কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয়ের গুরুত্ব যেখানে
Published: 9th, May 2025 GMT
কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় বলতে সংশ্লিষ্ট সেক্টরের বিশেষজ্ঞ বা পেশাদার কর্মকর্তাদের দ্বারা পরিচালিত মন্ত্রণালয়কে বোঝায়। উদাহরণস্বরূপ স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সমবায়, কৃষি, পরিসংখ্যান, প্রযুক্তি ইত্যাদি মন্ত্রণালয় যদি নিজ নিজ সেক্টরের গোড়া থেকে কাজ করে আসা মেধাবী, দক্ষ ও অভিজ্ঞ পেশাদারদের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়, তাহলে সেই মন্ত্রণালয় কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয়। কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের প্রশাসনিক জ্ঞানের পাশাপাশি সেক্টর-সংশ্লিষ্ট গভীর জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা থাকবে। ফলে নীতিনির্ধারণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন প্রত্যাশিত স্তরে কার্যকর হবে এবং অর্জিত উন্নয়ন টেকসই হবে। বাংলাদেশে প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া অন্য ক্যাডারগুলো বহুদিন ধরে ক্যাডার যার মন্ত্রণালয় তার (কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয়) বাস্তবায়নের দাবি করে আসছে।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন কর্তৃক দাখিলকৃত প্রতিবেদনে সংস্কারের মূল উদ্দেশ্যের প্রতিফলন দেখা যায়নি। পক্ষপাতদুষ্ট সংস্কার কমিশনের সুপারিশমালায় প্রশাসন ক্যাডারের অধিকাংশ প্রস্তাব স্থান পেলেও দেশের ২৬টি ক্যাডারের মধ্যে প্রশাসন ব্যতীত প্রায় সবার মৌখিক ও লিখিত প্রস্তাবে ‘কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয়’ স্থান পায়নি।
যেহেতু সেক্টর-সংশ্লিষ্ট ক্যাডার কর্মকর্তাদের প্রশাসনিক জ্ঞানের পাশাপাশি সেক্টর সম্পর্কে গভীর জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও পারদর্শিতা রয়েছে, সেহেতু ‘ক্যাডারভিত্তিক (কৃত্য পেশাভিত্তিক) মন্ত্রণালয়’ হলে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার পরিবর্তে সেক্টরভিত্তিক কাঙ্ক্ষিত সেবা, টেকসই উন্নয়ন ও কার্যকর রাষ্ট্রব্যবস্থা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। উদাহরণস্বরূপ, স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পরিচালনায় স্বাস্থ্য ক্যাডারের দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দিতে হবে। তাদের পেশাগত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে স্বাস্থ্য খাতের নীতিনির্ধারণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ হলে স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি পাবে, হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা আরও সুশৃঙ্খল ও কার্যকর হবে। স্বাস্থ্য বাজেট পরিকল্পনাও বাস্তবমুখী ও ফলপ্রসূ হবে। দুরারোগ্য রোগের ক্ষেত্রে ভিন্ন দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর নির্ভর না করে বাংলাদেশে বিশ্বমানের চিকিৎসা ব্যবস্থা তৈরি করে সময়োপযোগী ও কার্যকর চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
অনুরূপভাবে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষা ক্যাডারের দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তা তথা শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের নেতৃত্বে পরিচালিত হলে বিশ্বমানের শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করা সম্ভব হবে। একইভাবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে বন ক্যাডার, পরিবেশবিদ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের পদায়ন করা হলে পরিবেশ সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার পাশাপাশি উপযুক্ত আন্তর্জাতিক সুবিধা আদায় করা সম্ভব হবে। অর্থাৎ প্রতি ক্ষেত্রে সেক্টরের সঙ্গে যে ক্যাডারের সম্পৃক্ততা নেই, তার পরিবর্তে যে ক্যাডারের সম্পৃক্ততা আছে, তাকে দায়িত্ব দিতে হবে। এর মাধ্যমে আমলাতন্ত্রেও ভারসাম্য আসবে। বিভিন্ন সেক্টরে কোনো একক ক্যাডারের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ থাকলে আমলাতন্ত্রে সিন্ডিকেট ও ফ্যাসিজমের মেকানিজম তৈরি হয়। চেক অ্যান্ড ব্যালান্স থাকে না। স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতি বাড়ে। অন্যদিকে কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় হলে এসবের পরিবর্তে প্রতি ক্ষেত্রে পেশাদারিত্ব, পারদর্শিতা ও প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ বাড়বে।
বর্তমানে প্রায় সব মন্ত্রণালয় প্রশাসন ক্যাডার কর্তৃক পরিচালিত হলেও বাংলাদেশের কোনো আইন বা বিধানে প্রশাসন ক্যাডারকে কোনো মন্ত্রণালয় পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। তাদের দেওয়া হয়েছে ভূমি সেক্টরের দায়িত্ব, যেখানে আজ করুণ অবস্থা। সহকারী কমিশনার (ভূমি), এডিসি রেভিনিউ, ডিসি, ভূমি বোর্ডের সদস্যসহ তাদের সর্বোচ্চ পদ ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান। ১৯৮০ সালে যখন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ক্যাডারগুলো গঠন করা হয়, তখন এভাবে ৩০টি ক্যাডারকে ৩০টি সেক্টরের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর আগে ১৯৭৯ সালের সিনিয়র সার্ভিস পুল (এসএসপি) অর্ডারের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়গুলো পরিচালনায় সব ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সমান সুযোগের ব্যবস্থা রাখা হয়। কিন্তু পরে দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে শুধু গোষ্ঠীস্বার্থে বাংলাদেশে ভারসাম্যহীন একপক্ষীয় আমলাতন্ত্র চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগ। আমরা রিভার্স ব্রেন ড্রেনের কথা বলছি। এমন বাস্তবতায় আমলাতন্ত্রকে একপক্ষীয় করে রাখার আর কোনো সুযোগ নেই। কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয়ের প্রকৃত সুবিধা কাজে লাগাতে প্রথমত, প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ থেকে নিম্নস্তর পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সেক্টরের ক্যাডার থেকে এক্সপার্টদের পদায়ন করতে হবে। দ্বিতীয়ত, দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের সেবা নিশ্চিত করতে পদোন্নতির জন্য যথাযথ পরীক্ষা পদ্ধতির ব্যবস্থা করতে হবে। তৃতীয়ত, সংশ্লিষ্টতাহীন পদে প্রেষণ বন্ধ করে অংশীজন ও প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ ও গবেষণা বাড়াতে হবে।
অধ্যাপক আব্দুস সামাদ: সাবেক সভাপতি, বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কর মকর ত দ র ন শ চ ত কর পর চ ল ত ব যবস থ ক র যকর আমল ত
এছাড়াও পড়ুন:
কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয়ের গুরুত্ব যেখানে
কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় বলতে সংশ্লিষ্ট সেক্টরের বিশেষজ্ঞ বা পেশাদার কর্মকর্তাদের দ্বারা পরিচালিত মন্ত্রণালয়কে বোঝায়। উদাহরণস্বরূপ স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সমবায়, কৃষি, পরিসংখ্যান, প্রযুক্তি ইত্যাদি মন্ত্রণালয় যদি নিজ নিজ সেক্টরের গোড়া থেকে কাজ করে আসা মেধাবী, দক্ষ ও অভিজ্ঞ পেশাদারদের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়, তাহলে সেই মন্ত্রণালয় কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয়। কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের প্রশাসনিক জ্ঞানের পাশাপাশি সেক্টর-সংশ্লিষ্ট গভীর জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা থাকবে। ফলে নীতিনির্ধারণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন প্রত্যাশিত স্তরে কার্যকর হবে এবং অর্জিত উন্নয়ন টেকসই হবে। বাংলাদেশে প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া অন্য ক্যাডারগুলো বহুদিন ধরে ক্যাডার যার মন্ত্রণালয় তার (কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয়) বাস্তবায়নের দাবি করে আসছে।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন কর্তৃক দাখিলকৃত প্রতিবেদনে সংস্কারের মূল উদ্দেশ্যের প্রতিফলন দেখা যায়নি। পক্ষপাতদুষ্ট সংস্কার কমিশনের সুপারিশমালায় প্রশাসন ক্যাডারের অধিকাংশ প্রস্তাব স্থান পেলেও দেশের ২৬টি ক্যাডারের মধ্যে প্রশাসন ব্যতীত প্রায় সবার মৌখিক ও লিখিত প্রস্তাবে ‘কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয়’ স্থান পায়নি।
যেহেতু সেক্টর-সংশ্লিষ্ট ক্যাডার কর্মকর্তাদের প্রশাসনিক জ্ঞানের পাশাপাশি সেক্টর সম্পর্কে গভীর জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও পারদর্শিতা রয়েছে, সেহেতু ‘ক্যাডারভিত্তিক (কৃত্য পেশাভিত্তিক) মন্ত্রণালয়’ হলে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার পরিবর্তে সেক্টরভিত্তিক কাঙ্ক্ষিত সেবা, টেকসই উন্নয়ন ও কার্যকর রাষ্ট্রব্যবস্থা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। উদাহরণস্বরূপ, স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পরিচালনায় স্বাস্থ্য ক্যাডারের দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দিতে হবে। তাদের পেশাগত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে স্বাস্থ্য খাতের নীতিনির্ধারণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ হলে স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি পাবে, হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা আরও সুশৃঙ্খল ও কার্যকর হবে। স্বাস্থ্য বাজেট পরিকল্পনাও বাস্তবমুখী ও ফলপ্রসূ হবে। দুরারোগ্য রোগের ক্ষেত্রে ভিন্ন দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর নির্ভর না করে বাংলাদেশে বিশ্বমানের চিকিৎসা ব্যবস্থা তৈরি করে সময়োপযোগী ও কার্যকর চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
অনুরূপভাবে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষা ক্যাডারের দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তা তথা শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের নেতৃত্বে পরিচালিত হলে বিশ্বমানের শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করা সম্ভব হবে। একইভাবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে বন ক্যাডার, পরিবেশবিদ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের পদায়ন করা হলে পরিবেশ সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার পাশাপাশি উপযুক্ত আন্তর্জাতিক সুবিধা আদায় করা সম্ভব হবে। অর্থাৎ প্রতি ক্ষেত্রে সেক্টরের সঙ্গে যে ক্যাডারের সম্পৃক্ততা নেই, তার পরিবর্তে যে ক্যাডারের সম্পৃক্ততা আছে, তাকে দায়িত্ব দিতে হবে। এর মাধ্যমে আমলাতন্ত্রেও ভারসাম্য আসবে। বিভিন্ন সেক্টরে কোনো একক ক্যাডারের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ থাকলে আমলাতন্ত্রে সিন্ডিকেট ও ফ্যাসিজমের মেকানিজম তৈরি হয়। চেক অ্যান্ড ব্যালান্স থাকে না। স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতি বাড়ে। অন্যদিকে কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় হলে এসবের পরিবর্তে প্রতি ক্ষেত্রে পেশাদারিত্ব, পারদর্শিতা ও প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ বাড়বে।
বর্তমানে প্রায় সব মন্ত্রণালয় প্রশাসন ক্যাডার কর্তৃক পরিচালিত হলেও বাংলাদেশের কোনো আইন বা বিধানে প্রশাসন ক্যাডারকে কোনো মন্ত্রণালয় পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। তাদের দেওয়া হয়েছে ভূমি সেক্টরের দায়িত্ব, যেখানে আজ করুণ অবস্থা। সহকারী কমিশনার (ভূমি), এডিসি রেভিনিউ, ডিসি, ভূমি বোর্ডের সদস্যসহ তাদের সর্বোচ্চ পদ ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান। ১৯৮০ সালে যখন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ক্যাডারগুলো গঠন করা হয়, তখন এভাবে ৩০টি ক্যাডারকে ৩০টি সেক্টরের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর আগে ১৯৭৯ সালের সিনিয়র সার্ভিস পুল (এসএসপি) অর্ডারের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়গুলো পরিচালনায় সব ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সমান সুযোগের ব্যবস্থা রাখা হয়। কিন্তু পরে দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে শুধু গোষ্ঠীস্বার্থে বাংলাদেশে ভারসাম্যহীন একপক্ষীয় আমলাতন্ত্র চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগ। আমরা রিভার্স ব্রেন ড্রেনের কথা বলছি। এমন বাস্তবতায় আমলাতন্ত্রকে একপক্ষীয় করে রাখার আর কোনো সুযোগ নেই। কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয়ের প্রকৃত সুবিধা কাজে লাগাতে প্রথমত, প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ থেকে নিম্নস্তর পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সেক্টরের ক্যাডার থেকে এক্সপার্টদের পদায়ন করতে হবে। দ্বিতীয়ত, দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের সেবা নিশ্চিত করতে পদোন্নতির জন্য যথাযথ পরীক্ষা পদ্ধতির ব্যবস্থা করতে হবে। তৃতীয়ত, সংশ্লিষ্টতাহীন পদে প্রেষণ বন্ধ করে অংশীজন ও প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ ও গবেষণা বাড়াতে হবে।
অধ্যাপক আব্দুস সামাদ: সাবেক সভাপতি, বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন