গরমে আরামদায়ক শার্ট
গরমে আরামে থাকা এবং ফ্যাশনেবল এই দুইকে চিন্তায় রেখে কে ক্র্যাফট নিয়ে এসেছে কমফোর্টেবল ক্যাজুয়াল শার্টের বৈচিত্র্যময় আয়োজন; যা তরুণদের তো বটেই, যে কোনো বয়সী পুরুষকে দিনভর ব্যস্ততায় স্বাচ্ছন্দ্যে থাকার পাশাপাশি দেবে ক্যাজুয়ালি ক্লাসি লুক।
অতি গরমে আজকাল অনেক অফিসে ড্রেস কোডের বাধ্যবাধকতা থাকে না। সে ক্ষেত্রে অনায়াসেই বেছে নেওয়া যেতে পারে ক্যাজুয়াল শার্ট। প্রিমিয়াম কটন, জ্যাকার্ড কটন এবং ভয়েলের মতো আরামদায়ক কাপড়ে তৈরি শার্টগুলো পরে অফিস ছাড়াও ক্যাজুয়াল আর সেমিফরমাল লুকে পার্টি, ডে আউট বা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় দিন কিংবা রাত হোক রিলাক্সড থাকা যাবে সব সময়।
বেশির ভাগ শার্ট সাদা এবং হালকা শেডের ওপর প্রিন্ট করা। ডিজাইনিংয়ে মানানসই জিওম্যাট্রিক, ট্রপিক্যাল, ট্রাইবাল, টেরাকোটা ছাড়াও আরও অন্যান্য প্রিন্টের ব্যবহার হয়েছে, যা সংগ্রহে রাখার মতো। ডেনিম জিন্স, ফরমাল প্যান্ট অথবা চিনোসের সঙ্গেও ভালো মানিয়ে যাবে।
আরামদায়ক, ফ্যাশনেবল এবং সাধ্যের মধ্যে থাকবে এমনই ক্যাজুয়াল শার্টের কালেকশন এখন কে ক্র্যাফটের সব শোরুম ছাড়াও অনলাইন শপ থেকে অর্ডার করা যাবে। শার্টগুলো মিলবে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায়।
সায়েন্সল্যাবে লা রিভের ফ্ল্যাগশিপ স্টোর চালু
দেশের শীর্ষস্থানীয় ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড লা রিভ উদ্বোধন করল তাদের তৃতীয় বৃহত্তর ফ্ল্যাগশিপ স্টোর। সম্প্রতি ঢাকার অন্যতম ব্যস্ত ও কেন্দ্রীয় এলাকা সায়েন্সল্যাব মোড়, প্লট নম্বর ২৮/এ, হোল্ডিং নম্বর ১, ধানমন্ডি-২-এ এক উৎসবমুখর পরিবেশে ফ্ল্যাগশিপটি উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী আয়োজনে লা রিভের লয়্যাল মেম্বার ও কাস্টমারদের সঙ্গে প্রধান নির্বাহী পরিচালক মন্নুজান নার্গিস, রিভ গ্রুপের চেয়ারম্যান এম রেজাউল হাসান, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান এবং লা রিভের ডিজাইনার ও সহকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। লা রিভের প্রধান নির্বাহী পরিচালক মন্নুজান নার্গিস বলেন, ‘গ্রাহকদের ভালোবাসা ও চাহিদা থেকেই আমরা ধানমন্ডি এলাকায় আরও বড় পরিসরে ফ্ল্যাগশিপ স্টোরটি চালু করেছি। শপিং যেন শুধুই কেনাকাটা না হয়ে এক ধরনের আনন্দময় অভিজ্ঞতা হয়ে ওঠে, এ লক্ষ্য নিয়ে এই নতুন স্টোরের পরিকল্পনা করা হয়েছে।’ নতুন এ স্টোরে এখন চলমান রয়েছে লা রিভের সামার কালেকশন, রেইনি ডে কিউরেশন এবং এক্সক্লুসিভ নার্গিসাস কালেকশন। প্রতিটি বিভাগে মিলছে আরাম, আধুনিকতা আর ফ্যাশনের চমৎকার মিশেল। নারী, পুরুষ, কিশোর ও শিশুদের জন্য থাকছে ট্রেন্ডি স্টাইল, সিজন উপযোগী কাপড় আর রঙের বৈচিত্র্য। ধানমন্ডি-২-এর সায়েন্সল্যাব মোড়ে অবস্থিত এ নতুন স্টোরটিতে শুধু পোশাকই নয়, পাওয়া যাবে দৃষ্টিনন্দন হোম ডেকোর ও লাইফস্টাইল অ্যাকসেসরিজের সংগ্রহ। v
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ য শন
এছাড়াও পড়ুন:
শহীদ সুমাইয়া ও রিয়া গোপের পরিবারের খোঁজ নিলেন উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিতে শহীদ পোশাককর্মী সুমাইয়া ও ছয় বছরের শিশু রিয়া গোপের পরিবারের খোঁজখবর নিয়েছেন সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের নয়ামাটি এলাকায় রিয়া গোপের বাড়িতে এবং বেলা সাড়ে ১১টায় সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি নতুন মহল্লায় সুমাইয়ার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এ সময় তিনি রিয়ার মা বিউটি ঘোষ এবং সুমাইয়ার মা আসমা বেগমের সঙ্গে কথা বলেন। উপদেষ্টা তাঁদের খোঁজখবর নেন এবং সান্ত্বনা দেন।
সুমাইয়ার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে শারমীন মুরশিদ বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, রাষ্ট্র তাঁদের পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত করতে চায়। আমরা জানতে চাই, তাঁদের পরিবার কেমন আছে, কী সংকটে আছে। আমাদের মন্ত্রণালয়ের আওতায় থাকা সুযোগ-সুবিধাগুলো কীভাবে শহীদ পরিবারের কল্যাণে কাজে লাগানো যায়, তা দেখতে চাই। শিশুদের যেন ঠিকভাবে বড় করা যায় এবং একটি নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা যায়।’
শারমীন মুরশিদ বলেন, ‘শহীদ ১১ নারীকে নিয়ে নারী ও শিশু মন্ত্রণালয় একটি গবেষণাধর্মী সংকলন প্রকাশ করবে। আমরা আমাদের মেয়েদের হারিয়ে যেতে দেব না। মেয়েদের অনেক বীরত্বগাথা আছে, কিন্তু সেগুলো সামনে আসে না। আমাদের দায়িত্ব, এই ইতিহাসকে সংরক্ষণ করা।’
পরিবারগুলোতে ভাতা–সংক্রান্ত জটিলতা আছে উল্লেখ করে শারমীন মুরশিদ বলেন, ‘রাষ্ট্রের একটি স্পষ্ট ভাবনা আছে। শহীদদের শিশুকে এবং তাকে লালনপালনকারী অভিভাবককে আমরা প্রাধান্য দিতে চাই। সেই সঙ্গে পরিবারের যেসব সদস্য হকদার, তাদেরও যেন অবহেলা না হয়। আমরা প্রশাসনের মাধ্যমে ন্যায্যতার ভিত্তিতে কাজ করছি। কোনো ভুল হলে সাংবাদিকদের কাছে অনুরোধ, তারা যেন আমাদের চোখ খুলে দেন।’
জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ডের বিচারপ্রক্রিয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শারমীন মুরশিদ বলেন, ‘আমাদের দেশে কোনো কিছু দ্রুত হয় না। কিন্তু এটাও ঠিক, ২৪ জুলাইকে কেন্দ্র করে আমরা আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিয়ে, আইনি সংস্কার এনে নিজস্ব ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দ্রুত বিচার কার্যক্রম শুরু করেছি। এর চেয়ে দ্রুত করা সম্ভব নয়। তাড়াহুড়া করতে গেলে ন্যায়বিচার বিঘ্নিত হতে পারে। আমরা চাই, বিচার হোক সময় নিয়ে, যাতে কোনো ভুল না হয়। অন্যায় হলে তা সংশোধন করাও আমাদের দায়িত্ব। সাংবাদিকদের বলব, সমালোচনা করুন, তবে সমাধানের দিকটাও দেখান।’
এ সময় শারমীন মুরশিদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আল মেহেদী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির আহ্বায়ক নিরব রায়হান প্রমুখ।