এভারেস্ট অভিযানে ভারত ও ফিলিপাইনের দুই পর্বতারোহীর মৃত্যু
Published: 17th, May 2025 GMT
বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করতে গিয়ে চলতি মৌসুমে (মার্চ থেকে মে মাস) দুই পর্বতারোহীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের একজন ভারতীয়। অন্যজন ফিলিপাইনের নাগরিক। পর্বতারোহণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নেপালের কর্মকর্তারা গতকাল শুক্রবার এ কথা জানান।
ভারতীয় ওই পর্বতারোহীর নাম সুব্রত ঘোষ। বয়স ৪৫ বছর। গত বৃহস্পতিবার ‘হিলারি স্টেপের’ ঠিক নিচে তাঁর মৃত্যু হয়। তখন ৮ হাজার ৮৪৯ মিটার বা ২৯ হাজার ৩২ ফুট ওঠার পর ফিরতি পথ ধরেছিলেন সুব্রত।
হিলারি স্টেপ ‘ডেথ জোন’ হিসেবে পরিচিত এলাকায় অবস্থিত। ৮ হাজার ফুট উঁচু ওই জায়গায় বেঁচে থাকার জন্য পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক অক্সিজেন নেই।
আরও পড়ুনএক সপ্তাহে এভারেস্ট জয় কি সত্যিই সম্ভব৩০ এপ্রিল ২০২৫আয়োজক প্রতিষ্ঠান নেপালের স্নোওয়ে হরাইজন ট্র্যাকস অ্যান্ড এক্সপিডিশনের বোধরাজ ভান্ডারি বলেন, ‘সুব্রত হিলারি স্টেপ থেকে নিচে নামতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।’
সুব্রতের সঙ্গে আসলে কী ঘটেছিল, এর বেশি বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
বোধরাজ ভান্ডারি জানান, ভারতীয় এই পর্বতারোহীর মরদেহ এভারেস্টের বেসক্যাম্পে নামিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে। পোস্টমর্টেম করা হলে তাঁর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুনএভারেস্টে আরোহণের ফি ৩৬ শতাংশ বাড়ছে২২ জানুয়ারি ২০২৫এদিকে ফিলিপাইনের পর্বতারোহীর নাম ফিলিপ সান্তিয়াগো। তাঁরও বয়স ৪৫ বছর। বুধবার দিনের শেষভাগে মারা যান তিনি। নেপালের পর্যটন বিভাগের কর্মকর্তা হিমাল গৌতম বলেন, ওই সময় ফিলিপ মাউন্ট এভারেস্ট জয়ের পথে সাউথ কোল অংশে ছিলেন।
হিমাল গৌতম জানান, চতুর্থ সর্বোচ্চ ক্যাম্পে পৌঁছানোর পর ফিলিপ বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। তাই নিজের তাঁবুতে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তিনি। ওই সময় ফিলিপের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুনএভারেস্টে হারিয়ে যাওয়া ৯ বিখ্যাত অভিযাত্রীর গল্প ২৭ মে ২০২৪এই দুই পর্বতারোহী বোধরাজ ভান্ডারির আন্তর্জাতিক পর্বতারোহণ অভিযান সংস্থার সদস্য ছিলেন।
চলতি মে মাসে শেষ হতে যাওয়া এবারের পর্বতারোহণ মৌসুমে নেপালের কর্তৃপক্ষ এভারেস্ট জয়ে ৪৫৯টি অনুমতিপত্র ইস্যু করেছে। গত সপ্তাহে প্রায় ১০০ পর্বতারোহী ও তাঁদের গাইড সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছেছেন। এভারেস্ট অভিযানের ১০০ বছরের বেশি সময়ের ইতিহাসে বন্ধুর এ পথে অন্তত ৩৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুনএভারেস্টে পাওয়া শত বছর আগের পায়ের খণ্ডাংশটি কার ১৩ অক্টোবর ২০২৪.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কৃষক দল নেতার ওপর বিএনপি নেতাকর্মীর হামলার অভিযোগ
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা কৃষক দল নেতা আহমেদ হোসেন তালুকদারের ওপর হামলা হয়েছে। ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রধানের সমর্থকদের বিরুদ্ধে এ হামলার অভিযোগ উঠেছে।
গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে গোয়ালমারী বাজারে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহত আহমেদ হোসেন তালুকদার দাউদকান্দি উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক। তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দাউদকান্দি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক লতিফ ভূঁইয়া ও সদস্য সচিব ভিপি জাহাঙ্গীর আলম গোয়ালমারী ইউনিয়ন কমিটির অনুমোদন দেন। এতে রায়হান উদ্দিন রেণু মুন্সিকে সভাপতি এবং মিজানুর রহমান প্রধানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ইউনিয়ন বিএনপির এই কমিটিতে মিজানুর রহমান প্রধানকে সভাপতি না করায় তাঁর সমর্থকরা আহমদ হোসেন তালুকদারকে গোয়ালমারী বাজারে পেয়ে হামলা চালায়। এতে তাঁর মাথা ফেটে গেছে। হামলার ঘটনায় মিজানুর রহমানকে দল থেকে শুক্রবার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
আহমেদ হোসেনের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন সাকু বলেন, ‘আমার ভাই মিজানুর রহমানকে সমর্থন করেননি বলে তিনি সভাপতি হতে পারেননি এমন অভিযোগ তুলে হামলা চালিয়েছে।’
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ভিপি জাহাঙ্গীর আলম জানান, হামলার ঘটনায় ইন্ধন ও সংশ্লিষ্টতা থাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা চেয়ে মিজানুর রহমানকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনায় বিএনপির নির্বাহী সদস্য ড. খন্দকার মারুফ হোসেন বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমি ফেসবুকে একটি বিবৃতি দিয়েছি, সন্ত্রাসীর কোনো দল নাই। সন্ত্রাসী যে দলেরই হোক না কেন তাকে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নাই।’
অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য জানতে মিজানুর রহমান প্রধানকে ফোন করা হলেও রিসিভ করেননি। দাউদকান্দি থানার ওসি জুনায়েদ চৌধুরী জানান, হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।