গত ৪ মে ‘আটাব সভাপতি ও মহাসচিবের বিরুদ্ধে এয়ার টিকেটের মূল্য কারসাজির অভিযোগ’ শিরোনামে অনলাইনে সংবাদ প্রকাশ করে সমকাল। এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস্ অব বাংলাদেশের (আটাব) মহাসচিব আফসিয়া জান্নাত সালেহ।
প্রতিবাদপত্রে তিনি লিখেছেন, ট্রাভেল এজেন্ট ব্যবসায় টিকেট সিন্ডিকেটদের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে একটি চক্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও পত্রপত্রিকায় মিথ্যা, বানোয়াট ও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এর লক্ষ্য আটাব সভাপতি, মহাসচিব ও কার্যনির্বাহী পরিষদকে সরিয়ে এয়ার টিকেট মার্কেটে পুনরায় তাদের একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা।
আফসিয়া জান্নাত সালেহ দাবি করেন, আটাব সভাপতি ও মহাসচিব কোনো রাজনৈতিক দল, অর্থপাচার বা টিকেট চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন। প্রতিবেদনে উপস্থাপিত এমন কোনো চেক বা অর্থ লোপাটের ঘটনা ঘটেনি। আটাবের অর্থব্যয়ের হিসাব ও বিল, ইনভয়েস ও রশিদ রয়েছে।
প্রতিবেদকের বক্তব্য
আটাব সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, তথ্য-প্রমাণ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ-সংক্রান্ত কাগজপত্র পর্যালোচনা করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। অভিযোগকারী ও অভিযুক্তদের বক্তব্যও রয়েছে। কারও সম্মানহানি করার উদ্দেশ্য সমকালের ছিল না।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউএসএআইডির তহবিল হ্রাসে বাংলাদেশে চাকরি হারিয়েছেন ‘২০ হাজার মানুষ’
যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডির তহবিল কমার কারণে এ সংস্থার অর্থায়নে বিভিন্ন প্রকল্পে কর্মরত বাংলাদেশের ২০ হাজার মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। কমে যাওয়া তহবিলের পরিমাণ ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশের প্রতিবছর পাওয়া বৈদেশিক সহায়তার ১৮ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে একশনএইড বাংলাদেশ আয়োজিত ‘স্ট্রেনদেনিং কমিউনিটি সাপোর্ট এমিড চেঞ্জিং ফান্ডিং ল্যান্ডস্কেপ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়। বৈদেশিক সহায়তা কমার প্রেক্ষাপটে দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে বিকল্প পথ খোঁজার উপায় নিয়ে এ গোলটেবিলের আয়োজন করা হয়।
সেখানে একটি উপস্থাপনায় বলা হয়, বাংলাদেশ প্রতিবছর নানা উৎস থেকে ১ দশমিক ১ বিলিয়ন (১১০ কোটি) মার্কিন ডলার তহবিল পায়। ইউএসএআইডির তহবিল কমার কারণে বাংলাদেশে প্রত্যক্ষভাবে ৮ হাজার আর পরোক্ষভাবে আরও ১২ হাজার মানুষ চাকরি হারিয়েছেন।
সেখানে সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, সামনে আরও তহবিল কমবে। আন্তর্জাতিক কর্মসূচিগুলোতে সহায়তা কমে আসবে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে আগে যে ফাউন্ডেশনগুলো সহায়তা দিত, সেগুলোকে কর অব্যাহতি দেয়া হতো। এখন সে কর অব্যাহতি প্রত্যাহার করে নেওয়ার আলোচনা হচ্ছে।
অন্যদিকে এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ হলে সিভিল সোসাইটি সংগঠনগুলোর সহায়তা কমতে থাকবে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের নির্বাহী পরিচালক এম জাকির হোসাইন খান বলেন, ‘আমাদের এ বাস্তবতা মেনে নিতে হবে যে হানিমুন পিরিয়ড ইজ ওভার। বিশ্বব্যাপী নানা বাস্তবতায় বৈদেশিক সহায়তা কমে আসছে। আমাদের টিকে থাকতে হলে নতুন মডেল, নতুন কাঠামোতে সবকিছু পুনর্বিন্যাস করতে হবে।’
আগামী দিনে ‘প্রকৃতিনির্ভর সমাধান’, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও ইনস্যুরেন্স খাতে সম্ভাবনা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। স্থানীয় সরকারের সঙ্গে স্থানীয় পর্যায়ে নদীনালা, খালবিল, বন সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনায়ও কাজ করা যায় বলে উল্লেখ করেন জাকির হোসাইন খান।
বক্তারা পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে টিকে থাকতে নতুন নেতৃত্ব, নতুন ভবিষ্যৎ ও সহায়তার নতুন নতুন উৎস খুঁজে বের করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক শারমিন নিলোর্মী বক্তব্য দেন। এ ছাড়া বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন ও উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন।