১৭ বছর পর জোলিময় হয়ে উঠলো কানের লাল গালিচা
Published: 17th, May 2025 GMT
গতকাল পরিচালক আরি অ্যাস্টার-এর নতুন চলচ্চিত্র ‘এডিংটন’ এর প্রিমিয়ার উপলক্ষে কান চলচ্চিত্র উৎসবের লাল গালিচায় দীর্ঘ ১৭ বছর পর আবারও দেখা গেল অ্যাঞ্জেলিনা জোলিকে। শুভ্র পোশাকে এ সময় তিনি ছিলেন সত্যিকার অর্থেই নজরকাড়া।
এবার উৎসবের ৭৮তম এই আসরের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগের ছবি ‘এডিংটন’ এ তিনি অভিনয় করছেন সম্মানজনক ভূমিকা—শপার্ড ট্রফির মেরিন বা শুভেচ্ছাদূত হিসেবে।
লাল গালিচায় জোলি হাজির হন এক অপূর্ব চ্যাম্পেইন রঙের অফ-শোল্ডার বাস্টিয়ার গাউনে, যার কাট ছিল হালকা ঘেরযুক্ত ও সূক্ষ্ম সূচিকর্মে সজ্জিত। তার লুকটি পরিপূর্ণ করেন শপার্ডের হীরার গয়নায় সাজানো এক রাজকীয় সেট, যা তাঁর সৌন্দর্যকে আরও উজ্জ্বল করে তোলে।
অ্যাঞ্জেলিনা জোলির এই প্রত্যাবর্তন শুধু গ্ল্যামারেই নয়, ইতিহাসেও অনন্য। কারণ, ২০০৮ সালে তিনি শেষবারের মতো এই লাল গালিচায় হেঁটেছিলেন—তাও ছিলেন তাঁর যমজ সন্তান নক্স ও ভিভিয়েনকে গর্ভে ধারণ করে। তখন তাঁর পাশে ছিলেন ব্র্যাড পিট, আর পরেছিলেন তিনি ফরাসি ব্র্যান্ড জেরার দারে-র ডিজাইন করা একটি পিস্টাচিও-সবুজ গাউন।
তাঁর এবারের উপস্থিতি যেন সেই স্মরণীয় মুহূর্তেরই এক গৌরবময় পুনরাবৃত্তি—যেখানে গ্ল্যামার, ইতিহাস আর চলচ্চিত্রের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা একত্রিত হয়ে তৈরি করেছে এক অসাধারণ আবহ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক ন চলচ চ ত র উৎসব
এছাড়াও পড়ুন:
সিডনিতে ‘উৎসব’–এ মেতেছেন প্রবাসীরা
প্রবাসে দেশি সিনেমা দেখাটা একধরনের সামাজিক উৎসবের মতো। অস্ট্রেলিয়ায় সেই উৎসবেই মেতেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। উৎসবের আবহে সিডনির অবার্নের রিডিং সিনেমায় তানিম নূর পরিচালিত ‘উৎসব’ দেখতে সপরিবার ভিড় করছেন প্রবাসী বাংলাদেশি চিকিৎসক, প্রযুক্তিবিদ, শিক্ষার্থীসহ নানা পেশার মানুষ।
রিডিং সিনেমায় ছবিটির প্রদর্শনী ছিল হাউসফুল। দর্শকের ভালোবাসা দেখে বাড়ানো হয়েছে আরও অনেক শো। অস্ট্রেলিয়ায় ছবিটি পরিবেশন করছে ‘পথ প্রোডাকশনস’। পরিবেশক শাওন অরিজিৎ খুশি, ‘সিডনি, মেলবোর্নের দর্শকদের সাড়া দেখে অভিভূত। এখন পার্থ, ক্যানবেরা, ব্রিসবেনে যাচ্ছে উৎসব। ১৫ জুলাই থেকে নিউজিল্যান্ডেও দেখানো হবে।’
আরও পড়ুনউত্তর আমেরিকায় রেকর্ড, কত আয় করল ‘উৎসব’২৮ জুন ২০২৫ব্ল্যাকটাউন হাসপাতালের চিকিৎসক সোনিয়া ভট্টাচার্য বললেন, ‘সত্যি কথা বলতে কি, এত দিন পর একটা সিনেমা দেখে মনটা ভরে গেল। আমাদের মায়ের প্রজন্ম, আমাদের প্রজন্ম এবং আমার মেয়ের প্রজন্ম—সবাই একসঙ্গে বসে দেখলাম, একসঙ্গে হাসলাম, কাঁদলাম। চিকিৎসক জীবনের ব্যস্ততা, জীবনযাত্রার গতি—সবকিছুর বাইরে এসে যেন একটুখানি শ্বাস ফেলার মতো সুযোগ পেলাম।’
শো শুরু হওয়ার আগে