টাঙ্গাইলে জেমসের কনসার্টে মোবাইল চুরির হিড়িক
Published: 14th, May 2025 GMT
টাঙ্গাইলে বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ উপলক্ষে আয়োজিত ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে জেমসের কনসার্টে ব্যাপকহারে মোবাইল চুরির অভিযোগ উঠেছে। চুরি থেকে রেহাই পাননি গণমাধ্যম কর্মীরাও।
মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে টাঙ্গাইল শহীদ মারুফ স্টেডিয়ামে এমন ঘটনা ঘটে। এ ছাড়াও কয়েকজন নারীর শ্লীলতাহানিরও অভিযোগ উঠেছে।
মোবাইল চুরির ঘটনায় বুধবার (১৪ মে) সকালে কমপক্ষে ৬০ জন থানায় জিডি করেছেন। এদিকে আয়োজক কমিটির বাধার কারণে গণমাধ্যম কর্মীদের অনেকে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে পারেননি।
আসন্ন ঈদ উপলক্ষে বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন করা হয়। এই চ্যাম্পিয়নশিপের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
মঙ্গলবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় এর ট্রফি উন্মোচন হয়। উদ্বোধন করেন সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। এসময় জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহিন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবালসহ বিএনপির ও আয়োজক কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জেমসের কনসার্টে উপলক্ষে বিকেল থেকেই ঢল নামে টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে। পরে রাত ৯টার দিকে জেমস মঞ্চে ওঠেন। বিভিন্ন গান পরিবেশন করে তিনি দর্শকদের মাতোয়ারা করেন। এসময় স্টেডিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। তবে কনসার্টের এক পর্যায়ে কয়েকশ’ মোবাইল চুরি হয়।
অপরদিকে কয়েকজন নারীকে শ্লীলতাহানিরও অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে অনেকেই পোস্ট করছেন। এ নিয়ে জেলায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা চলছে।
দর্শনার্থীরা অভিযোগ করেন, আয়োজক কমিটি যথাযথ দায়িত্ব পালন করেনি। বিশেষ করে বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের কারণে হিমশিম খেতে হয়েছে। ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে পারেনি। এতে সাধারণ অনেক দর্শনার্থীই ঠিকমতো কনসার্ট উপভোগ করতে পারেননি।
সাংবাদিক নাঈম খান রাব্বি বলেন, “পেশাগত কাজের জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু জেমসের কনসার্টে আমার মোবাইল ফোন চুরি হয়েছে। এ ছাড়া আমার ভাগ্নেরও ফোন হারিয়েছে।”
টাঙ্গাইলের ক্রীড়া সাংবাদিক মোজাম্মেল হক বলেন, “পেশাগত দায়িত্ব পালন করার জন্য সাংবাদিক হিসেবে ভিআইপি গেটে দিয়ে প্রবেশ করতে গিয়ে ফিরে এসেছি। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরও টিকিট ছাড়া প্রবেশ করতে দেয়নি। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।”
টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানভীর আহমেদ বলেন, “পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন ছিল। মোবাইল চুরির ঘটনায় দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬০ জন জিডি করেছেন।”
ঢাকা/কাওছার/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নৌপথে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স জারি করেছি : নৌ পুলিশ না’গঞ্জ
“দূষণমুক্ত নদী ও নিরাপদ নৌযান, সুস্থ থাকবে পরিবেশ, রক্ষা হবে প্রাণ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ উপলক্ষে নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর বিআইডব্লিউটির এর আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১২ মে) বিকেলে নারায়নগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল সংলগ্ন বিআইডব্লিউটিএর ভবনে নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ উপলক্ষে এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের নৌ পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মোঃ আলমগীর হোসেন।
এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নৌ পুলিশ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, নৌপথে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স জারি করেছি। পুলিশ থাকবে আর কোনো চাঁদাবাজ থাকবে না, এটাই শেষ কথা। আপনাদের যদি কোন তথ্য থাকে, সেটা দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করবেন। আমরা পরিচয় গোপন রেখে তাৎক্ষণিক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।
নদী দূষণ প্রসঙ্গে আলমগীর হোসেন বলেন, নদী দূষণ হওয়ার জন্য আমরা সবাই দায়ী। নারায়ণগঞ্জে আগে নদীর যে নাব্যতা ছিল, সেই নাব্যতা এখন আর নেই। কলকারখানার বর্জ্য এসে নদী যেভাবে দূষণ করছে এটা যেমন ঠিক, তেমনি আমরাও বিভিন্নভাবে বর্জ্য ফেলে নদীকে দূষিত করছি। তাই টার্মিনালে মাইকিং এর মাধ্যমে এ বিষয়ে সকল যাত্রীদের সচেতন করার আহবান জানাচ্ছি।
নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর বিআইডব্লিউটিএ এর যুগ্ম পরিচালক মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন এর সভাপতিত্বে ও নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর এর উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নাহিদ হোসেন এর সার্বিক তত্বাবধানে এসময় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ ডিইপিটিসি বিআইডব্লিউটি এর অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শাজাহান, নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম আমিনুল হক, শ্রমিক নেতা মাহমুদ হোসেন ও মোঃ সাত্তার সহ বিভিন্ন কর্মকর্তা।