লা লিগা শিরোপার নির্ধারক হতে পারে মৌসুমের শেষ এল ক্লাসিকো। বার্সেলোনার ঘরের মাঠ স্টাডিও অলিম্পিক লুইস কম্পানিতে বাংলাদেশ সময় আজ রাত ৮টা ১৫ মিনিটে মাঠে নামবে রিয়াল ও বার্সা। ওই ম্যাচের একাদশ দিয়ে দিয়েছে লস ব্লাঙ্কোসরা। 

কার্লো আনচেলত্তির দেওয়া শুরুর একাদশে নেই রদ্রিগো গোয়েস। তার জায়গায় আর্দা গুলারকে শুরুর একাদশে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তিনি রাইট উইঙ্গে খেলবেন। তার সঙ্গে আক্রমণভাগে আছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে ও ভিনিসিয়াস জুনিয়র। 

মিডফিল্ডে রিয়াল মাদ্রিদ শুরুর একাদশে জুড বেলিংহাম ও ফেদে ভালভার্দের সঙ্গে দানি সেবায়োসকে রেখেছে। লুকা মডরিচ শুরুর একাদশে জায়গা পাাননি। 

রক্ষণে রিয়াল মাদ্রিদ মূল সংকটে ভুগছে। রক্ষণে বুক আগলে খেলে যাওয়া অ্যান্তোনিও রুডিগার নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন। ডেভিড আলাবা ইনজুরিতে আছেন। যে কারণে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার অঁরেলিন চুয়ামেনির সঙ্গে মার্কো অ্যাসেনসিও আছেন সেন্ট্রাল ডিফেন্স সামলানোর দায়িত্বে। রাইট ব্যাকে লুকাস ভাসকেস ও লেফট ব্যাকে ফেরান গার্সিয়াতে রাখা হয়েছে। 

রিয়াল মাদ্রিদের শুরুর একাদশ: থিবো কর্তুয়া, লুকাস ভাসকেস, চুয়ামেনি, অ্যাসেনসিও, ফেরান গার্সিয়া, দানি সেবায়োস, ফেদে ভালভার্দে, জুড বেলিংহাম, আর্দা গুলার, ভিনিসিয়াস জুনিয়র, কিলিয়ান এমবাপ্পে।   

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এল ক ল স ক

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্প–পুতিন বৈঠক কি যুদ্ধ থামাতে পারবে, ইতিহাস কী বলছে

আলাস্কায় রাশিয়া ও মার্কিন প্রেসিডেন্টের মধ্যকার বৈঠক সমস্যার শেষ নয়; বরং এক দীর্ঘ যাত্রার সূচনামাত্র। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে চলমান অস্থিরতার সমাধান দিতে পারবে না এই বৈঠক। তবুও এটি সবার কাছেই গুরুত্বপূর্ণ।

আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এমন ঘটনা খুব কম ঘটেছে, যখন শীর্ষ ক্ষমতাধর দেশগুলোর নেতাদের বৈঠক বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলোর সমাধান দিয়েছে।

এর একটি কারণ হলো, এত বেশি মাত্রায় মনোযোগ আকর্ষণ করা পরিস্থিতিও খুব বিরল। আমরা বর্তমানে ঠিক তেমনই একটি পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু করার পর যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দিয়েছে, তাদের লক্ষ্য হলো রাশিয়ার ‘কৌশলগত পরাজয়।’ আর রাশিয়া বিশ্বরাজনীতিতে পশ্চিমাদের একচেটিয়া আধিপত্যের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়।

অন্য কারণ হলো বাস্তবিক। বিশ্বের শীর্ষ ক্ষমতাধর দেশগুলোর নেতারা এমন কোনো সমস্যার পেছনে সময় নষ্ট করেন না, যেগুলো তাঁদের অধীনেরাই সমাধান করতে পারেন। আর ইতিহাস ঘাঁটলেও দেখা যায়, শীর্ষ পর্যায়ের এসব বৈঠকের কারণে কদাচিৎ বিশ্বরাজনীতির গতি-প্রকৃতি বদলেছে।

আর তাই আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠককে অতীতের অনেক বিখ্যাত বৈঠকের সঙ্গে তুলনা করা হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।

ইতিহাসে অনেক শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে, যেগুলো যুদ্ধ ঠেকানোর বদলে পরিস্থিতিকে যুদ্ধের দিকে নিয়ে গেছে।

বিশেষ করে ১৮০৭ সালে নেমন নদীতে একটি ভেলার ওপর অনুষ্ঠিত রাশিয়া ও ফ্রান্সের সম্রাটের মধ্যের বৈঠকের সঙ্গে আলাস্কার বৈঠকের তুলনা করা হচ্ছে। নেমন নদীর ওপর বৈঠকও যুদ্ধ ঠেকাতে পারেনি। বৈঠকের মাত্র পাঁচ বছর পর নেপোলিয়ন রাশিয়া আক্রমণ করে বসেন। আর সেই ভুলই তাঁর পতনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

এরপর ১৮১৫ সালের ভিয়েনা কংগ্রেসে রাশিয়া ছাড়া অন্য কোনো বড় ক্ষমতাধর দেশের নেতা নিয়মিত আলোচনায় অংশ নেননি। জার প্রথম আলেকজান্ডার তার নিজের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে ইউরোপের নতুন রাজনৈতিক কাঠামো দাঁড় করাতে চেয়েছিলেন। অন্য শক্তিগুলো তা মানেনি। যেমন হেনরি কিসিঞ্জার একবার বলেছিলেন, তাঁরা আদর্শ নয়; বরং স্বার্থ নিয়ে আলোচনা করতে চাইতেন।

যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ