পৃথিবীতে মায়ের কোনো তুলনা হয় না কারও সঙ্গে। জীবন চলার পথে অনুপ্রেরণা ও সাফল্যের চাবিকাঠি আমাদের মা। আজ মা দিবস। মাকে নিয়ে দিনটি অনেকে অনেকভাবে উৎযাপন করছেন। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের মায়ের ছবির সঙ্গে দিয়েছেন আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন শোবজ তারকারা।

অপু বিশ্বাস লিখেছেন, ‘মা। প্রত্যেকটা সময়ই আমার কাছে মা দিবস তোমাকে অনেক মিস করি মা।’

শাকিব খান ও নিজের মায়ের দুটি ছবি শেয়ার করে বুবলী লিখেছেন, ‘দুইজন সবচেয়ে সুন্দর, পরিশ্রমী ও স্নেহময়ী মা! আল্লাহ আপনাদের সবসময় সুস্থ ও ভালো রাখুন। বিশ্বের সকল মায়েদের প্রতি মা দিবসের শুভেচ্ছা।’


বাপ্পী চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার মা হল আমার মেয়ে। আমি যতক্ষণ পর্যন্ত বাসায় না যেতাম মা অস্থির থাকতেন। মা আজ নেই। তিনি সব সময় একটা কথা বলতেন, ‘বাপ্পী রে বাপ্পী চিন্তা করিস না। সব ঠিক হয়ে যাবে।’

 


মায়ের সঙ্গে ছবি শেয়ার করে জায়েদ খান লিখেছেন, মায়েরা অল্প সময়ের জন্যই সন্তানের হাত ধরে থাকেন,তবে সারা জীবনের জ ধরে থাকেন তাদের হৃদয়! আমি সব সময় বলি মায়ের কোন দিবস নাই। আর যার মা-বাবা নাই তার দিবস অনুভুতিহীন। আজ মা দিবসে ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল বাবা-মা। যাদের মা-বাবা আছে কষ্ট দিওনা কেউ তাদের মনে। এরাই তোমার জান্নাত।

তৌসিফ মাহবুব লিখেছেন, ‘এই মায়াময় পৃথিবীর সবচেয়ে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা হল সন্তানের প্রতি তার মায়ের ভালোবাসা। হ্যাপি মাদার্স ডে।’

অভিনেতা শাহেদ শরীফ খান লিখেছেন, মা দিবস উপলক্ষে, আমি সকল মাকে জানাতে চাই, ‘আপনারা সব কিছুর উৎস, আপনারা আমাদের শক্তি। আপনারা আমাদের জীবনের সবচেয়ে মধুর অধ্যায়। আপনাদের ভালোবাসা এবং মমতায় দুনিয়া আমাদের সুন্দর হয়। শুভ মা দিবস! আপনারা জীবনে প্রতিটি মুহূর্তে সুখী হোন এবং সুস্বাস্থ্য লাভ করুন।’

জাকিয়া বারী মম লিখেছেন, জগতের সকল মা সুখী হোক। মা দিবস ও বুদ্ধ পূর্ণিমার শুভেচ্ছা।

মা ও শাশুড়ির ছবি পোস্ট করে অভিনেত্রী মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া লিখেছেন, ‘শুভ মা দিবস। ফারহানা রানী ও ফারিয়া চৌধুরী।’

 

সংগীতশিল্পী আরমান খান লিখেছেন, ‘আজ বিশ্ব মা দিবস! ছবিতে বাম দিক থেকে আমার দাদী, আমার মা, আমি ও আব্বা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম দ বস আম দ র আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

যুদ্ধবিরতির পর আজ চাঙা ভারত ও পাকিস্তানের শেয়ারবাজার

আজ সপ্তাহের প্রথম দিন ভারতের শেয়ারবাজারে চাঙাভাব দেখা যাচ্ছে। সেনসেক্স ও নিফটি—উভয় সূচকেরই উত্থান হয়েছে। সূচকের উত্থান হয়েছে পাকিস্তানের শেয়ারবাজারেও।

মূলত পাকিস্তান–ভারত যুদ্ধবিরতি ও যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্য আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতির খবরে আজ শেয়ার সূচকের উত্থান হচ্ছে বলে সংবাদে বলা হয়েছে।

আজ ভারতের স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেশটির শেয়ারবাজারের প্রধান সূচক সেনসেক্সের উত্থান হয়েছে ২ হাজার ৩৭৬ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৮৮ শতাংশ। সূচকে আবার ৮০ হাজারের ঘর পেরিয়ে উঠেছে ৮১ হাজার ৮৩০ পয়েন্টে। অন্যদিকে আরেক সূচক নিফটির উত্থান হয়েছে ৭০৫ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৯৪ শতাংশ। সূচকটি উঠেছে ২৪ হাজার ৭১৩ পয়েন্টে। সেই সঙ্গে আজ বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে নিবন্ধিত কোম্পানিগুলোর বাজার মূলধন ১১ দশমিক ১ লাখ কোটি রুপি বেড়ে ৪২৭ দশমিক ৪৯ লাখ কোটি রুপিতে উঠেছে।

এর আগে পাকিস্তানে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আবহে গত সপ্তাহের শেষ দুই দিনে ভারতের শেয়ার সূচকের পতন হয়। দেশটির ব্রোকারেজ হাউসগুলো মনে করছে, নতুন করে ভারত-পাক সংঘাত সৃষ্টি না হলে আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে বিনিয়োগকারীদের যাবতীয় লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

গত সপ্তাহের শেষ লেনদেনের দিন শুক্রবার সেনসেক্স ও নিফটি—উভয় সূচকই কমেছে প্রায় ১ শতাংশ। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় দিন শেয়ার সূচকের পতন হয়। যদিও পাকিস্তানে প্রথম আক্রমণের পর গত বুধবার উল্টো ভারতের শেয়ার সূচকের উত্থান হয়েছিল।

কিন্তু গত বৃহস্পতি ও গতকাল শুক্রবার বিনিয়োগকারীদের আস্থা ধরে রাখতে পারেনি বাজার। ফলে এ দুই দিনে ভারতের বাজার মূলধন কমেছে প্রায় সাত লাখ কোটি রুপি।

এর আগেও দেখা গেছে, ভারত-পাকিস্তান সামরিক সংঘাতের সময় শেয়ার সূচকের পতন হয়েছে। ১৯৯৯ সালে কারগিল যুদ্ধের সময় ৩ মে থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত সেনসেক্স ও নিফটির পতন হয়েছিল শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ। ২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর ভারতের সংসদ ভবনে হামলার সময় সেনসেক্সের পতন হয় শূন্য দশমিক ৭ আর নিফটির পতন হয় শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ। ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার দুই দিন সেনসেক্স ও নিফটির উল্টো উত্থান হয়েছে যথাক্রমে ৪০০ ও ১০০ পয়েন্ট।

এদিকে আজ সকালে পাকিস্তানের শেয়ারবাজারের প্রধান সূচক কেএসই ১০০ সূচকের উত্থান হয়েছে ৯ শতাংশের বেশি। সূচক পৌঁছে গেছে ১ লাখ ১৭ হাজার ১০৪ পয়েন্টে। গত সপ্তাহে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের উত্তেজনায় দেশটির প্রধান শেয়ার সূচক কেএসই-১০০ ইনডেক্সের পতন হয়েছে ৬ হাজার ৯৩৯ পয়েন্ট বা ৬ দশমিক ১ শতাংশ। সূচকটি নেমে গিয়েছিল ১ লাখ ৭ হাজার পয়েন্টে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ