ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরের আগে এক জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
Published: 12th, May 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরের আগেই দেশটির এক নাগরিককে জিম্মিদশা থেকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। ওই জিম্মির নাম এডান আলেকজান্ডার। তিনি ইসরায়েলি বাহিনীর একজন সদস্য। সোমবার তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে হামাস।
হামাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এইমাত্র আল কাসেম ব্রিগেড (হামাসের সামরিক শাখা) জায়নবাদী সেনাসদস্য ও মার্কিন নাগরিক এডান আলেকজান্ডারকে মুক্তি দিয়েছে। একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর জন্য মধ্যস্থতাকারীরা যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হামাসের যোগাযোগের পর তাঁকে মুক্তি দেওয়া হলো।’
হামাসের সঙ্গে যোগাযোগ আছে এমন একটি সূত্র জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসে রেডক্রসের হাতে এডান আলেকজান্ডারকে তুলে দেওয়া হয়। পরে তাঁর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে পৌঁছানোর খবর নিশ্চিত করে দেশটির সরকার। যুদ্ধবিরতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হামাস সরাসরি যোগাযোগ করছে—এমন তথ্য সামনে আসার পরই এডানকে মুক্তি দেওয়া হলো।
মঙ্গলবার মধ্যপ্রাচ্য সফরের অংশ হিসেবে সৌদি আরবে পৌঁছানোর কথা ছিল ট্রাম্পের। এডান আলেকজান্ডারকে মুক্তি দেওয়ার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত অ্যাডাম বোয়েলার বলেছিলেন, মুক্তি দেওয়ার খবরটি একটি ইতিবাচক অগ্রগতি। জিম্মি অপর চার মার্কিন নাগরিকের মরদেহ ফেরত দেওয়ার জন্য হামাসের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। ইসরায়েলি হিসাবে ওই হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। এ ছাড়া ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে ৫৮ জন এখনো গাজায় বন্দী রয়েছেন। এই জিম্মিদের ৩৪ জনই মারা গেছেন বলে দাবি ইসরায়েলের।
হামাসের হামলার দিন থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। উপত্যকাটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, তখন থেকে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় প্রায় ৫৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার ফিলিস্তিনি। এদিকে ইসরায়েলি সব জিম্মি মুক্ত না হওয়ায় ক্রমেই প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ইসরায়েলিদের ক্ষোভ বাড়ছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে পুলক এখন সফল ফ্রিল্যান্সার, মাসে আয় কত জানেন?
পুলক মজুমদার ২০১৬ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং থেকে পড়াশোনা শেষ করে একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মকর্তা পদে চাকরি করতেন। এরপর অসুস্থ হয়ে বাড়িতে পড়ে থাকেন প্রায় তিন বছর। একই সঙ্গে জন্ডিস ও থাইরয়েডের রোগে আক্রান্ত হন তিনি। সুস্থ হওয়ার পর ব্যাংকে আবার চাকরির সুযোগও হয়। কিন্তু চেয়েছিলেন এমন একটা কাজ করবেন, যেটা ঘরে বসে করতে পারবেন। এমন সময় শুরু হয় করোনা। ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানতে পারেন তখন পুলক। জানতে পারেন ফাইভআর মাকের্টপ্লেসের কথা, যেখানে কাজ জানলে কাজের অভাব হয় না। আর ঘরে বসে কাজের সুযোগও আছে। শেখার জন্য নেমে পড়লেন নিজে নিজেই ফ্রিল্যান্সিং পেশায়। ইউটিউব থেকে শুরু করে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন, জানতে থাকেন, শিখতে থাকেন। একসময় দক্ষও হলেন কাজের সুযোগও হলো। ব্যাংকের চাকরিটা পরে আর করা হলো না। পূর্ণকালীন ফ্রিল্যান্সার হয়ে এখন মাসে আয় করেন প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ টাকা।
শুরুর গল্পপুলক মজুমদার ২০০৭ সালে খুলনা তেরখাদা উপজেলার ইন্দুহাটি এনসি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ২০০৯ খুলনা পাবলিক কলেজ এইচএইসি পাস করে ঢাকায় চলে আসেন ২০১০ সালে। ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং, বিষয়ে ২০১৬ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করেন তিনি। বাবা দিলীপ মজুমদার পেশায় একজন ব্যবসায়ী। মা সুমতি মজুমদার গৃহিণী। স্ত্রী চন্দনা বিশ্বাস, গৃহিণী। শ্রেয়া মজুমদার নামের সাত মাসের একটা মেয়েও আছে। থাকেন ঢাকার সাভারের পাথালিয়ায়।
পুলক মজুমদার বলেন, ‘২০১৭ সালে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে যোগদান করি। এক বছর পরে চাকরি ছেড়ে দিই অসুস্থতার কারণে। কেউ বলেনি আমি বেঁচে থাকব। সৃষ্টিকর্তার দয়ায় তিন বছর চিকিৎসার পরে সুস্থ হই। ভেবেছিলাম আবার ব্যাংকের চাকরিতেই ঢুকব। কিন্তু এর মধ্যে আসে কোভিড-১৯-এর বৈশ্বিক মহামারি। করোনার মাঝখানে ফ্রিল্যান্সিং শব্দটা শুনে এটা নিয়ে গবেষণা শুরু করলাম।’
২০২১ সালে জুন মাসে ফাইভাআরে নিজের আইডি তৈরি করেন পুলক মজুমদার। তিনি বলেন, ‘আমার কাজের ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নেই বই লেখা, কোর্স লেখা, প্রেজেন্টেশন তৈরি করা, বইয়ের বিজ্ঞাপন তৈরি করা, ভিডিও কোর্স তৈরি করা। একই সালের নভেম্বর মাস থেকে কাজ পাওয়া শুরু করলাম। এর পর থেকে আমার আয় বাড়তে থাকে। মাসে আমি দেড় থেকে দুই লাখ টাকা আয় করি।’
ব্যক্তিগত যোগাযোগপুলক মজুমদার