প্রায় চার মাস যুক্তরাজ্যের লন্ডনে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তাঁর সঙ্গে দেশে ফিরেছেন দুই পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমান। খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা দেশে ফিরলেন প্রায় ১৭ বছর পর। বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত পুরো পথে খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন বিএনপি নেতাকর্মীর পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক সাধারণ মানুষ। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৮ জানুয়ারি যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যান বাংলাদেশের এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী। 
মনে হতে পারে, একটি দলের শীর্ষ নেতার বিদেশ থেকে সুস্থ হয়ে ফিরে আসার ঘটনা কেন এত উদযাপিত হলো? গত প্রায় চার দশকে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক পরিক্রমা দেখলেই এই ফিরে আসার তাৎপর্য বোঝা যাবে। 

১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে কতিপয় বিপথগামী সেনা কর্মকর্তার হাতে শাহাদাতবরণ করেন। সে সময় খালেদা জিয়া ছিলেন নিতান্তই গৃহবধূ। দুই সন্তান নিয়ে ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থান করছিলেন তিনি। জিয়াউর রহমানের অবর্তমানে বিএনপির হাল কে ধরবে, সেটি নিয়ে নানা আলোচনা চলতে থাকে। এ প্রেক্ষাপটে ১৯৮২ সালের ২ জানুয়ারি খালেদা জিয়া বিএনপিতে প্রাথমিক সদস্য হিসেবে যোগ দেন।  নিজের রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় পরের বছর মার্চে তিনি দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান। তিনি ১৯৮৪ সালের ১২ জানুয়ারি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন এবং একই বছরের ১০ মে চেয়ারপারসন পদে নির্বাচিত হন। ১৯৯৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর দলের চতুর্থ কাউন্সিলে দ্বিতীয়বার, ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলে তৃতীয়বার এবং ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ দলের দশম কাউন্সিলে চতুর্থবারের মতো বিএনপির চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন।

১৯৮২ সালের ৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে প্রথম রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। তারপর থেকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক লড়াইয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। দেশের মানুষ তাঁকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ‘আপসহীন নেত্রী’ আখ্যা দিয়েছে। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে কারাগারে যাওয়ার পর গত সাত বছরে কোনো জনসমাবেশে সশরীরে অংশ নেননি তিনি। খালেদা জিয়া এখনও বিএনপির ঐক্যের প্রতীক। সুতরাং তিনি রাজনীতিতে থাকুন বা না থাকুন, দেশে তাঁর উপস্থিতিই দলটির নেতাকর্মীর কাছে বড় ধরনের আশীর্বাদের মতো।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দেশে তাঁর শারীরিক অনুপস্থিতিতে নেতাকর্মীর মধ্যে এক ধরনের শূন্যতা অনুভূত হয়। খালেদা জিয়া দেশে থাকলে সে শূন্যতা পূরণ হয়ে যায়। তাই তাঁর ফিরে আসার ঘটনায় ব্যাপক উদযাপনে মাতেন দলের নেতাকর্মী। উপরন্তু আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দাবি করছে বিএনপি। খালেদা জিয়াকে কেন্দ্র করে কার্যত একটি রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শন করল বিএনপি। 

তবে এ তো গেল বিএনপির দলীয় বিবেচনা। খালেদা জিয়ার সঙ্গে কিন্তু বাংলাদেশের গণতন্ত্রের নিয়তিও লটকে আছে। তাঁর চিকিৎসা নিয়ে জল কম ঘোলা হয়নি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার অসুস্থতা ও চিকিৎসা নিয়ে বহু বাঁকা কথা বলতেন।  এর একটি ছিল– ‘রোজই শুনি এই মরে মরে, এই যায় যায়। বয়স তো আশির উপরে। সময় হয়ে গেছে। তার মধ্যে অসুস্থ। এখানে এত কান্নাকাটি করে লাভ নাই’ (ইনকিলাব, ৪ অক্টোবর, ২০২৩)। কিন্তু  ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর শেখ হাসিনা ভারতে চলে যান। এর পর উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া লন্ডনে যান। 
তাঁর এই বিদেশে যাওয়ার পরও সেই বহুল চর্চিত ‘মাইনাস টু ফর্মুলা’র আলোচনা আবার শুরু হয়। কিন্তু খালেদা জিয়া দেশে ফিরে আসায় সেসব প্রচারণা ব্যর্থ হয়েছে। আমরা স্মরণ করতে পারি, গৃহবধূ থেকে নানান চড়াই-উতরাই পেরিয়ে বাংলাদেশের জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন খালেদা জিয়া। মানুষ ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়ে বারবার তাঁকে প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত করেছে। নির্বাচনের ইতিহাসে খালেদা জিয়ার অনন্য রেকর্ড হচ্ছে পাঁচটি সংসদ নির্বাচনে ২৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সব ক’টিতেই তিনি জয়লাভ করেছেন। শেখ হাসিনা জাতীয় নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন প্রতিপক্ষের প্রার্থীর কাছে।

বিএনপির দায়িত্ব নেওয়ার পরই নানা প্রতিকূলতার মুখে পড়েন খালেদা জিয়া। দল ঐক্যবদ্ধ রেখে আপসহীনভাবে এরশাদের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলেন। সেনা সমর্থিত ওয়ান-ইলেভেনের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালেদা জিয়াকে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়। দীর্ঘদিন কারাবাসের পর তিনি আইনি লড়াই করে সব মামলায় জামিনে মুক্তি পান। কারাগারে থাকাকালে তাঁকে বিদেশে নির্বাসনে পাঠানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি যেতে অস্বীকার করেন। ২০১০ সালের ১৩ নভেম্বর খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়। এত কিছু করেও তাঁকে দমানো যায়নি।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৭টি মামলা হয়েছিল। সব মামলা তিনি আইনিভাবে মোকাবিলা করেছেন। মামলা থেকে মুক্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে তিনি এমন সময়ে দেশের বাইরে গিয়েছিলেন, যখন বাংলাদেশ নতুন করে গণতান্ত্রিক ধারা সচল করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। তাই তাঁর চিকিৎসা নিয়ে ফিরে আসা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেই ১৯৮২ সাল থেকে ২০২৪ অবধি বাংলাদেশ বারবার স্বৈরাচারের কবলে পড়েছে। প্রতিবারই খালেদা জিয়া সেই স্বৈরাচার হটাতে আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর সামনে এখন আরেকটি সুযোগ এসেছে। সেটি হচ্ছে, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে স্থায়ী ভিত্তি দিতে ভূমিকা রাখা। খালেদা জিয়ার দল বিএনপি এ ক্ষেত্রে কী ভূমিকা রাখবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়। নিজের নিয়তিকে ইতোমধ্যে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের নিয়তির সঙ্গে জড়িয়ে ফেলা এবং সুস্থ হয়ে ফিরে আসায় খালেদা জিয়াকে অভিনন্দন।

এহ্সান মাহমুদ: সহকারী সম্পাদক, 
সমকাল; কথাসাহিত্যিক

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল দ শ র গণতন ত র ন ত কর ম র জন ত ক ব এনপ র র জন য র র জন রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

সংস্কার কমিশনের সব সুপারিশ এখনই বাস্তবায়নের জন্য নয়: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, “সংস্কার কমিশনগুলোর সব সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই বাস্তবায়ন করতে হবে-এমন নয়। কিছু সুপারিশ বর্তমান সরকার গ্রহণ করছে, কিছু রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন হবে, বাকিগুলো ভবিষ্যতের জন্য দিক-নির্দেশনা হিসেবে থাকবে।”

রবিবার (২২ জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘ফার্স্ট পলিটিক্যাল সায়েন্স কনফারেন্স'-এর কি-নোট স্পিচ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

কনফারেন্সের উদ্বোধনী সেশন ও কি-নোট স্পিস সেশন পরিচালনা করেন কনফারেন্সের আহ্বায়ক অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।

আরো পড়ুন:

রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচনের ওপর কনফারেন্স রবিবার, মূল বক্তা আলী রিয়াজ

ফিলিস্তিন-ইরানে হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে ইসরাইলি পতাকায় অগ্নিসংযোগ

কি-নোট স্পিসে আলী রীয়াজ বলেন, “স্বৈরশাসক যেকোনো ধরনের অসন্তোষ, যেমন ভিন্নমত ও বিরোধীদল দমন করে শাসনব্যবস্থায় স্থিতিশীলতা বজায় রাখে। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে ভিন্নমত প্রকাশ পায়। যেটা অনেকক্ষেত্রে অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি করে। যেটাকে বলা হয় অটোক্রেটিক নস্টালজিয়া। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে দুইটি প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ করা বেশি কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। একটি বিচার বিভাগ এবং অন্যটি সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনী। দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসন এই দুই প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করে দেয়। অনেক সময় এই প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিবিপ্লবের মাধ্যমে পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি করে। যেমনটা আমরা বিগতে বছরগুলোতে মধ্যপ্রাচ্যে দেখেছি। এছাড়া, পতিত শাসকের সমর্থকরা ট্রানজিশনাল সময়ে অস্থিরতা তৈরি করে, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বিঘ্নিত করে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্থিতিশীল রাখা শুধু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নয়। বরং রাজনৈতিক দলগুলোরও দায়িত্ব। কারণ নিকট ভবিষ্যতে রাজনৈতিক দলগুলো এসব প্রতিষ্ঠানের ওপর ভর করে শাসনকার্য পরিচালনা করবে।”

তিনি বলেন, “অনেক সময় যেসব সরকার ক্ষমতা হারিয়েছে, তাদের সমর্থকেরা ইচ্ছাকৃতভাবে গণতান্ত্রিক পরিবর্তন আটকে দিতে চায় এবং গণতন্ত্রকে দুর্বল করার চেষ্টা করে। তারা মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেয়। যদি সরকার সত্য তথ্য দিয়ে এর জবাব না দিতে পারে এবং কিছুটা স্থিতিশীলতা বা সদিচ্ছা দেখাতে না পারে, তাহলে এটি একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এই অভিজ্ঞতা থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি। দেখা গেছে, ৬০ শতাংশ দেশ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে যেতে ব্যর্থ হয়েছে, আর ৪০ শতাংশ দেশ সফল হয়েছে। যেখানে এসব সমস্যা সঠিকভাবে মোকাবিলা করা গেছে, সেখানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়েছে। আর যেখানে মোকাবিলা করা যায়নি, সেখানে আবার পিছিয়ে যাওয়া বা গণতন্ত্র থেকে সরে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।”

শ্যাডো রিফর্ম কমিশন, শ্যাডো ন্যাশনাল কনসেনসাস কমিশন এবং পলিটিক্যাল অ্যান্ড পলিসি সায়েন্স রিসার্চ ফাউন্ডেশনের যৌথভাবে কনফারেন্সটি আয়োজন করেছে। এরআগে, দুপুর আড়াইটায় কনফারেন্সে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান।

তিনি বলেন, “জুলাই এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর আমরা এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি। গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে এ সময় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজন দূর করে আমাদের একযোগে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।”

পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার ও নেটওয়ার্ক বৃদ্ধিতে এই সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অত্যন্ত সময়োপযোগী বিষয়কে উপজীব্য করে এই সম্মেলন আয়োজন করায় তিনি আয়োজকদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন বলেন, “রাষ্ট্র যখন ট্রানজিশনাল পর্যায়ে থাকে, তখন তা শক্তিশালী ও স্বচ্ছ ইনস্টিটিউশন গঠনের সুযোগ সৃষ্টি করে। যদি আমরা এই সুযোগ যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারি, তবে রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ হবে উজ্জ্বল ও আশাব্যঞ্জক।চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে তরুণ প্রজন্ম ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার, স্বচ্ছ নির্বাচন এবং দুর্নীতির অবসানের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে। এই অভ্যুত্থান লাখো মানুষের মনে নতুন আশা ও প্রত্যাশার জন্ম দিয়েছে।”

এছাড়া, সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক নাছিমা খাতুন।

কনফারেন্সের আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, “এই কনফারেন্সে বাংলাদেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানীসহ অন্যান্য বিষয়ের শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা তাদের গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ উপস্থাপন করছেন। এসব প্রবন্ধ বর্তমান বাংলাদেশে রাষ্ট্রসংস্কার ও নির্বাচনকে ঘিরে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তা থেকে গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ খুঁজে পেতে সহায়ক হবে।”

তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে আমি দেশ-বিদেশ থেকে আগত সব প্রবন্ধ উপস্থাপক, অংশগ্রহণকারী, স্বেচ্ছাসেবক এবং সম্মানিত অতিথিদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা জানাই। এই সম্মেলনকে আমরা যেন একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করি এবং জ্ঞান আহরণ, ভাবনার বিনিময়, ন্যায়ভিত্তিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের লক্ষ্যে একসাথে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার গ্রহণ করি।”

কনফারেন্সে প্রথমদিন দশটি সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন সেশনে চেয়ার ও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন, সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য ব্যারিস্টার এম মঈন আলম ফিরোজী, কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলামসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

কনফারেন্সের দ্বিতীয় দিন সোমবারে (২৩ জুন) বাকি সেশনগুলো অনুষ্ঠিত হবে। এ দিন সমাপনী বক্তব্য রাখবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ইয়াহইয়া আখতার।

ঢাকা/সৌরভ/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পুরো একটি প্রজন্ম সুষ্ঠু নির্বাচনের অভিজ্ঞতা ছাড়াই বেড়ে উঠেছে: আসিফ মাহমুদ
  • সরাসরি: যুদ্ধ কখনোই গণতন্ত্র নিয়ে আসে না: ইরানের নোবেলজয়ী নার্গিস
  • রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে
  • লন্ডন বৈঠক নিয়ে শরিকেরা সন্তুষ্ট: আমীর খসরু
  • সংবিধানে ‘গণতন্ত্র’ থাকলে আল্লাহর ওপর আস্থা-বিশ্বাসও থাকতে হবে: ইসলামী আন্দোলন
  • সংস্কার কমিশনের সব সুপারিশ এখনই বাস্তবায়নের জন্য নয়: আলী রীয়াজ
  • বিশ্বকে বদলে দিতে চাই
  • আমরা আসলে কেমন রাষ্ট্রপতি চাই
  • বিশ্ব সংগীত দিবস আজ, কী থাকছে বাংলাদেশের আয়োজনে
  • দারিদ্র্য থাকলে গণতন্ত্র আসবে না