ঢাকা থেকে ফেরার পথে মাগুরা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গ্রেপ্তার
Published: 20th, May 2025 GMT
মাগুরায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি মীর মেহেদী হাসান। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত একটার দিকে মাগুরা পৌরসভার পারনান্দুয়ালী বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মাগুরা সদর থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হওয়া ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনটি নাশকতার মামলায় আসামি হিসেবে নাম আছে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মীর মেহেদী হাসানের। তিনি ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মাগুরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। এর আগে তিনি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। গ্রেপ্তার এড়াতে আগস্টের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। গতকাল ঢাকা থেকে বাসে মাগুরায় আসছিলেন। রাত একটার দিকে পারনান্দুয়ালী এলাকায় বাস থেকে নামলে পুলিশ তাঁকে আটক করে।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আইয়ুব আলী আজ মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিকদের বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর নামে নাশকতার তিনটি নিয়মিত মামলা আছে। আজ তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
স্বামী-সন্তানের সঙ্গে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন, মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে বাসের চাকায় মৃত্যু নারীর
চট্টগ্রামের পটিয়ায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ার পর বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম ফজিলাতুন নেসা (২৮)। তিনি মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানার মহেশপুর গ্রামের আলিমুজ্জামান সুজনের স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে গতকাল রোববার চট্টগ্রামে বেড়াতে আসেন ফজিলাতুন নেসা। তাঁদের ছয় বছর বয়সী সন্তানও সঙ্গে ছিল। গতকাল চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটের একটি বাসায় তাঁরা রাত্রিযাপন করেন। সকালে সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে তাঁরা বান্দরবানের উদ্দেশে রওনা দেন। আলিমুজ্জামান মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন এবং তাঁর পেছনে ছয় বছর বয়সী সন্তান হুমায়ের হাম্মাদ, এরপর ফজিলাতুন নেসা বসে ছিলেন।
সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার নয়াহাট এলাকায় পৌঁছায় মোটরসাইকেলটি। সেখানে সামনে থাকা একটি লেগুনা হঠাৎ সড়কে থেমে গেলে তাৎক্ষণিক মোটরসাইকেলটির ব্রেক কষেন আলিমুজ্জামান। এ সময় ফজিলাতুননেসা মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। এর পরপরই পেছন থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস ফজিলাতুন নেসাকে পিষ্ট করে। তাঁকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গতকাল রাতে চট্টগ্রাম নগরের যে বাসাটিতে ফজিলাতুন নেসা ছিলেন, সেটি তাঁর স্বামী আলিমুজ্জামানের বন্ধু রবিউল ইসলামের। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রবিউল ইসলামের বোন আশরিফা আহমদ ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ফজিলাতুন নেসার স্বামী নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির কনিষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক। পরিবার নিয়ে পাহাড় দেখতে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন তিনি। বেড়াতে যাওয়ার পথেই স্বামী-সন্তানের সামনে দুর্ঘটনায় তাঁর প্রাণহানি হয়েছে।
পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট ওয়াসিম আরাফাত দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নিহত নারীর লাশ আইনি–প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। লেগুনা ও বাসের চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি।