প সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সফর করবেন। গত জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর মধ্যপ্রাচ্যে এটাই তার প্রথম সফর।