বাজারে এসেছে কাঁচা আম। গত কয়েকদিন ধরে গরমও বেড়েছে। গরমে আরামের খাবার হতে পারে আম ডাল। ছুটির দিনের খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন বাংলার ঐহিত্যবাহী এই পদ।

উপকরণ
মসুর ডাল: ১ কাপ
আম ফালি করে কাটা: দেড় কাপ
আস্ত কাঁচা মরিচ: ৪টি
হলুদগুঁড়া: ১ চা-চামচ
লবণ: পরিমাণমতো
পেঁয়াজকুচি: ২ টেবিল চামচ
রসুনকুচি: ১ টেবিল চামচ
কাঁচা মরিচ ফালি: ৪টি
পানি: ৫-৬ কাপ
বাগারের জন্য যা যা লাগবে:
সরিষার তেল: ২ টেবিল চামচ
শুকনা মরিচ: ২টি
পেঁয়াজকুচি: ২ টেবিল চামচ
রসুনকুচি: ১ টেবিল চামচ
জিরা: সিকি চা-চামচ
মৌরি: সামান্য
মেথি: সামান্য
কালিজিরা: সামান্য

প্রথম ধাপ: শুরুতে ডাল ধুয়ে নিন। আম, আস্ত কাঁচা মরিচ বাদে পানিসহ বাকি সব উপকরণ দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিন। ডাল সেদ্ধ হয়ে এলে ঘুঁটনি দিয়ে ভালোভাবে ঘুঁটে দিন। এরপরে আম দিন। 

আরো পড়ুন:

সুস্বাদু পাটশাকের বড়া 

ঈদ আয়োজনে থাকুক গরুর মাংসের ‘সাদা ভুনা’

দ্বিতীয় ধাপ: আম নরম হয়ে এলে বাগার দিয়ে দিন। বাগার দেওয়ার সময় চুলার আঁম মিডিয়াম থেকেও কম রাখতে হবে।। বাগার দেওয়ার পরে চুলা থেকে নামিয়ে নিন আম ডাল।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

হাসপাতালে রোগীর ভিড়, মুখে নেই মাস্ক

গত বুধবার সকাল ৮টা। লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগে রোগীর জটলা। সবাই চিকিৎসকের জন্য অপেক্ষা করছেন। কারও মুখে মাস্ক নেই। আবার যে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে এবং চিকিৎসকরা যে সবাইকে মাস্ক পরে বাইরে বেরুতে বলেছেন, সে ব্যাপারে তাদের কোনো ধারণা নেই।
লক্ষ্মীপুর জেলায় ইতোমধ্যে ছয়জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেও ওই রোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেই কর্তৃপক্ষের। নমুনা পরীক্ষার জন্য ব্যবস্থা নেই কিটের। আক্রান্তরা জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা হলেও সবার নমুনা  ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখান থেকে ছয়জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। আক্রান্তরা বর্তমানে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ আবু হাসান শাহীন ছয়জন আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, করোনা রোগীদের জন্য হাসপাতালে পৃথক কর্নার, নমুনা পরীক্ষা কিংবা প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিরও কোনো উদ্যোগ নেই। জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব এবং সীমিত তদারকির কারণে ঝুঁকিতে রয়েছেন জেলার সাধারণ মানুষ। আক্রান্ত একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তাঁর শরীরে জ্বর ছিল না, তবে প্রচণ্ড কাশি ছিল। আরও ছিল বুক ব্যথা, মাথা ব্যথা ও গলা ব্যথা। এসব উপসর্গের কারণে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে গিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি শনাক্ত হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনা পরীক্ষার জন্য কিট বা প্রয়োজনীয় উপকরণ গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলা সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে পৌঁছায়নি। ফলে জেলাভিত্তিক নমুনা পরীক্ষা বা চিকিৎসা কার্যক্রম চালানো যাচ্ছে না বলে দাবি করেছেন লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. অরূপ পাল বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত করোনা পরীক্ষার জন্য কিটসহ আনুষঙ্গিক উপকরণ আমাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি। রোগীরা মূলত ঢাকায় গিয়ে পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত হচ্ছেন।’
এদিকে, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে কিছু সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হলেও তা  খুবই সীমিত। দুইদিন মাইকিং করা হয়েছে, এরপর আর কোনো দৃশ্যমান তৎপরতা চোখে পড়েনি। জনসচেতনতা তৈরিতে ঘাটতি রয়েছে, মানুষজনের মধ্যে এখনও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে না।
জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ আবু হাসান শাহীন বলেন, ‘সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে যেহেতু নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা ঢাকা থেকে হচ্ছে, তাই স্থানীয় পর্যায়ে শনাক্তে কিছুটা সময় লাগছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একজন আক্রান্ত ব্যক্তি নিজেই শরীর ব্যথা নিয়ে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। তার নমুনা পাঠানো হয় ঢাকায় এবং সেখান থেকেই রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বাকি আক্রান্তদের ক্ষেত্রেও একইভাবে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।’


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হাসপাতালে রোগীর ভিড়, মুখে নেই মাস্ক