কাঁটাবনে গিয়ে প্লাস্টিকে গড়া কেয়া-কেতকীর ঘ্রাণ
পরাবাস্তবে শুঁকে শুঁকে আমি হয়ে উঠি সপ্রাণ।
আমাকে শোনায় বৃষ্টির গান শহুরে করাতকল,
তবু বারবার অবচেতনেই স্মৃতি করে ঝলমল:
কাল-কবলিত হয়েও আমার ঘটেনি বিস্মরণ:
জলকে বলেছি ‘বারি’ আর সেই বৃষ্টিকে ‘বরিষণ’।
ভুলব কী করে কদমতলার ভেজা সে নীলাম্বরী!
ভুল হতো শুধু ভেতরে কে ছিল—মানবী না মেঘপরি?
শাড়ি টেনেটুনে নিজেকে ঢাকার কত কী যে কৌশল
দেখে দেখে আমি ভেবেছি—সেসব রমণীসুলভ ছল!
ভেজা কেতকীর গন্ধে মাতাল বাতাসের মতো আমি
নিজেও হয়েছি কতটা উতলা—জানে অন্তর্যামী।
রবি বলেছেন: এমন বাদলে সব ‘তারে বলা যায়’;
আমি কাপুরুষ বলতে পারিনি, মরে গেছি লজ্জায়।
নীপবনে ভেজা নীলাম্বরীকে এখনো যাইনি ভুলে—
হলুদ বাতিরা চোখ-ঠারে তাই কদমের মতো ঝুলে
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
প্রিন্সেস ডায়ানাকে নিয়ে আলোচিত পাঁচ বই
প্রিন্সেস ডায়ানাকে নিয়ে বহু জীবনী, উপন্যাস ও স্মৃতিগ্রন্থ লেখা হয়েছে। তাঁর চরিত্রটি তো শুধু ব্যক্তিগত নয়; বরং সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এমনকি অস্তিত্বগত প্রশ্নেরও জন্ম দিয়েছে। তাঁর জীবন এবং চারপাশে তৈরি হওয়া গল্পগুলো যেন একেকটি ‘মিথ’। তার দুখী দুখী চোখ, মানবিক ও সহানুভূতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি হয়ে উঠেছে প্রজন্মের পর প্রজন্মের কল্পনার অংশ। ডায়ানার জীবন ও চরিত্র এতটাই জটিল আর বহুমাত্রিক যে বিভিন্ন লেখক একেক দৃষ্টিতে সেসব তাঁদের লেখায় হাজির করেছেন। কেউ তাঁকে ট্র্যাজিক চরিত্র, কেউ আত্মবিপর্যস্ত নারী, কেউবা মিডিয়া আইকন ও ভুক্তভোগী, কেউ আবার অন্তরঙ্গ সেবকের দৃষ্টিতে কিংবা পালিয়ে যাওয়া নারীর প্রতীকরূপে ডায়ানাকে তুলে এনেছেন তাদের লেখায়।
অ্যান্ড্রু মরটনের ডায়ানা: হার ট্রু স্টোরি—ইন হার ওন ওয়ার্ডসডায়ানাকে নিয়ে লেখা সবচেয়ে আলোচিত বই। প্রথম সংস্করণে জাঁকজমকপূর্ণ রাজকীয় জীবনের আড়ালে লুকিয়ে থাকা রাজকন্যা ডায়ানার নিঃসঙ্গতা এবং ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্দরমহলের নানা গোপনীয়তা, তাঁর সাংসারিক জীবনের নিগূঢ় বাস্তবতা উঠে আসে। রাজপরিবারের এসব দুর্ভেদ্য তথ্য উঠে আসায় বিশ্বজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।
অ্যান্ড্রু মরটন