বছর ঘুরলেই আইফোন-ভক্তরা নতুন মডেলে ভিন্নতার অপেক্ষায় থাকেন। কারণ, আগে থেকেই উৎকণ্ঠা তৈরি হয় নতুন মডেল ঘিরে। অন্যদিকে, আইফোন নির্মাতা অ্যাপল নিজেও সাধ্যমতো পরিবর্তন আনতে কাজ করে।জানা গেছে, নতুন আইফোনে দ্রুতই হিডেন ফেস আইডি, বেজেলহীন ও পাঞ্চ-হোলহীন সুবিধা যুক্ত হচ্ছে না। রিপোর্টে প্রকাশ, উল্লিখিত সুবিধার মডেলের দেখা আপাতত ২০২৬ সালে মিলবে না।
গ্যাজেটস বিশ্লেষক ও ডিসপ্লে সাপ্লাই চেইনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রস ইয়ং আইফোন ডেভেলপ প্রসঙ্গে বলেছেন, বহুল প্রতীক্ষিত ‘হোল-ফ্রি’ আইফোন মডেলের দেখা ভক্তরা সহসাই পাবেন না। সামনের সময়ে আইফোন মডেলে সম্ভাব্য কী কী পরিবর্তন আসছে, তা সদুত্তরে কিছু সুনির্দিষ্ট তথ্য জানা গেছে।
আইফোন যখন বেজেলহীন
২০তম বর্ষপূর্তিতে ২০২৭ সালে অ্যাপল ঝকঝকে তারুণ্যনির্ভর নতুন ডিজাইনের আইফোন আনতে চলেছে– এমন খবর ছড়িয়েছে আগেই। এমন ঘোষণা ভক্তদের মাঝে উন্মাদনা ছড়িয়েছে। জানা গেছে, ভবিষ্যৎ মডেলের ডিসপ্লে হবে প্রায় পুরোপুরি বেজেলহীন। সঙ্গে থাকবে গ্লাস ব্যাক প্যানেল ও রাউন্ডেড ফ্রেম। কিন্তু বাস্তবে মডেলটি কবে
নাগাদ আত্মপ্রকাশ করবে তা নিয়ে সুস্পষ্ট কোনো ধারণা দেয়নি অ্যাপল।
নতুন ডেভেলপ করা আইফোন মডেলে ফেস আইডি সেন্সর ও সেলফি ক্যামেরা পুরোপুরি অ্যামোলেড স্ক্রিনের ভেতরের অংশে চলে যাবে। অর্থাৎ স্ক্রিনে কোনো কাটআউট বা বিশেষ ছিদ্র থাকবে না। আইফোন গবেষক ইয়ং বলছেন, ২০২৬ সালের আগে অ্যাপল পুরোপুরি এমন ধরনের প্রযুক্তির ডিভাইস প্রকাশ করতে পারবে না।
অনেকে বলেছেন, অ্যাপল চাইলে ফেস আইডির কিছু সেন্সর স্ক্রিনের নিচে লুকিয়ে রাখতে পারে। ফলে এখনকার তুলনায় ছোট আকারের পিল-শেপড কাটআউট থাকবে, যদিও তাতে আইফোন অবয়ব পুরোপুরি ছিদ্রমুক্ত হবে না।
আইফোন গবেষক রস ইয়ং বলছেন, ২০২৮ সালের মধ্যে থ্রিডি ফেস রিকগনিশনের প্রয়োজনীয় সব সেন্সর স্ক্রিনের নিচে সরিয়ে নিতে অ্যাপল গবেষক দল বিশেষভাবে কাজ করছে।
জানা গেছে, ২০৩০ সাল অবধি সেলফি ক্যামেরা পাঞ্চ-হোলের ভেতরেই থাকবে। কারণ, আন্ডার ডিসপ্লে ক্যামেরার ছবির মান এখনও প্রত্যাশা
পূরণে সন্তোষজনক মানে পৌঁছায়নি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জাপানে মাস্টার্স ও পিএইচডির সুযোগ, ১-৪ বছর পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা
জাপানে পড়াশোনা করার আগ্রহ থাকতে পারে অনেকের। এ আগ্রহে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য দারুণ এক সুযোগ নিয়ে এসেছে দেশটির হোনজো ফাউন্ডেশন। এ ফাউন্ডেশনের হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ ২০২৬-এ আবেদন শুরু হয়েছে। এই মর্যাদাপূর্ণ জাপানি বৃত্তির মাধ্যমে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া যাবে। এতে রয়েছে আংশিক অর্থায়নের বৃত্তির পাশাপাশি মাসিক ভাতা, যা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে সাহায্য করবে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য এই আন্তর্জাতিক বৃত্তি মূলত তাঁদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার লক্ষ্যেই প্রদান করা হয়। পাশাপাশি এটি জাপান এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করতে সাহায্য করবে।
হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপের উদ্দেশ্য—১৯৯৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর জাপানের শিক্ষা মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে হোনজো ফাউন্ডেশনকে আন্তর্জাতিক বৃত্তি সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এটি প্রতিষ্ঠা করেন টাউন লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা মাসানরি হোনজো। তিনি ফাউন্ডেশনের প্রাথমিক মূলধন হিসেবে ২০ কোটি ইয়েন নগদ অর্থ এবং তাঁর প্রতিষ্ঠানের ১০ লাখ শেয়ার দান করেন এ বৃত্তির জন্য। হোনজো ফাউন্ডেশন উন্নয়নশীল দেশের সেই সব শিক্ষার্থীকে সাহায্য করে, যাঁরা ভবিষ্যতে নিজেদের দেশকে উন্নয়নের পথে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবেন। পাশাপাশি জাপানি শিক্ষার্থীরাও বিদেশে পড়াশোনার জন্য এ বৃত্তি পেয়ে থাকেন, যা বৈশ্বিক সংযোগ ও আন্তর্জাতিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
আবেদনে যোগ্যতার শর্ত
হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তির জন্য আবেদনকারীদের নিচের শর্তগুলো পূরণ করতে হবে—
—জাপান ব্যতীত সব দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
—আবেদনকারীকে ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে শুরু হওয়া কোনো গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে বা ভর্তির পরিকল্পনা থাকতে হবে।
—বর্তমান শিক্ষার্থী, যাঁরা এখনো ভর্তি হননি বা কর্মরত, তাঁরাও আবেদন করতে পারবেন, যদি তাঁরা এপ্রিল ২০২৬-এ ভর্তি হওয়ার পরিকল্পনা করেন।
—যাঁরা ২০২৫ সালের শরৎকালীন সেমিস্টারে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁরাও এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
—প্রফেশনাল গ্র্যাজুয়েট স্কুলে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা সাধারণত যোগ্য নন, তবে বৈধ গবেষণা পরিকল্পনা জমা দিতে পারলে তাঁরা আবেদন করতে পারবেন।
বয়সসীমা—পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩৫ বছর।
—মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩০ বছর।
—পড়াশোনা শেষ করার পর নিজ দেশের উন্নয়নে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে।
—আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রতি আগ্রহী হতে হবে এবং ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও অ্যালামনাই নেটওয়ার্কে অংশগ্রহণ করতে হবে।
—দৈনন্দিন কথোপকথনের মতো জাপানি ভাষায় কথা বলার দক্ষতা থাকতে হবে, কারণ, সাক্ষাৎকার কেবল জাপানি ভাষায় হবে।
বৃত্তির সুবিধা
হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তি শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাপক আর্থিক ও একাডেমিক সহায়তা প্রদান করে:
১। পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ।
২। মাসিক ভাতা।
—১ বা ২ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার ইয়েন।
—৩ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ১০ হাজার ইয়েন।
—৪ বা ৫ বছরের কোর্সের জন্য ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন।
—জাপানে যাওয়ার জন্য ট্রাভেল গ্র্যান্ট দেওয়ার সুযোগ থাকতে পারে।
—আর্থিক দুশ্চিন্তা ছাড়াই পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ।
—জাপানের সংস্কৃতিময় জীবনযাত্রা উপভোগের পাশাপাশি পড়াশোনার সুযোগ।
—বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্লোবাল নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার সুযোগ।
হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তিতে শিক্ষার্থীরা পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ পাবেন এবং পাবেন মাসিক ভাতা।