Samakal:
2025-07-07@22:02:07 GMT

সুযোগ পেলেই হরর সিনেমা দেখেন?

Published: 5th, July 2025 GMT

সুযোগ পেলেই হরর সিনেমা দেখেন?

ভৌতিক বা হরর সিনেমা মানেই টানটান উত্তেজনা, ভয় আর রহস্যের মায়াবী পর্দা ছড়িয়ে থাকা একটি ঘোর। এ ধারার সিনেমার প্রতি আগ্রহী দর্শকের অভাব নেই। তরুণদের কথা নাইবা বললাম! অনেকে তো আজকাল সিনেমা হলে গিয়ে, দল বেঁধে দেখার পাশাপাশি অনেকেই আবার নিজের ঘরে একা একা মাঝরাতে এ ধরনের সিনেমা দেখেন। এই যে ভৌতিক সিনেমা দেখতে বসে ভয়ে জড়সড় হয়ে থাকা, আর ক্ষণে ক্ষণে চিৎকার দিয়ে ওঠা– এর সবটাই কি মজার? এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে আপনার মনোজগতে?
নেচিবাচক প্রভাব: এমন সিনেমা আপনার মনে নেচিবাচক প্রভাব অবচেতনেই জাগিয়ে তোলে। গবেষণায় দেখা গেছে, এ ধরনের সিনেমায় আসক্ত দর্শকরা দিনের আলোতেও মাঝে মধ্যে অজানা আতঙ্কে ভোগেন। রাতে, বিশেষ করে একা ঘুমোতে যাওয়ার পর সে আতঙ্ক যে কোনো মুহূর্তেই প্রকট হয়ে উঠতে পারে। 
যে কাউকে অবিশ্বাস: এর মাত্রা এতই তীব্র হতে পারে যে, পরিচিত মানুষ ও পরিবেশের প্রতিও জেগে উঠতে পারে প্রবল অবিশ্বাস। মনে হতে পারে, চোখের সামনে যা দেখছেন, বস্তুতপক্ষে তা হয়তো অন্যকিছু! 
চেনা জগৎ অচেনা: চেতনে-অবচেতনে আতঙ্কে ভোগা কোনো ভালো খবর নয়। এর প্রভাবে তিলে তিলে নিজের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলতে পারেন আপনি। কোনো কাজে পুরোপুরি মনোনিবেশ করা হয়ে উঠতে পারা দুরূহ। ফলে আপনার চেনা জগৎ খুব দ্রুতই হয়ে যেতে পারে অচেনা; হারাতে পারেন আত্মবিশ্বাস।
ঘুমের ওষুধ: গবেষণা থেকে আরও জানা যায়, ভৌতিক সিনেমার নেতিবাচক প্রভাবে অনেক দর্শকই গুরুতর সব মানসিক রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। কারও কারও আচরণ হয়ে উঠতে পারে ভয়ংকর রকমের আগ্রাসী; আবার স্বাভাবিক বিবেচনাবোধ হারিয়ে কেউ কেউ হয়ে যেতে পারেন আপাদমস্তক উন্মাদ। আতঙ্কে ভোগার এ মানসিক বিপর্যয় কাটাতে কাউকে কাউকে ঘুমের ওষুধ থেকে শুরু করে প্রাণঘাতী নেশায় আসক্ত হতেও দেখা যায়!
ভূতের প্রকট থেকে রেহাই: সাধারণত তরুণ প্রজন্মের মধ্যেই হরর সিনেমা আসক্তির প্রবণতা বেশি। এর প্রভাবে অবিশ্বাস ও মানসিক ভারসাম্যতায় ভর দিয়ে অনেকে হয়ে উঠতে পারেন কুসংস্কারাচ্ছন্ন। তথাকথিত ভূতের প্রকট থেকে রেহাই পেতে, নানা ধরনের তাবিজ-কবজে আশ্রয় নেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।  
নিজের ভূমিকা: হরর ফিল্ম আপনি একদম দেখবেন না; এমন বলছি না। আসলে কোনো আসক্তিই ভালো ফল বয়ে আনে না। শুধু হরর ফিল্মের ওপর নির্ভর না করে, আরও নানা ধরনের সিনেমা থেকে নিতে পারেন বিনোদনের রসদ। তাছাড়া, এ ধরনের সিনেমা একা না দেখাই ভালো। u

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ধরন র স ন ম আতঙ ক আসক ত

এছাড়াও পড়ুন:

সিপিবির ত্রয়োদশ কংগ্রেস শুরু ১৯ সেপ্টেম্বর

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) ত্রয়োদশ কংগ্রেস (কেন্দ্রীয় সম্মেলন) আগামী ১৯ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যেই দলের সব শাখা, উপজেলা ও জেলা সম্মেলন সম্পন্ন করা হবে। গত শুক্র ও শনিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির দু'দিনব্যাপী সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সোমবার দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সভার সিদ্ধান্তগুলো জানানো হয়। 

সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে সভায় দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, করণীয় ও সরকারের সংস্কারবিষয়ক আলোচনা উত্থাপন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক লুনা নূর। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন দলের প্রেসিডিয়াম, কেন্দ্রীয় কমিটি ও কন্ট্রোল কমিশনের সদস্য ও সংগঠকরা।

সভায় সারাদেশে অব্যাহত মব-সন্ত্রাস, খুন-ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের ঘটনা এবং এসব ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জননিরাপত্তায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে বিদ্যমান সংকট উত্তরণে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা এবং গণঅভ্যুত্থানে সংগঠিত হত্যাকাণ্ডের বিচার দৃশ্যমান করার দাবি জানানো হয়। 

সভায় চট্টগ্রাম বন্দর লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসাসহ দেশকে সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যবাদী শক্তির স্বার্থরক্ষার ভূমিকা নেওয়ার সরকারি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়। এ সময় গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি ও ১৮ জুলাই ‘শহীদ রেজভী দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ