ফতুল্লার মুসলিমনগরে স্বামীর লিঙ্গ কেটে দিলো স্ত্রী
Published: 14th, May 2025 GMT
ফতুল্লায় স্বামীর পরকীয়া সহ নির্যাতন সহ্য করতে না পেড়ে স্বামীর লিঙ্গ কেটে দিয়েছে স্ত্রী। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে। তবে স্বামীর লিঙ্গ কেটে স্বাভাবিক ভাবে বাসায় অবস্থান করছে গার্মেন্টস শ্রমিক স্ত্রী।
মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে ফতুল্লার মুসলিমনগরস্থ আমেনা মার্কেট এলাকায় এঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় মানিককে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহত স্বামী মানিক মিয়া জামালপুরের হাসেম ফকিরের ছেলে। সে স্ত্রী রোজিনাকে নিয়ে ফতুল্লার মুসলিমনগর নয়াবাজার আমেনা মার্কেট সংলগ্ন এলাকার আব্দুল্লাহর বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে।
বাড়ির মালিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মানিক ও রোজিনা নয়াবাজার আমেনা মার্কেট সংলগ্ন এলাকার আব্দুল্লাহর ভাড়াটিয়া বাসায় এক মাস হয় আসে। তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রতিনিয়ত জগড়া হতো।
মঙ্গলবার রাতে স্ত্রী রোজিনা তার স্বামীর লিঙ্গ কেটে ফেলে দেয়ার খবরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে য়াওয়া হয়। তবে স্ত্রী রোজিনা স্বাভাবিক ভাবে তার ভাড়াটিয়া বাসায় রয়েছে। কেউ তাকে কিছু বলে নাই এবং থানা পুলিশকে অবগত করা হয়নি।
এ বিষয়ে রোজিনার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, সে বিসিক শিল্পনগরীর একটি গার্মেন্টে চাকরি করে। গত ২ বছর আগে ভাল বাসার সম্পর্ক করে মানিককে বিয়ে করে। বিয়ে করার জানতে পারে সে বিভিন্ন নারীদের সাথে অবৈধ ভাবে সম্পর্ক করে। এমনকি কোন কাজ কর্ম করে না।
তার পরও তাকে অনেক ভাল বাসার কারণে নিজের কাজ করে তার পছন্দের জামা কাপড় কিনে দেই এবং তার পছন্দের খাবার তৈরি করে দেই। কিন্তু আমার সামনে ঘরে বসে অন্য মেয়েদের সাথে কথা বলে।
এমনকি একেক দিন একেক মহিলার বাসায় গিয়ে রাত্রি যাপন করে। আমাকে ফেলে অনেক মহিলার সাথে স্বামী স্ত্রীর পরিচয়ে বসবাস করে। এমন ঘটনা জানতে পেড়ে তাকে জিজ্ঞেস করতে গেলে আমার উপর চালায় নির্যাতন।
তিনি আরো বলেন, ৬৪ টি জেলার মধ্যে ৬৩ জেলার নারীদের সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। আমি তাকে এতো ভাল বাসার পরও যেহেতু আমাকে রেখে তার জিনিস টা এদিক সেদিক ব্যবহার করে যার কারনে জিনিস টাই কেটে দিলাম। যাতে জিনিস অন্য জায়গায় না যায়। তার জিনিস টা কেটে দিয়েছি, তার পরও তার সাথে আমি সংসার করবো।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
আধুনিক টিভির যত আধুনিক সুবিধা
টেলিভিশনকে বাংলায় বলা হয় ‘দূরদর্শন’। মাত্র কয়েক বছর আগেও এটি সত্যিই ছিল দূরদর্শনের মাধ্যম—দূরের কোনো ঘটনা চোখের সামনে এনে দেওয়ার একটি যন্ত্র। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে টিভির সংজ্ঞা, উদ্দেশ্য ও ব্যবহার। প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতিতে আজকাল টিভি হয়ে উঠেছে একটি ‘স্মার্ট হাব’, যেখানে সিনেমা দেখা, গেম খেলা, ভিডিও কল করা, এমনকি বাড়ির অন্যান্য স্মার্ট ডিভাইসও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আধুনিক টিভিগুলোর সুবিধা কেবল ছবি বা সাউন্ডে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এগুলো এখন ব্যবহারকারীদের এনে দিয়েছে একসঙ্গে বিনোদন, সংযোগ, যোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রণের নতুন এক এক্সপেরিয়েন্স।
স্মার্ট অপারেটিং সিস্টেমবর্তমান প্রজন্মের টিভিগুলো শুধু নাটক কিংবা সিনেমা দেখার একটি স্ক্রিন নয়, বরং একটি সম্পূর্ণ স্মার্ট ডিভাইস। স্মার্ট টিভিতে অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) হিসেবে টাইজেন, অ্যান্ড্রয়েড টিভি, রোকু টিভি এবং ওয়েবওএস ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। এই সিস্টেমগুলোর মাধ্যমেই বর্তমান যুগের টিভিগুলো হয়ে উঠছে আধুনিক থেকে আধুনিকতর। ব্যবহারকারীরা এখন চাইলেই স্মার্ট টিভিগুলোতে নেটফ্লিক্স, ইউটিউব, স্পটিফাই, অ্যামাজন প্রাইম কিংবা যেকোনো ওটিটি প্ল্যাটফর্মও সরাসরি উপভোগ করতে পারেন।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ‘অ্যাপ স্টোর ইন্টিগ্রেশন’। টিভিতেই এখন মোবাইলের মতো অ্যাপ ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যায়। ওয়েদার অ্যাপ, গেমস, নিউজ—এমনকি ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপও ব্যবহার করা যায় টিভির বড় স্ক্রিনে।
ভয়েস কন্ট্রোল: কথা বলেই নিয়ন্ত্রণরিমোট খোঁজার ঝামেলা এখন যেন অতীত। আগে টিভির সবকিছু রিমোট দ্বারা পরিচালিত হলেও এখনকার আধুনিক টিভিগুলোতে আছে ভয়েস কন্ট্রোল—যেখানে ব্যবহারকারীর ভয়েস দ্বারাই টিভি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই প্রযুক্তি বিক্সবি, গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট, অ্যালেক্সার মতো ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্টের মাধ্যমে কাজ করে। এর পাশাপাশি কিছু হাই-এন্ড মডেলে রয়েছে জেসচার কন্ট্রোল—যেখানে হাত নাড়লেই টিভি রেসপন্স করে। টিভি চালু-বন্ধ করা, চ্যানেল পরিবর্তন—এমনকি ভলিউম বাড়ানো-কমানোর মতো কাজও করা যায় হাতের ইশারায়। এ ক্ষেত্রে গ্যালাক্সি ওয়াচের কথা বলা যায়। এটি হাতের নড়াচড়াকে শনাক্ত করে এসব কমান্ড কার্যকর করে।
মাল্টি-ডিভাইস কানেকটিভিটি: এক স্ক্রিনে সব সংযোগবর্তমানে টিভি শুধু সম্প্রচার মাধ্যম নয়; এটি হয়ে উঠেছে একটি সেন্ট্রাল কন্ট্রোল ইউনিট। মোবাইল ফোন, স্পিকার, ল্যাপটপ, গেমিং কনসোল—সব ডিভাইস এখন টিভির সঙ্গে সহজেই সংযুক্ত করা যায়।
বেশির ভাগ স্মার্ট টিভিতে রয়েছে ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ, এইচডিএমআই এআরসি, এয়ার প্লে, মিরাকাস্টসহ বিভিন্ন সুবিধা। ফলে ব্যবহারকারী চাইলে নিজের ফোনের ছবি, ভিডিও বা প্রেজেন্টেশন মুহূর্তেই বড় স্ক্রিনে শেয়ার করতে পারেন। সেই সঙ্গে আধুনিক টিভিগুলোতে রয়েছে গেমারদের জন্য এইচডিএমআই ২.১ পোর্ট এবং কম ইনপুট ল্যাগযুক্ত ডিসপ্লে, যা গেমিং এক্সপেরিয়েন্সকে করে তোলে আরও স্মুথ।
আধুনিক টিভিগুলো ব্যবহারকারীদের এনে দিয়েছে একসঙ্গে বিনোদন, সংযোগ, যোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রণের নতুন এক এক্সপেরিয়েন্স