Samakal:
2025-11-02@06:24:22 GMT

দুর্যোগে কাজ করবে যে উদ্ভাবন

Published: 5th, July 2025 GMT

দুর্যোগে কাজ করবে যে উদ্ভাবন

শাহেন শাহ। ভূমিকম্প, বন্যা, পাহাড়ধসসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে তাৎক্ষণিক ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ড্রোনের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক সচল রাখার পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন। তরুণ এই বাংলাদেশি তুরস্কের ইলদিজ টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রনিকস ও যোগাযোগ প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। তাঁর এই সাড়া জাগানো উদ্ভাবন নিয়ে কথা বলেছেন সাহসের সঙ্গে। লিখেছেন মুহাম্মদ শফিকুর রহমান

ভূ  মিকম্প, বন্যা, পাহাড়ধসসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। ফলে ব্যাহত হয় উদ্ধারকাজ। এতে বাড়ে জান-মালের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। দুর্যোগকালীন এই ক্ষয়ক্ষতি রোধে ড্রোনের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক সচল রাখার পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন তুরস্কের ইলদিজ টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রনিকস ও যোগাযোগ প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহেন শাহ। ইতোমধ্যে তুরস্কের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক হুরিয়াত, ইংরেজি দৈনিক সাবাহ, প্রধান টিভি চ্যানেল টিআরটি হাব গুরুত্বসহকারে প্রচার করেছে তরুণ এই বাংলাদেশির উদ্ভাবনের খবর। শাহেন শাহ বলেন, ‘ছোটবেলায় যখন বিজ্ঞান বই পড়তাম তখন ভাবতাম, বড় হয়ে বিজ্ঞানী হব। অনেক কিছু আবিষ্কার করব; যা মানুষের কল্যাণে যুগের পর যুগ ব্যবহার হবে।’ লক্ষ্মীপুরে বেড়ে ওঠা ছোট্ট শাহেন শাহর সেই ভাবনা যেন সত্যি হয়েই ধরা দিল! 
উদ্ভাবনের গল্প
২০২২ সালে শাহেন শাহ কাজ শুরু করেন। তিনি চাইতেন এমন কিছু উদ্ভাবন করতে, যা অসংখ্য মানুষের উপকারে আসবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভূমিকম্পে প্রচুর মানুষ মারা যায়। খোদ তুরস্কেই ভূমিকম্প কেড়ে নেয় হাজারো প্রাণ। এই বিষয়গুলো শাহেন শাহকে নেটওয়ার্ক সচল রাখার উদ্ভাবনে উৎসাহিত করে। তার এই উদ্ভাবন বিখ্যাত ড্রোনস জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে। শাহেন শাহর উদ্ভাবন তুরস্কের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত গবেষণা পরিষদ এবং ইলদিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় পরিচালিত প্রকল্পে প্রাথমিক ধাপ উতরে গেছে। এখন কেবলই বাস্তবায়নের অপেক্ষা! শাহেন শাহর সঙ্গে আরও ৯ জন যুক্ত আছেন। যারা তারই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাচেলর, মাস্টার্স, পিএইচডিতে অধ্যয়নরত। 
যেভাবে কাজ করে
দুর্যোগের সময় যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখা অত্যন্ত জরুরি। যেখানে দুর্যোগ হবে সেখানে কিছু ড্রোন নির্দিষ্ট দূরত্বে আকাশে উড়বে। তারা নিজেদের মধ্যে কানেক্ট হবে। এই ড্রোনগুলো একটি বেজ স্টেশনের মতো কাজ করবে। ভূপৃষ্ঠে যারা থাকবে তাদের নেটওয়ার্ক সুবিধা দেবে। অনেকটা ওয়াইফাই-এর মতো। এটিই হলো তাঁর উদ্ভাবনের কাজের প্রক্রিয়া।
যত চ্যালেঞ্জ
যে কোনো উদ্ভাবন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়। সেই সব চ্যালেঞ্জ সফলভাবে মোকাবিলার পরেই সত্যিকারের সফলতার দেখা মেলে। ইকুইপমেন্ট, ডিজাইন, এআই অটোমেশন, একটি দেশ বা জায়গা কভার করতে কতগুলো ড্রোন লাগবে সেটি ঠিক করা এমন অনেক কিছু নিয়ে সমস্যার মুখে পড়েছেন শাহেন শাহ। তবে বুদ্ধি করে ঠিকই সমাধান বের করে নিয়েছেন। শাহেন শাহ বলেন, ‘তুরস্ক সরকার তাঁর গবেষণা এবং উদ্ভাবনকে গুরুত্ব সহকারে দেখছে। এটি অচিরেই আলোর মুখ দেখবে!’ 
বাংলাদেশেও ব্যবহার সম্ভব
বাংলাদেশে প্রায়ই বন্যা হয়। গত বছর বন্যায় লক্ষ্মীপুর, ফেনীসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল। পুরো নেটওয়ার্ক ভেঙে পড়েছিল। এমন অবস্থায় শাহেন শাহর উদ্ভাবন কাজে লাগানো সম্ভব। শাহেন শাহ বলেন, ‘বাংলাদেশে আমার উদ্ভাবিত নেটওয়ার্ক সচল রাখার ব্যবস্থা কার্যকর করা যাবে। এ জন্য বাড়তি কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। এই নিয়েও আমি কাজ করছি।’ 
যেভাবে গেলেন তুরস্কে
২০০৫ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে জিপিএ ফাইভ পেয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন শাহেন শাহ।  বাংলাদেশের ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশনে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি ইন আইটি এবং বুয়েট থেকে এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ইন আইসিটিতে মাস্টার্স করেন। ২০১৫ সালে তুরস্কের সরকারি বৃত্তি নিয়ে পিএইচডি করতে পাড়ি জমান ইস্তাম্বুলের ইলদিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে। মাঝে দুটি ব্যাংকের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগে কিছুদিন চাকরি করেছিলেন তিনি। 
আনন্দ-বেদনার গল্প
ছোটবেলা থেকে নতুন কিছু করার প্রবল আগ্রহ শাহেন শাহর। তাতে আসুক যত সমস্যা আর জটিলতা। এসব তিনি একদমই ভয় পাননি। এ জন্য জটিল কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারলে তাঁর খুব ভালো লাগে। একটি আবিষ্কার যখন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে কাজের জন্য উপযুক্ত হয় তখন তাঁর আনন্দ দেখে কে। অন্যদিকে ড্রোন যখন সেন্সরজনিত সমস্যার জন্য হুট করে মাটিতে আছড়ে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন তাঁর মনটা বিষাদে ভরে ওঠে। কারণ গবেষণার জন্য টাকা তো একবারই পাওয়া যায়। অবশ্য গবেষণায় পকেটের নানা খরচ করেছেন এমন অনেক ঘটনাই আছে তাঁর জীবনে। গবেষণায় সফল হওয়াটাই তাঁর কাছে সবচেয়ে মুখ্য।
যত অর্জন
শাহেন শাহর অন্যতম আবিষ্কার চালকবিহীন গাড়ি। চালক ছাড়াই অন্য সব গাড়ির মাঝে এই গাড়ি দিব্যি চলতে পারে। তাঁর এই কাজে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল যোগাযোগের বিলম্বের শর্ত পূরণ করতে পারা এবং সময়টা কমিয়ে নিয়ে আসা। এই বিলম্বটাই ১০০ মিলি সেকেন্ডে নামিয়ে আনতে পেরেছিলেন তিনি। এই কাজের জন্য তিনি স্বর্ণপদক পেয়েছেন; যা ২০২১ সালে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ইন্টারন্যাশনাল ইনভেনশন, ইনোভেশন অ্যান্ড টেকনোলজি এক্সিবিশনে (আইটেক্স) দেওয়া হয়। গবেষক হিসেবে শাহেন শাহর নাম স্থান পেয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ গবেষকের নামের তালিকায়। ২০২৩ সাল থেকে আজ পর্যন্ত এই তালিকায় নাম আছে তাঁর । গবেষণার সাইটেশন সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে এই তালিকা তৈরি করে Stanford University and Elsevier। বর্তমানে তিনি আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ার্সের জ্যেষ্ঠ সদস্য।
আগামীর ভাবনা
আগামীর স্বপ্নের কথা জানতে চাইলে শাহেন শাহ বলেন, ‘আগামীতেও এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাই। দেশের প্রয়োজনে যদি কাজ করার সুযোগ হয়, তাহলে অবশ্যই এগিয়ে আসব।’ তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কোন বিষয়ে গবেষণা করলে বেশি আয় করা যাবে, বেশি জনপ্রিয় হওয়া যাবে–নতুন গবেষকদের মধ্যে এমন একটা ঝোঁক দেখা যায়। দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে আমি মনে করি, নিজের যেটি পছন্দ, নিজের যেটি ভালো লাগে সেটি নিয়ে কাজ করা উচিত। তাহলে লক্ষ্য অর্জন সহজ হয়।’ u
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গল প শ হ ন শ হ বল ন ন টওয় র ক স ত রস ক র র জন য ক জ কর ম কম প সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

শাহরুখের ব্যাপারে সাবধান করলেন জুহি চাওলা

বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। অভিনয় গুণে কোটি কোটি ভক্তের হৃদয়ে দোলা দিয়েছেন তিনি। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে যশ-খ্যাতি যেমন পেয়েছেন, তেমনি আয় করেছেন মোটা অঙ্কের অর্থও। রবিবার (২ নভেম্বর) ৬০ বছর পূর্ণ করে একষট্টিতে পা দেবেন এই তারকা।  

অভিনয় ক্যারিয়ারে অনেক নায়িকার সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন শাহরুখ খান। তাদের মধ্যে অন্যতম জুহি চাওলা। ‘রাজু বান গায়া জেন্টলম্যান’, ‘রামজানে’, ‘ডর’, ‘ইয়েস বস’, ‘ডুপ্লিকেট’সহ আরো কিছু জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন এই জুটি। একসঙ্গে অভিনয় ছাড়াও, এই দুই তারকা বাস্তব জীবনে খুবই ভালো বন্ধু। কেবল তাই নয়, ব্যবসায়ীক অংশীদারও তারা। 

আরো পড়ুন:

শাহরুখের অজানা এই সাত তথ্য জানেন?

পাকিস্তানের সন্ত্রাসী তালিকায় সালমান খান কেন?

বন্ধু শাহরুখের জন্মদিন উপলক্ষে হিন্দুস্তান টাইমসের সঙ্গে কথা বলেছেন জুহি। এ আলাপচারিতায় স্মৃতিচারণ তো করেছেনই, পাশাপাশি শাহরুখের বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।  

শাহরুখের সঙ্গে প্রথম পরিচয়ের বিষয়ে জুহি চাওলা বলেন, “আমি যখন প্রথম ‘রাজু বান গায়া জেন্টলম্যান’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হই, তখন সহপ্রযোজক বিবেক ভাসওয়ানি আমাকে বলেছিলেন, ‘আমার নায়ক দেখতে আমির খানের মতো।’ আমি শাহরুখকে দেখে ভীষণ অবাক হয়েছিলাম। দেখি, শাহরুখের চুল চোখের ওপরে নেমে এসেছে। আর সে একেবারেই আমার কল্পনার সেই ‘চকলেট বয়’ নয়! যখন কাজ শুরু করি, তখন বুঝতে পারি, সে একদম নতুন অভিনেতাদের মতো নয়, সে পরিশ্রমী, দিনে তিন শিফটে কাজ করছে।” 

একটি ঘটনা বর্ণনা করে জুহি চাওলা বলেন, “আমার মনে আছে, ‘ইয়েস বস’ সিনেমার শুটিংয়ের সময়, কোনো দৃশ্য ঠিকমতো লেখা না থাকলে পরিচালক আজিজজি (আজিজ মির্জা) বলতেন, ‘শাহরুখ আসুক, সব ঠিক হয়ে যাবে।’ রোমান্স আর মজার মিশেলে থাকা দৃশ্যগুলো আমাদের সবচেয়ে ভালো ছিল। সেই সূত্রেই আমরা অনেকগুলো সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেছি।” 

শাহরুখের পাশে অবস্থান করলে সাবধান থাকার কথার কথা বলেছেন জুহি। হাসতে হাসতে এ অভিনেত্রী বলেন, “শাহরুখের আশেপাশে থাকলে সাবধানে থাকবেন। কারণ সে কথা দিয়ে আপনাকে যেকোনো কিছু করাতে রাজি করিয়ে ফেলতে পারে। ওর কথাবলার ভঙ্গি এমন যে, আপনি ‘না’ বলতেই পারবে না। আমি ‘ডুপ্লিকেট’ সিনেমা করতে চাইছিলাম না, কারণ সেখানে আমার তেমন কিছু করার ছিল না। আমরা তখন আরেকটি সিনেমার শুটিং করছিলাম, আর শাহরুখ আমাকে সিঁড়িতে বসিয়ে দুই ঘণ্টা বোঝায় এবং আমি সিনেমাটিতে চুক্তিবদ্ধ হই। সে আপনাকে যেকোনো কিছু করতে রাজি করাতে পারে, তাই সাবধানে থাকবেন।” 

শাহরুখ খানের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের বিষয়ে জুহি চাওলা বলেন, “অফস্ক্রিনে আমাদের সম্পর্কেও উত্থান-পতন রয়েছে। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা কোনো না কোনোভাবে আমাদের যুক্ত রেখেছেন, এমনকি আইপিএলের মাধ্যমেও। আমাদের বন্ধন কোনো পরিকল্পনার ফল নয়, এটা একেবারেই ভাগ্যের ব্যাপার।” 

শাহরুখ খানের সঙ্গে আইপিএল দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) সহ-মালিক জুহি ও তার স্বামী জয় মেহতা। এই দলের পেছনে জুহি বিনিয়োগ করেছেন ৬২৯ কোটি রুপি। বর্তমানে এই দলটির মূল্য আছে ৯ হাজার ১৩৯ কোটি রুপি। শাহরুখ খানের সঙ্গে ‘রেড চিলিস গ্রুপ’ প্রতিষ্ঠা করেন জুহি। 

১৯৬৫ সালে ২ নভেম্বর ভারতের নয়াদিল্লিতে এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন শাহরুখ খান। তার শৈশবের প্রথম পাঁচ বছর কেটেছে ম্যাঙ্গালুরুতে। শাহরুখের দাদা ইফতিখার আহমেদ স্থানীয় পোর্টের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। যার কারণে সেখানে বসবাস করেন তারা। শাহরুখের বাবার নাম তাজ মোহাম্মদ খান, মা লতিফ ফাতিমা। 

দিল্লির হংসরাজ কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন শাহরুখ খান। তারপর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়াতে গণযোগাযোগ বিষয়ে মাস্টার্সে ভর্তি হন। কিন্তু অভিনয় জীবন শুরু করার কারণে পড়াশোনা ছেড়ে দেন তিনি। তবে বলিউডে ক্যারিয়ার শুরুর দিকে দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা-তে ভর্তি হন এই শিল্পী। 

১৯৯২ সালে ‘দিওয়ানা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন শাহরুখ খান। রোমান্টিক ঘরানার এ সিনেমায় অভিনয় করে নজর কাড়েন তিনি। সিনেমাটিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে সেরা নবাগত অভিনেতা হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন শাহরুখ। 

একই বছর ‘চমৎকার’, ‘দিল আসনা হে’ ও ‘রাজু বান গায়া জেন্টলম্যান’ সিনেমায় অভিনয় করেন শাহরুখ। তার পরের বছর ‘ডর’ ও ‘বাজিগর’ সিনেমায় অভিনয় করে নিজের জাত চেনান শাহরুখ। তার অভিনয়ের জাদুতে মুগ্ধ হন কোটি ভক্ত; পৌঁছে যান সাফল্যের চূড়ায়। তার অভিনয়ের খ্যাতি আরো বাড়তে থাকে যশরাজ ফিল্মসের সিনেমায় ধারাবাহিকভাবে অভিনয় করে। একের পর এক হিট সিনেমা দিয়ে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে অবস্থান করেন শাহরুখ। যদিও তার এই সফলতার জার্নির গল্প মোটেও সহজ ছিল। আর সে গল্প সবারই জানা। 

অভিনয় ক্যারিয়ারে অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন শাহরুখ খান। তার মধ্যে মোট পনেরোবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেছেন তিনি। এর মধ্যে আটবার সেরা অভিনেতা হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। হিন্দি সিনেমায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০০২ সালে তাকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করে ভারত সরকার। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি গ্রহণ করেছেন মোট পাঁচবার। তবে শাহরুখ খানের ৩৩ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে অধরা ছিল জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। চলতি বছর ‘জওয়ান’ সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন শাহরুখ।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ