মা দিবস উপলক্ষে দেশের গাইনকলজিস্ট মায়েদের সম্মানে অনুষ্ঠিত হলো ব্যতিক্রমধর্মী এক শ্রদ্ধা ও আনন্দঘন আয়োজন ‘ডি-জেস্ট প্রেজেন্টস রত্নধারিনী। রোববার দুপুরে রাজধানীর অভিজাত ঢাকা ক্লাব-এর স্যামসন এইচ চৌধুরী সেন্টারে এক বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ওজিএসবির সভাপতি অধ্যাপক ডা.

ফারহানা দেওয়ান। 

অ্যাকমি'স গাইনোকেয়ারের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং দি একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এবং নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন এর সদস্য ডা. হালিদা হানুম আখতার। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ওজিএসবি-এর সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. সামিনা চৌধুরী এবং অধ্যাপক ডা. রওশন আরা বেগম।

এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের গাইনকলজিস্ট মায়েদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন—যারা একদিকে রোগীর সেবা ও অন্যদিকে পরিবারের প্রতি কর্তব্য পালনের কঠিন ভার বহন করে চলেছেন। তাদের এই দ্বৈত ভূমিকা, আত্মত্যাগ এবং ভারসাম্যের কাহিনী তুলে ধরতে অনুষ্ঠানে প্রচারিত হয় মা দিবস বিশেয়ক বিশেষ ভিডিও, যা উপস্থিত সবাইকে আবেগাপ্লুত করে তোলে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন দি একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার (মার্কেটিং) মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (সেলস অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন) মো. ফেরদৌস খান, যারা গাইনকলজিস্টদের এই অবদানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতেও এই শ্রেণির চিকিৎসকদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

এছাড়াও ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও র‌্যাফেল ড্র, যা অনুষ্ঠানে আনন্দের এক বিশেষ মাত্রা যোগ করে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত গাইনকলজিস্টরা এতে অংশগ্রহণ করেন এবং নিজেদের জীবনের গল্প, সংগ্রাম ও অর্জন ভাগ করে নেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম দ বস অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ