গত ৪ মে ‘আটাব সভাপতি ও মহাসচিবের বিরুদ্ধে এয়ার টিকেটের মূল্য কারসাজির অভিযোগ’ শিরোনামে অনলাইনে সংবাদ প্রকাশ করে সমকাল। এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস্ অব বাংলাদেশের (আটাব) মহাসচিব আফসিয়া জান্নাত সালেহ।
প্রতিবাদপত্রে তিনি লিখেছেন, ট্রাভেল এজেন্ট ব্যবসায় টিকেট সিন্ডিকেটদের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে একটি চক্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও পত্রপত্রিকায় মিথ্যা, বানোয়াট ও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এর লক্ষ্য আটাব সভাপতি, মহাসচিব ও কার্যনির্বাহী পরিষদকে সরিয়ে এয়ার টিকেট মার্কেটে পুনরায় তাদের একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা।
আফসিয়া জান্নাত সালেহ দাবি করেন, আটাব সভাপতি ও মহাসচিব কোনো রাজনৈতিক দল, অর্থপাচার বা টিকেট চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন। প্রতিবেদনে উপস্থাপিত এমন কোনো চেক বা অর্থ লোপাটের ঘটনা ঘটেনি। আটাবের অর্থব্যয়ের হিসাব ও বিল, ইনভয়েস ও রশিদ রয়েছে।
প্রতিবেদকের বক্তব্য
আটাব সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, তথ্য-প্রমাণ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ-সংক্রান্ত কাগজপত্র পর্যালোচনা করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। অভিযোগকারী ও অভিযুক্তদের বক্তব্যও রয়েছে। কারও সম্মানহানি করার উদ্দেশ্য সমকালের ছিল না।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিপ্লব বদলালেন উত্তরবঙ্গের হালকা প্রকৌশলশিল্প
বগুড়ার প্রকৌশলী মো. মাহমুদুন্নবী বিপ্লব করোনা মহামারির সময় তৈরি করেন অক্সিজেন কনসেনট্রেটর। বগুড়া থেকে বিধিনিষেধের সময়ে রাত জেগে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর তৈরি করেন তিনি। দেশি প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে নিজের মেধা দিয়ে এক মাসেই বহনযোগ্য অক্সিজেন কনসেনট্রেটর তৈরি করেন মো. মাহমুদুন্নবী। এই অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের মাধ্যমে ঘরের বাতাস থেকেই প্রতি ঘণ্টায় ৩০০ লিটার পর্যন্ত অক্সিজেন তৈরি করা যায়। এটি ব্যবহারও বেশ সহজ। একটি রেগুলেটরের মাধ্যমে মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে বিশুদ্ধ অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে যন্ত্রটি। ৩০ কেজি ওজনের কম এই অক্সিজেন কনসেনট্রেটর যেকোনো হাসপাতালে ব্যবহারের সুযোগ তৈরি হয়েছে। খরচ পড়েছে ৭০ হাজার টাকা।
১৯৯৬ সালে বগুড়া পলিটেকনিকে শিক্ষকতার পাশাপাশি মো. মাহমুদুন্নবী রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং ওয়ার্কশপ গড়ে তোলেন। তার ওয়ার্কশপেই তিনি বন্যা-পূর্ব সতর্কতার একটি বিশেষ যন্ত্র উদ্ভাবন করেন। মাত্র পাঁচ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই যন্ত্র ব্যাটারি ও সৌর প্যানেলে চলে। মাহমুদুন্নবীর বন্যা-পূর্ব সতর্কীকরণ যন্ত্র ২০১৮ সালে বগুড়ায় ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবকের পুরস্কার পায়। মাহমুদুন্নবীর অন্যান্য উদ্ভাবনের মধ্যে বেবি ইউরিন অ্যালার্ম বেড, রোগীর শরীরে পুশ করার স্যালাইন অ্যালার্ম সিস্টেম, জলজ প্রাণীর জন্য পানিতে অক্সিজেন সরবরাহের জন্য ওয়াটার অ্যারোয়েটর, করোনা প্রতিরোধে অটোমেটিক স্যানিটাইজিং মেশিন, প্যারালাইজড রোগীর ব্যবহারের জন্য অটোমেটিক হ্যান্ড এক্সারসাইজ, ডিজিটাল ডোর লক, রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেমের জন্য লক রিং টুলস অন্যতম। গুরুতর অসুস্থ রোগীদের নিবিড় পরিচর্যা ওয়ার্ডে (আইসিইউ) ব্যবহারের জন্য ভেন্টিলেটর মেশিন প্রস্তুত করছেন তিনি।
ধীরে ধীরে উত্তরবঙ্গের অন্যতম বড় ওয়ার্কশপ হিসেবে গড়ে তুলেছেন কাঁকন রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং ওয়ার্কশপকে। মাহমুদুন্নবী বলেন, ‘এখন উত্তরবঙ্গে অনেক বড় শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের কারিগরি সমস্যা ও ত্রুটি মেরামতের জন্য বিদেশ থেকেও প্রকৌশলী আনা হতো। সেই সমস্যা সমাধানে আমরা স্থানীয় প্রকৌশলীরা কাজ করছি।’ আইডিএলসি-প্রথম আলো এসএমই পুরস্কার ২০২৩–এ মো. মাহমুদুন্নবী সম্মানজনক স্বীকৃতি পেয়েছেন।