প্রথম বায়োমেট্রিক মেটাল ক্রেডিট কার্ড চালু বাংলাদেশে
Published: 5th, July 2025 GMT
ইস্টার্ন ব্যাংক এবং মাস্টারকার্ড যৌথভাবে বাংলাদেশে বায়োমেট্রিক মেটাল ক্রেডিট কার্ড চালু করেছে। এটি বিশ্বে প্রথম এ জাতীয় কার্ড। বাংলাদেশে পেমেন্ট প্রযুক্তি খাতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। ইস্টার্ন ব্যাংক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর শনিবার র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন ঢাকা হোটেলে কার্ডের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। আড়ম্বরপূর্ণ এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর জাকির হোসেন চৌধুরী, কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়াংসিক, নরওয়ের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ফ্রেডরিক কার্লসরাড, ইবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী আলী রেজা ইফতেখার এবং মাস্টারকার্ডের বাংলাদেশ কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মো.
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নতুন কার্ডটিতে সর্বাধুনিক বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশন এবং মেটাল ডিজাইনের সমন্বয় করা হয়েছে, যা গ্রাহকদের উন্নত নিরাপত্তা এবং প্রিমিয়াম অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে। এই কার্ডে পিন বা স্বাক্ষরের কোনো প্রয়োজন হবে না। গ্রাহকদের তথ্য কার্ডে সংরক্ষিত থাকবে এবং ঘরে বসেই একটি হোমকিটের সাহায্যে ফিঙ্গার প্রিন্ট নিবন্ধন করা যাবে। মাস্টারকার্ড আইডেন্টিটি থেফট প্রটেকশন থাকার ফলে এই কার্ড অনলাইনে গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি এবং অপব্যবহার থেকে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত।
এতে আরও বলা হয়, নতুন কার্ডটি ওয়ার্ল্ড এলিট মাস্টারকার্ড পোর্টফোলিওভুক্ত। গ্রাহকরা মাস্টারকার্ড প্রাইসলেস স্পেশাল প্ল্যাটফর্মে একচেটিয়া সুবিধা ভোগ করবেন। এসব প্রিমিয়াম সুবিধার মধ্যে রয়েছে নির্ধারিত বিলাসবহুল হোটেলে ফ্রি এক রাত্রিযাপন, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের বিভিন্ন অভিজাত রেস্টুরেন্টে ফ্রি খাবার, পিজিএ ট্যুর পরিচালিত ৪৬টির অধিক প্রিমিয়াম গলফ ক্লাবে প্রবেশাধিকার, গ্লোবাল রোমিং, বিশ্বের ১ হাজার ৩০০-এর বেশি আন্তর্জাতিক ও ডমেস্টিক এয়ারপোর্ট লাউঞ্জে প্রবেশাধিকার ইত্যাদি। এ ছাড়া সিঙ্গাপুরের সি-লা-ভি ম্যারিনা বে স্যান্ডসে এক্সক্লুসিভে রুফটপ ডাইনিং এবং ১০০ সিঙ্গাপুর ডলারের ভাউচার, ইউনিওয়ার্ল্ড রিভার ক্রুজে ১ হাজার মার্কিন ডলার ছাড়, হার্টজের গাড়ি ভাড়ায় বিশেষ মূল্যছাড়; জিইএইচএ ডিসকভারি, হোটেলাং, উইন্ডহ্যাম রিওয়ার্ডস এবং আই প্রেফার লয়্যালটি প্রোগ্রামে ফাস্ট ট্র্যাক অভিজাত মেম্বারশিপ। গ্রাহকদের সুবিধার্থে একটি ২৪/৭ কনশিয়ার্স সুবিধা সেবা থাকবে– যা ভ্রমণ, রিজারভেশন ইত্যাদিতে সহায়তা করবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম স ট রক র ড
এছাড়াও পড়ুন:
দেশে দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সোনা কেনা বেড়েছে, মে মাসে ২০ টন
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সোনা কেনা বেড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো মে মাসে আরও ২০ টন সোনা কিনেছে। এই পরিমাণ আগের তুলনায় অনেকটা বেশি। খবর ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের।
মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সোনার চাহিদা বেড়েছে। কাজাখস্তানের ন্যাশনাল ব্যাংক মে মাসে সাত টন সোনা কিনেছে। এতে ব্যাংকটির মোট মজুতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৯৯ টন। এ ছাড়া বছরের শুরু থেকে কাজাখস্তানের ন্যাশনাল ব্যাংকের মজুত বেড়েছে ১৫ টন। গোল্ড কাউন্সিল অবশ্য বলছে, সামগ্রিকভাবে সোনা মজুতের গতি কিছুটা শ্লথ হয়েছে।
তুরস্কের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মে মাসে ছয় টন সোনা কিনেছে। এতে চলতি বছর ব্যাংকটির মোট ক্রয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫ টন। চলতি বছর সোনার সবচেয়ে বড় নিট ক্রেতা দেশ পোল্যান্ড। চলতি বছর দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৬৭ টন সোনা কিনেছে। মে মাসে দেশটির ক্রয়ের পরিমাণ ছিল ছয় টন।
চীনের পিপলস ব্যাংক ও চেক রিপাবলিকের ন্যাশনাল ব্যাংক, উভয়ই মে মাসে দুই টন করে সোনা কিনেছে। এ ছাড়া মে মাসে বিক্রির ক্ষেত্রে শীর্ষে ছিল সিঙ্গাপুরের মুদ্রানীতি কর্তৃপক্ষ। তারা পাঁচ টন সোনা বিক্রি করেছে। এরপর উজবেকিস্তান ও জার্মানির ডয়চে বুন্ডেসব্যাক উভয়ই এক টন করে বিক্রি করেছে।
চলতি বছরের হিসাবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় নিট সোনা বিক্রেতা দেশ উজবেকিস্তান। এ সময় দেশটি ২৭ টন সোনা বিক্রি করেছে। সিঙ্গাপুরের বিক্রির পরিমাণ ছিল ১০ টন।
সম্প্রতি প্রকাশিত ‘সেন্ট্রাল ব্যাংক গোল্ড রিজার্ভ সার্ভে ২০২৫’-এ দেখা গেছে, অংশগ্রহণকারী কেন্দ্রীয় ব্যাংকারদের ৪৩ শতাংশ জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে সোনা মজুত বৃদ্ধি করা হবে। এ ছাড়া ৯৫ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, আগামী ১২ মাসে সারা বিশ্বে সরকারি পর্যায়ে সোনা মজুত বাড়বে। অর্থনৈতিক সংকট ও মূল্যস্ফীতির সময়ে বিকল্প সম্পদ ও ঝুঁকি প্রতিরোধী হিসেবে সোনার কার্যকারিতা—এই সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাব ফেলেছে বলে তাঁরা উল্লেখ করেন।
এই মনোভাবই প্রতিফলিত হয়েছে ‘অফিশিয়াল মনিটারি অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস ফোরামের গ্লোবাল পাবলিক ইনভেস্টর ২০২৫ প্রতিবেদনে। ৩২ শতাংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, আগামী ১২ থেকে ২৪ মাসের মধ্যে তারা সোনা মজুদ বাড়াতে চায়।