Prothomalo:
2025-11-03@20:23:35 GMT

অক্সিজেনশূন্য হবে পৃথিবী

Published: 14th, May 2025 GMT

পৃথিবীতে প্রাণের বিকাশের জন্য অক্সিজেনের উপস্থিতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অক্সিজেন না থাকলে পৃথিবী প্রাণহীন হয়ে যাবে। আর তাই সুপারকম্পিউটারের সিমুলেশনের মাধ্যমে পৃথিবীর সম্ভাব্য প্রাণ ধ্বংসের সময় সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছেন জাপানের তোহো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। সূর্যের ক্রমবর্ধমান তাপের প্রভাব ও অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার কারণে পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব ১০০ কোটি বছরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে সুপারকম্পিউটার।

সুপারকম্পিউটার সিমুলেশন ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, পৃথিবীর অক্সিজেন প্রায় ১০০ কোটি বছরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। তখন পৃথিবীতে কোনো প্রাণীর বেঁচে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়বে। গবেষণায় চার লাখের বেশি সিমুলেশন ব্যবহারের মাধ্যমে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সম্ভাব্য বিবর্তনের তথ্য জানানো হয়েছে। সুপারকম্পিউটারের তথ্য মতে, সূর্যের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। এত মারাত্মক প্রভাব পড়বে পৃথিবীর জলবায়ুর ওপরে। পানি বেশি বাষ্পীভূত হবে, পৃষ্ঠের তাপমাত্রাও দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে তখন কার্বনচক্র দুর্বল হয়ে পড়বে। উদ্ভিদ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কারণে অক্সিজেন উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে। বায়ুমণ্ডলে তখন উচ্চমাত্রার মিথেন দেখা যাবে। পৃথিবীর আদিম অবস্থায় ফিরে যেতে পারে তখন। সুপারকম্পিউটারের সিমুলেশনের এ তথ্য নেচার জিওসায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।

তোহো বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক কাজুমি ওজাকি জানিয়েছেন, কার্বনেট-সিলিকেটনির্ভর ভূরাসায়নিক চক্রের ওপর ভিত্তি করে জীবমণ্ডলের আয়ুষ্কালের তথ্য জানিয়েছে সুপারকম্পিউটার। সেখানে তাত্ত্বিক কাঠামোর মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলের কার্বন ডাই–অক্সাইডের স্তর ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। ভবিষ্যতে বিশ্বে উষ্ণায়ন আরও বাড়বে। ধারণা করা হচ্ছে, পৃথিবীতে অতিরিক্ত উত্তাপ ও সালোকসংশ্লেষণের ফলে কার্বন ডাই–অক্সাইডের ঘাটতি দেখা যাবে। এমন পরিস্থিতি কখন ও কীভাবে ঘটবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

সূত্র: এনডিটিভি

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক র বন

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ