বিএসএফের ফেলে যাওয়া ৭৮ জনকে নেওয়া হচ্ছে শ্যামনগর থানায়
Published: 11th, May 2025 GMT
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পশ্চিম সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া চরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) রেখে যাওয়া ৭৮ জনকে শ্যামনগর থানায় নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রিভারাইন বর্ডার গার্ডের (আরবিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সৈয়দ আব্দুর রউফ। তিনি বলেন, ৭৮ জনের মধ্যে ৪ জন ভারতীয় নাগরিক রয়েছেন, বাকিরা বাংলাদেশি। তাদের বেশিরভাগের বাড়ি বরিশাল, নড়াইল ও খুলনা জেলায়। রোববার দুপুর ২টার দিকে কোস্টগার্ড সদস্যরা তাদেরকে নিয়ে লোকালয় অভিমুখে রওনা দিয়েছেন।
এর আগে গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে মান্দারবাড়িয়া ক্যাম্প থেকে তাদের কোস্টগার্ডের কাকা-দোবেকী ক্যাম্পে হস্তান্তর করা হয় বলে জানিয়েছেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা।
বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো.
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রনী খাতুন বলেন, বিএসএফের রেখে যাওয়া ৭৮ জনকে নিয়ে কোস্টগার্ড সদস্যরা রওনা দিয়েছেন। তারা এসব ব্যক্তিদের শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করবেন। পরবর্তীতে নাম-পরিচয় শনাক্তের পর পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির মোল্যা জানান, সেই ৭৮ জনের জন্য থানায় পর্যাপ্ত জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদেরকে কেন বনের মধ্যে ফেলে যাওয়া হয়েছে, সেসব তথ্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।
এর আগে, গত শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একাধিক নৌযানে সীমান্তবর্তী রায়মঙ্গল নদী পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের পর সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ও ভারতীয় কোস্টগার্ড সদস্যরা ৭৮ জনকে বাংলাদেশের সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়ার জঙ্গলে ফেলে যায়। তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বলে অভিযোগ আনা হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এসএফ শ য মনগর শ য মনগর থ ন ম ন দ রব ড় য় ৭৮ জনক ব এসএফ
এছাড়াও পড়ুন:
তিন সীমান্ত দিয়ে ৪৬ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
সুনামগঞ্জ, সিলেট ও লালমনিরহাটের সীমান্ত দিয়ে নারী-শিশুসহ ৪৬ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট এলাকায় দায়িত্বরত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা তাদের আটক করেন। আটক সবাই বাংলাদেশি বলে জানা গেছে।
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নোয়াকোট সীমান্ত দিয়ে আজ ভোরে ২০ জনকে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ। তারা বিভিন্ন সময় অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন।
বিজিবির ৪৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হক জানান, নোয়াকোট বিওপির আওতাধীন বাগানবাড়ি সীমান্ত এলাকা থেকে বিজিবির একটি টহল দল তিন পরিবারের ২০ জনকে আটক করে। তাদের মধ্যে আট নারী, ছয় পুরুষ ও ছয় শিশু রয়েছে। ১৯ জনের বাড়ি কুড়িগ্রামে, আর একজন পাবনার বাসিন্দা।
ছাতক নোয়াকোট বিওপির হাবিলদার কবির আহমদ জানান, আটকদের মঙ্গলবার দুপুরে ছাতক থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। ওই থানার ওসি মোহাম্মদ মুখলেছুর রহমান আকন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে মঙ্গলবার ভোরে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার মিনাটিলা বিওপির কেন্দ্রী এলাকা দিয়ে ঠেলে পাঠানো ১৯ জনকে আটক করেছে বিজিবি। তারা সবাই কুড়িগ্রামের বাসিন্দা। তাদের মধ্যে আছে তিন পরিবারের ছয় পুরুষ, ছয় নারী ও সাত শিশু।
এর আগে গত ১২ জুন জৈন্তাপুরের দুটি সীমান্ত দিয়ে ২৩ জনকে ও ছাতকের নোয়াকোট সীমান্ত দিয়ে ১৭ জনকে পুশইন করেছিল বিএসএফ। গতকাল আটক ১৯ জনকে থানায় হস্তান্তর করেছে বিজিবি।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হক বলেন, ঠিকানা যাচাই-বাছাই শেষে ১৯ জনকে জৈন্তাপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। ‘পুশইন’ ঠেকাতে সীমান্তে টহল জোরদার করেছে বিজিবি।
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার সীমান্ত দিয়ে শিশুসহ সাত জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ। মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার জোংড়া ইউনিয়নের সীমান্ত দিয়ে তাদের পাঠানোর পর হেফাজতে নেয় বিজিবি। পরে তাদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আটক সবার বাড়ি খুলনার দৌলতপুর উপজেলার খালিশপুর গ্রামে।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ভোরে ৮৮২ নম্বর মেইন পিলারের ২ নম্বর সাব-পিলার এলাকা দিয়ে সাতজনকে বাংলাদেশে পাঠায় বিএসএফ। পরে বিজিবি সদস্যরা তাদের হেফাজতে নেন। সাতজনের মধ্যে তিন শিশু, দুই পুরুষ ও দুই নারী রয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে পাটগ্রাম থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
(তথ্য দিয়েছেন সিলেট ব্যুরো, ছাতক প্রতিনিধি ও পাটগ্রাম সংবাদদাতা)