তথ্য উপদেষ্টাকে বোতল ছোড়ার ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মোহাম্মদ ইশতিয়াক হোসাইনকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার বয়স, পেশা, ব্যক্তিগত মানবাধিকার ও আইনের বিধিবিধান যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। তারা বলছে, এক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।

শুক্রবার রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ১৪ মে রাত আনুমানিক ১০টায় আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের জন্য তথ্য উপদেষ্টা কাকরাইল মসজিদ এলাকায় যান। মতবিনিময়ের একপর্যায়ে তাকে লক্ষ্য করে আন্দোলকারীদের মধ্য থেকে কে বা কারা একটি পানির বোতল ছুঁড়ে মারে, যা আকস্মিকভাবে তার মাথায় আঘাত করে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা, জড়িত ব্যক্তিকে শনাক্ত এবং এ ঘটনার নেপথ্য কারণ উদঘাটনের জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ এবং তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে মোহাম্মদ ইশতিয়াক হোসাইন নামক এক ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করে। পরবর্তীতে ঢাকা মহানগর পুলিশের একটি দল বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ৯টায় রাজধানীর আলুবাজার পুকুরপাড় এলাকায় তার মেস থেকে শনাক্ত করা ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। এ বিষয়ে তার সঙ্গে মেসে বসবাসরত অন্যান্য সদস্যদের তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করা হয়। রাত আনুমানিক ৯টা ৫৫ মিনিটে ডিবি কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ওই ঘটনার সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা ও অন্যান্য বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে শুক্রবার দুপুর আনুমানিক ১২টায় তিনি ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন এবং এজন্য অনুতপ্ত হয়ে ভবিষ্যতে এরূপ কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকবেন মর্মে লিখিত অঙ্গীকারনামা দিতে প্রস্তুত রয়েছেন বলে অবহিত করেন। পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাপূর্বক তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত হয়। সেই অনুযায়ী শুক্রবার দুপুরে তার পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয় এবং যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এদিন সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টায় তাকে তার মায়ের কাছে  হস্তান্তর করা হয়।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ভৈরবে প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগে মামলা, আসামি যুবলীগ নেতা পলাতক

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার মানিকদী পূর্বকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কে এম মাসুদকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে যুবলীগের স্থানীয় এক নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে বাদী হয়ে মামলাটি করেন ভুক্তভোগী শিক্ষক।

মামলায় একমাত্র আসামি আজিম রানা। তিনি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা, বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মানিকদী পূর্বকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থান গজারিয়া ইউনিয়নের মানিকদী গ্রামে। স্কুলটির সঙ্গে লাগোয়া একটি বাড়ির বাসিন্দা এলাছ উদ্দিনের ছেলে আজিম রানা। আজিম ব্যক্তিগত প্রয়োজনে প্রায়ই স্কুলের সম্পদ ব্যবহার করতে চান। নিষেধ করলে শিক্ষকদের মারধর করতে যান। গত বৃহস্পতিবার স্কুল ছুটি হওয়ার পর কাউকে কিছু না বলে স্কুলের পানির পাম্প ব্যবহার করে নিজ পুকুরে পানি দেন আজিম। টানা দুই দিন বিরতিহীন পাম্প চলার একপর্যায়ে সেটি বিকল হয়ে যায়। গতকাল রোববার স্কুল খোলার পর আজিমের বাড়িতে গিয়ে পাম্পটি মেরামত করে দেওয়ার অনুরোধ করেন মাসুদ। তখন আজিম বাড়িতে ছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আজিম স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে গালমন্দ করেন। একপর্যায়ে সবার সামনে মারধর শুরু করেন।

এ কে এম মাসুদ বলেন, ‘আমি ৯ বছর ধরে স্কুলটিতে আছি। আজিমের ভয়ে সবাইকে তটস্থ থাকতে হয়। যখন যা খুশি, তাই করার চেষ্টা করেন। তাঁকে থামানোর কেউ নেই। আমাদের কারও সঙ্গে কথা না বলে পুকুরে পানি দেওয়ার কাজে স্কুলের পাম্প ব্যবহার করেন। আমি কেবল তাঁর পরিবারের কাছে বিকল পাম্পটি মেরামত করে দেওয়ার অনুরোধ করে এসেছিলাম।’

এ বিষয়ে উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ঘটনাটি ছোট নয়। স্কুল চলাকালে প্রধান শিক্ষককে মারধর করেছেন ওই ব্যক্তি।

মামলার পরপর এলাকা ছেড়েছেন আজিম। তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার ফুয়াদ রুহানি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আন্দোলনের একপর্যায়ে আমরা ‘ডু অর ডাই’ পরিস্থিতিতে চলে যাই: নাহিদ ইসলাম
  • ভৈরবে প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগে মামলা, আসামি যুবলীগ নেতা পলাতক