বৈষম্যবিরোধীর চট্টগ্রামের আহ্বায়ক-সদস্যসচিবকে বহিস্কৃত নেত্রীর লিগ্যাল নোটিশ
Published: 18th, May 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির আহ্বায়ক আরিফ মঈনউদ্দীন ও সদস্যসচিব নিজাম উদ্দিনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সংগঠনটির মহানগর কমিটির মুখপাত্র থেকে বহিষ্কৃত ফাতেমা খানম লিজা। আজ রোববার লিজার পক্ষে এ নোটিশ দেন আইনজীবী মোহাম্মদ মঞ্জুরুল হক।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে- ফাতেমা খানম লিজার বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও অসামাজিক জীবনযাপনের যে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে, তার কোনো প্রমাণাদি নেই। প্রমাণ ছাড়া এ ধরনের অভিযোগ চরিত্রহরণের সামিল। বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনাল আইনে তা অপরাধেরও সামিল। পাশাপাশি লিজাকে বহিষ্কারাদেশের বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কোনো আলাপ-আলোচনা না করে গণমাধ্যমে প্রচার করাও আইনবিরোধী। লিজাকে বহিষ্কারের আগে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণ দর্শানোর নোটিশ না দিয়ে সংগঠনের আইন পরিপন্থিভাবে বহিষ্কারাদেশ করা হয়েছে, তাই নোটিশপ্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে উক্ত বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার পূর্বক সোশ্যাল মিডিয়াসহ যাবতীয় গণমাধ্যমে তা প্রত্যাহার আদেশ প্রচার করার পরামর্শ দেওয়া হয় নোটিশে। অন্যথায় নোটিশ গ্রহীতাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবেন বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার মাদক সেবন, অনিয়ন্ত্রিত ও অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ এনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির মুখপাত্র ফাতেমা খানম লিজাকে বহিষ্কার করা হয়। মহানগর কমিটির আহ্বায়ক আরিফ মঈনউদ্দীন এবং সদস্যসচিব নিজাম উদ্দিন সাক্ষরিত আদেশে তাকে এই অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপরই এটিকে অযৌক্তিক দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বক্তব্য দিয়ে আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আল্টিমেটাম দেন লিজা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সদস যসচ ব
এছাড়াও পড়ুন:
দায়রা আদালতেও জামিন মেলেনি এনায়েত করিমের
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরীর জামিনের আবেদন আবারও নামঞ্জুর হয়েছে। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক সাব্বির ফয়েজ আজ রোববার এ আদেশ দেন।
ঢাকা মহানগরের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতেও তাঁর জামিন আবেদন নাকচ হয়। এই মামলায় তিন দফায় তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে এনায়েত করিম (৫৫) প্রাডো গাড়িতে করে মিন্টো রোড এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন। গাড়ি থামিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ওই এলাকায় ঘোরাঘুরি করার বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি। তাই তাঁকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়। পরে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং তাঁর বিরুদ্ধে রমনা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে জব্দ করা পাসপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, তিনি মার্কিন নাগরিক।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্র প্রথম আলোকে জানিয়েছে, এনায়েত করিম নিজেকে মাসুদ করিম নামে পরিচয় দেন। তিনি নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের প্রধান বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন। এ পরিচয়ে তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতাদের রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করার স্বপ্ন দেখান। ২০১৮ সালের ভোটের আগেও তিনি একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে দেশের বাইরে বৈঠক করেন। গত ৬ সেপ্টেম্বর তিনি দেশে ফেরেন।
আরও পড়ুনসেই এনায়েত করিমকে বিমানবন্দরে আনতে যান পুলিশ কর্মকর্তা, পাঁচ তারকা হোটেলের ভাড়া দেন জাপা নেতা১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫এর আগে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আদালতকে বলা হয়েছে, আসামি এনায়েত করিম ওরফে মাসুদ করিম একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। বাস্তবে তিনি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর এজেন্ট। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল করার মিশন নিয়ে তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। তিনি বর্তমান সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত। তাঁর দুটি মুঠোফোন জব্দ করা হয়েছে।