তেল বিক্রির কমিশন ন্যূনতম ৭ শতাংশ করাসহ ১০ দাবি, না মানলে আন্দোলনের হুমকি
Published: 11th, May 2025 GMT
তেল বিক্রির কমিশন ন্যূনতম ৭ শতাংশ করাসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদ।
আজ রোববার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পরিষদ এ দাবি জানায়। বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সমন্বয়ে এই পরিষদ গঠিত।
পরিষদের অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ইজারা ভূমির ইজারা মাশুল আগের মতো বহাল রাখা। পাম্প–সংযোগ সড়কের ইজারা নবায়নে আবেদনপত্রের সঙ্গে নির্ধারিত পে-অর্ডার জমা দিলেই তা নবায়ন বিবেচিত করা। বিএসটিআই শুধু ডিসপেন্সিং ইউনিট স্ট্যাম্পিং ও পরিমাপ যাচাই করবে।
আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক ক্যালিব্রেশন, ডিপ রড পরীক্ষণ ফি ও নিবন্ধনপ্রথা বাতিল করা। পরিবেশ, কলকারখানা ও ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্সের বিধান বাতিল করা। ঘরের মধ্যে বা খোলা স্থানে অবৈধভাবে মেশিন বসিয়ে জ্বালানি বিক্রি বন্ধ করা এবং ডিলারশিপ ছাড়া বিপণন কোম্পানির সরাসরি তেল বিক্রি বন্ধ করা। ট্যাংকলরির চালকদের লাইসেন্স নবায়ন ও নতুন লাইসেন্স ইস্যু সহজ করা। রাস্তায় যেখানে-সেখানে ট্যাংকলরি থামিয়ে কাগজপত্র পরীক্ষা না করে তা তেলের ডিপো গেটেই সম্পন্ন করা। সব ট্যাংকলরি জন্য আন্তজেলা রুট পারমিট ইস্যু করা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দেন ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম কাবুল। তিনি বলেন, ২৪ মের মধ্যে দাবি আদায় না হলে তাঁরা ২৫ মে প্রতীকী কর্মসূচি পালন করবেন। সেদিন তাঁরা সকাল ৬টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত সারা দেশের সব পেট্রলপাম্প ও ট্যাংকলরি চালানোর ক্ষেত্রে কর্মবিরতি পালন করবেন। কর্মবিরতিতে জ্বালানি তেলের উত্তোলন, পরিবহন ও বিপণন বন্ধ থাকবে। তবে হজ ফ্লাইট ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সচল রাখার জন্য উড়োজাহাজের তেল পরিবহন চালু থাকবে। এই কর্মসূচি শুরুর আগে জ্বালানি তেলের সাধারণ ভোক্তাদের চাহিদামাফিক তেল সংগ্রহ করার অনুরোধ জানাচ্ছেন তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, লাইসেন্স, বিদ্যুৎ, স্টাফ বেতনসহ সব খরচ বেড়েছে। কিন্তু কমিশন কমে গেছে। নতুন করে পরিবেশ, ফায়ার, বিএসটিআই, কলকারখানা ও বিআরসি লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এগুলোর ফি অনেক বেশি। ডিপো নেই—এমন জেলায় তেল নিতে গিয়ে আন্তজেলা পারমিট না থাকলে ট্যাংকলরির চালকেরা হয়রানির শিকার হন। রাস্তার ওপর কাগজপত্র পরীক্ষা বন্ধ ও ডিপোতে তা নিশ্চিত করার সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হচ্ছে না। বিএসটিআই এখন নানা যন্ত্রাংশের জন্য অতিরিক্ত ফি নিচ্ছে। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ইজারার হার হঠাৎ ১৫০ গুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এই অযৌক্তিক খরচ আর বর্তমান কমিশন হারে ব্যবসা চালানো অসম্ভব। তাই তাঁরা যৌক্তিক দাবির দ্রুত বাস্তবায়ন চান। না হলে আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান রতন, যুগ্ম আহ্বায়ক জুবায়ের আহম্মেদ চৌধুরী, শাজাহান ভুঁইয়া, রেজাউল করিম রেজা, মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ইজ র
এছাড়াও পড়ুন:
ব্যাংক গ্যারান্টি জমার সময় বাড়ল
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফ্রাঞ্চাইজিদের পেশাদারিত্ব নিয়ে বারবারই প্রশ্ন তোলা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। নতুন করে পাঁচ বছরের জন্য দল নেওয়া পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে নিয়েও বিপাকে আয়োজকরা।
নতুন করে দল পেতে ফ্রাঞ্চাইজিগুলোকে ১০ কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি দেওয়ার কথা ছিল। গতকাল ছিল জমা দেওয়ার শেষ দিন। অথচ পাঁচ দলের তিনটিই জমা দেয়নি ব্যাংক গ্যারান্টি। যে দুইটি দল জমা দিয়েছে তাদের সব কাগজপত্রও এখন পর্যন্ত সব ঠিকঠাক পেয়েছে কিনা নিশ্চিত করতে পারেননি বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।
ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর আবেদনের প্রেক্ষিতে ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দেওয়ার সময়ও বাড়ানো হয়েছে। এ খবর নিশ্চিত করেছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য ও বিসিবির সহসভাপতি শাখাওয়াত হোসেন। রাইজিংবিডিকে তিনি নিশ্চিত করেছেন, “মাত্র দুইটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংক গ্যারান্টি দিয়েছে। এজন্য সময় বাড়ানো হয়েছে। যেহেতু নিলাম ২৩ তারিখ। হাতে কিছুটা সময় আছে। আমরা সেই সুযোগটি দলগুলোকে দিচ্ছি।”
দ্রুত বিপিএল আয়োজন করতে গিয়ে দলগুলোকে কিছু ছাড়ও দিচ্ছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল, ‘আমরা অতি দ্রুত সব আয়োজন করছি। ফ্রাঞ্চাইজি বাছাই, দল গোছানো, ভেন্যু নির্বাচন, ফিক্সচার, বিদেশি খেলোয়াড় সংগ্রহ…সব কিছু তড়িৎ গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এবারের আয়োজন সফল করার চ্যালেঞ্জ আমাদের। আমরা সেই চেষ্টাই করছি। এগুলো আগামী আসর থেকে সব ঠিক হয়ে যাবে।”
জানা গেছে, ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দেওয়ার শেষ সময় নির্ধারণ করেছে বিপিএল কর্তৃপক্ষ। এ সময়ে বাকিদের কাগজ পর্যালোচনা করবেন তারা, ‘যারা ব্যাংক গ্যারান্টি দিয়েছে তাদের কাগজপত্রও পর্যালোচনা করতে হবে। ব্যাংক গ্যারান্টি দিলেই হলো না। ভুয়া ব্যাংক গ্যারান্টিও আসে। তাই আমরা সতর্ক আছি। যাচাই-বাছাই করে আমরা দেখব, তারপর সব চূড়ান্ত হবে।”
যদি কোনো ফ্রাঞ্চাইজি নিলামের আগে ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে না পারে তাহলে কী হবে? সেই প্রশ্নও করা হয়। অনুমিত উত্তরটাই আসলো, “নিলামে বসতে দেওয়া হবে না। তাদের যে ফ্রাঞ্চাইজি ফি ২ কোটি টাকা আছে সেটা ফেরত দেওয়া হবে না। স্বচ্ছতা না থাকলে বিপিএলে অংশগ্রহণ করার সুযোগ নেই।”
ঢাকা/ইয়াসিন