Samakal:
2025-11-17@11:02:35 GMT

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

Published: 8th, May 2025 GMT

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

গত ৪ মে ‘আটাব সভাপতি ও মহাসচিবের বিরুদ্ধে এয়ার টিকেটের মূল্য কারসাজির অভিযোগ’ শিরোনামে অনলাইনে সংবাদ প্রকাশ করে সমকাল। এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস্ অব বাংলাদেশের (আটাব) মহাসচিব আফসিয়া জান্নাত সালেহ।

প্রতিবাদপত্রে তিনি লিখেছেন, ট্রাভেল এজেন্ট ব্যবসায় টিকেট সিন্ডিকেটদের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে একটি চক্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও পত্রপত্রিকায় মিথ্যা, বানোয়াট ও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এর লক্ষ্য আটাব সভাপতি, মহাসচিব ও কার্যনির্বাহী পরিষদকে সরিয়ে এয়ার টিকেট মার্কেটে পুনরায় তাদের একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা।

আফসিয়া জান্নাত সালেহ দাবি করেন, আটাব সভাপতি ও মহাসচিব কোনো রাজনৈতিক দল, অর্থপাচার বা টিকেট চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন। প্রতিবেদনে উপস্থাপিত এমন কোনো চেক বা অর্থ লোপাটের ঘটনা ঘটেনি। আটাবের অর্থব্যয়ের হিসাব ও বিল, ইনভয়েস ও রশিদ রয়েছে।

প্রতিবেদকের বক্তব্য

আটাব সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, তথ্য-প্রমাণ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ-সংক্রান্ত কাগজপত্র পর্যালোচনা করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। অভিযোগকারী ও অভিযুক্তদের বক্তব্যও রয়েছে। কারও সম্মানহানি করার উদ্দেশ্য সমকালের ছিল না।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অভ য গ আট ব স

এছাড়াও পড়ুন:

এন্নিও মোররিকোনে, শোনাতেন ছুটন্ত ঘোড়ার খুরের সুর

বাংলা সিনেমার এক টিপিক্যাল দৃশ্য দিয়ে শুরু করা যাক। ধরলাম, সিনেমার নায়ক জসিম। পাহাড়ের পাদতলে ঘোড়া ছুটিয়ে তিনি ছুটে যাচ্ছেন ভিলেন জাম্বুকে পাকড়াও করতে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে। এক ভুতুড়ে-রহস্যময় সুর। ড্রামের মৃদু তালে তালে ঠোঁটের শিস। ট্রাম্পেটের ঢেউ। কখনো সেই সুর মিলিয়ে যাচ্ছে হ্রেষায়, কখনো খুরের টগবগে (সুরকে যদি ভাষায় প্রকাশ করা যেত!)। ক্ষণে ক্ষণে গা শিউরে উঠছে দৃশ্য ও সুরের পরম্পরায়, ঘটনার উত্তেজনায়। কিন্তু তখন কি জানতাম, বাংলা সিনেমায় এমন জাদুকরি সুর নেওয়া হয়েছে ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ থেকে!

কিংবদন্তি ইতালিয়ান কম্পোজার প্রয়াত এন্নিও মোররিকোনের এই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বিশ্ব সিনেমার জগতে অনন্য হয়ে থাকবে সব সময়। তেমনি ‘স্পেগেত্তি ওয়েস্টার্নের’ স্রষ্টা সার্জিও লিওনের ‘ডলার্স ট্রিলজি’। ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’র শেষ দৃশ্যে কবরস্থানে যখন ত্রিমুখী হয়ে বন্দুক হাতে ‘ম্যান উইথ নো নেম’ (ক্লিন্ট ইস্টউড), ‘টুকো’ (এলি ওয়ালাচ) ও ‘অ্যাঞ্জেল আইস’ (লি ফন ক্লিফ) দাঁড়ায়, তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে সেই বিখ্যাত সাসপেন্স-থ্রিলারমাখা সুর। সেই সুরের কথাই বলেছি মূলত শুরুতে। মোররিকোনের মিউজিক কেবল ঢালিউডে নয়; বলিউডের বহু চলচ্চিত্রেও হুবহু ব্যবহার করা হয়েছে। ‘ডলার্স’ সিরিজসহ লিওনের আরও দুই মাস্টারপিস ছবি ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ওয়েস্ট’ ও ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন আমেরিকা’র মিউজিকও কম্পোজ করেন মোররিকোনে।

চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না!

চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না! এখন দর্শক কেবল পর্দার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বসে থাকেন না; কানকেও কাজে লাগান সিনেমাবোধের জন্য। কাহিনিকে যদি আমার শরীর ধরি, তবে অভিনয় হচ্ছে সিনেমার প্রাণ। আর সংগীত যেন এই দুইয়ের সংযোগস্থল। কাহিনি ও অভিনয়কে আরও বেগবান করে তোলে সংগীত।

এন্নিও মোররিকোনে (১০ নভেম্বর ১৯২৮—৬ জুলাই ২০২০)

সম্পর্কিত নিবন্ধ