তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির করহারের ব্যবধান ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব
Published: 17th, May 2025 GMT
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয়—এমন কোম্পানির মধ্যকার করপোরেট করহারের ব্যবধান ন্যূনতম ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন বাজার অংশীজনেরা। পাশাপাশি আগামী বাজেটে শেয়ারবাজারে এক লাখ টাকা পর্যন্ত লভ্যাংশ আয়কে করমুক্ত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। আজ শনিবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে এক বৈঠকে এসব প্রস্তাব করা হয়। এর আগে শেয়ারবাজার নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকেও বিএসইসির পক্ষ থেকে এসব সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছিল।
শেয়ারবাজারের বর্তমান পরিস্থিতিতে বাজার অংশীজনদের সঙ্গে আজ শনিবার বিকেলে বৈঠকে বসে বিএসইসি। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই), ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ), মার্চেন্ট ব্যাংকারদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ), ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) শীর্ষ নেতারা অংশ নেন। সভায় বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, কমিশনার মোহসিন চৌধুরী, আলী আকবর ও ফারজানা লালারুখ, ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম, সিএসইর চেয়ারম্যান এ কে এম হাবিবুর রহমান, ডিবিএর সভাপতি সাইফুল ইসলাম, ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান, শাকিল রিজভী ও রিচার্ড ডি রোজারিও, বিএমবিএর সভাপতি মাজেদা খাতুন, আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে বিএসইসির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় শেয়ারবাজারের মূলধনি মুনাফার ওপর থেকে কর প্রত্যাহার, বেনিফিশিয়ারি ওনার্স বা বিও হিসাবের বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ মাশুল মওকুফ, ব্রোকারেজ হাউসের লেনদেনের ওপর থেকে অগ্রিম কর কমানো, ব্রোকারেজ হাউসের সমন্বিত গ্রাহক হিসাব থেকে প্রাপ্ত আয়ের ব্যবহার, সরকারি কোম্পানি ও বেসরকারি খাতের বহুজাতিক কোম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তিসহ বাজারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে যেসব বিষয়ে বিএসইসির পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে, সেগুলোর বিষয়ে বিএসইসি ব্যবস্থা নেবে বলে সভায় জানানো হয় বলে বৈঠক সূত্রে জানা যায়।
বিএসইসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সভায় আইসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চলতি অর্থবছরে সংস্থাটির আয়ের ৮০ শতাংশই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করা হবে। বাকি ২০ শতাংশ নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশনিং হিসেবে সংরক্ষণ করা হবে। এ ছাড়া সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, এখন থেকে প্রতি মাসের শেষ বৃহস্পতিবার বাজার অংশীজনদের নিয়ে সমন্বয় সভা করা হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ য় রব জ র ব এসইস র প রস ত ব
এছাড়াও পড়ুন:
ডিএসইতে সূচকের উত্থান, সিএসইতে পতন
চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিক পতনের ফলে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ হাজার ৭০০ পয়েন্টের ঘরে নেমেছে।
এ দিনে আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে। সাড়ে চার মাস আগের অবস্থানে নেমে এসেছে লেনদেন ও সূচক। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম বাড়লেও সিএসইতে কমেছে।
আরো পড়ুন:
বেক্সিমকো সিকিউরিটিজের সনদ নবায়ন বাতিল
প্রথম প্রান্তিকে প্রাণের মুনাফা কমেছে ১.১৬ শতাংশ
বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অনেক দিন ধরে পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান দেখা গেলেও লেনদেন শেষে তা পতনে রূপ নেয়। রবিবার সকালে ডিএসইএক্স সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শুরু হয়। তবে, লেনদেন শুরুর ১০ মিনিট পর থেকে সূচকের পতন দেখা যায়। এক পর্যায়ে সূচক ৮০ পয়েন্টের বেশি পতন ঘটে। তবে, লেনদেনের শেষ হওয়ার আধা ঘণ্টা আগে সূচক আবার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ফিরে আসে, যা লেনদেন শেষ হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। কয়েক মাসের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন অনেক কমেছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ২৯.৪৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৭৩২ পয়েন্টে।
এদিন ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৮.১৬ পয়েন্ট কমে ৯৮৫ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৯.২৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৬০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৮৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ২৩৬টি কোম্পানির, কমেছে ১১৩টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫টির।
এদিন ডিএসইতে মোট ২৯৮ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৮৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ৫০.৮৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ২৬৮ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭৪.৩৭ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৩২৬ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ৩.৯৬ পয়েন্ট কমে ৮৪০ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ৩৮.৯৮ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ১৩৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে মোট ১৪৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৪৭টি কোম্পানির, কমেছে ৮২টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৭টির।
সিএসইতে ৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৭ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
ঢাকা/এনটি/রফিক