সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ৪ প্রস্তাব অনুমোদন
Published: 20th, May 2025 GMT
বিভিন্ন অঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্তকরণ ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, ব্রিজ ও কালভার্ট মেরামতের জন্য সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ৪টি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।এতে মোট ব্যয় হবে ৪৩৮ কোটি ৭৬ লাখ ২৬ হাজার ৯৫৭ টাকা।
মঙ্গলবার (২০ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড.
সভা সূত্রে জানা গেছে, ‘ভুলতা-আড়াইহাজার-বাঞ্ছারামপুর-নবীনগর-শিবপুর-রাধিকা আঞ্চলিক মহাসড়ক ও সরাইল নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর ডব্লিউপি-৩ এর পূর্ত কাজের পুনঃদরপত্র আহ্বানের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রকল্পের পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৪টি দরপত্র জমা পড়ে।তার মধ্যে ২টি দরপ্রস্তাব কারিগরিভাবে রেসপনসিভ বিবেচিত হয়। সর্বনিম্ন দরদাতা ওয়াহিদ কন্সট্রাকশন-এর ৩৪৩ কোটি ২৬ লাখ ২৭ হাজার ৫৮০ টাকার দরপ্রস্তাব টিইসির সুপারিশকৃত হলেও ই-জিপি পোর্টালে অযোগ্য ঘোষিত হওয়ায় প্রধান প্রকৌশলী পুনঃদরপত্রের সুপারিশ করেন।পরবর্তীতে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ দেন।কিন্তু বর্ণিত রেসপনসিভ ২টি দরদাতা প্রতিষ্ঠানের কেউ দরপত্রের বৈধতার মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাবে সম্মত না হওয়ায় পুনঃদরপত্র আহ্বানের প্রস্তাবে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলে কমিটি অনুমোদন দিয়েছে।
আরো পড়ুন:
জাহাজ শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশের সঙ্গে এমওইউ করতে চায় আলজেরিয়া
যারা একটি দলের প্রতিনিধির কাজ করেছে, তাদের পদত্যাগ করতে হবে: ইশরাক
সভায়, ‘২০২২ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ সড়ক বিভাগাধীন বিভিন্ন সড়ক, সেতু ও কালভার্টগুলোর জরুরি পুনর্বাসন ও পুনঃনির্মাণ’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর ডব্লিউপি-১৫ এর পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রকল্পের পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৫টি দরপত্র জমা পড়ে।এর মধ্যে ৪টি দরপ্রস্তাব কারিগরিভাবে রেসপনসিভ বিবেচিত হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে মুস্তফা জামান ট্রেডার্স প্রা.লি.; মেসার্স মুস্তফা কামাল এবং মেসার্স ইডেন প্রাইস প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে মোট ব্যয় হবে ১৪২ কোটি ৮০ লাখ ৭৪ হাজার ১২২ টাকা।
সভায়, ‘২০২২ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ সড়ক বিভাগাধীন বিভিন্ন সড়ক, সেতু ও কালভার্টসমূহের জরুরি পুনর্বাসন ও পুনঃনির্মাণ’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর ডব্লিউপি-১৬ এর পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রকল্পের পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৮টি দরপত্র জমা পড়ে। তার মধ্যে ৫টি দরপ্রস্তাব কারিগরিভাবে রেসপনসিভ বিবেচিত হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে মীর হাবিবুল আলম এবং মাহবুব ব্রাদার্স প্রা. লি. প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে মোট ব্যয় হবে ১৫৩ কোটি ১৪ লাখ ৭৮ হাজার ৭১৩ টাকা।
সভায় ‘ফেনী (মোহাম্মদ আলী বাজার)-ছাগলনাইয়া-করেরহাট সড়ক প্রশস্তকরণ এবং ফেনী নদীর ওপর শুভপুর সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর ডব্লিউপি-৫ এর পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রকল্পের পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৭টি দরপত্র জমা পড়ে। তার মধ্যে ৪টি দরপ্রস্তাব কারিগরিভাবে রেসপনসিভ বিবেচিত হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান মনিকো লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১৩৯ কোটি ৬২ লাখ ১৭ হাজার ৫৮৭ টাকা।
ঢাকা/হাসনাত/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এর প র ত ক জ র দরপত র র স ত র সপনস ভ সড়ক ব ভ গ সড়ক প
এছাড়াও পড়ুন:
চীন থেকে এলো ১৯ হাজার ডেঙ্গু শনাক্তকরণ কম্বো কিট
চীন থেকে ১৯ হাজার ডেঙ্গু শনাক্তকরণ কম্বো কিট দেশে পৌঁছেছে। এসব কিট আরও কার্যকরভাবে ডেঙ্গু শনাক্ত করবে। এসব কিটে একসঙ্গে এনএস১, আইজিজি ও আইজিএম পরীক্ষা করা যাবে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাড়ে ১০টায় রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে চীন সরকারের দেওয়া ডেঙ্গু কম্বো কিট গ্রহণ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা.মো. সায়েদুর রহমান দাবি করেন, দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি বলেন, ডেঙ্গুর হটস্পটগুলোতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, অ্যাম্বুলেন্স ও ডায়াগনস্টিক কিট পাঠানোসহ সব ধরনের সহযোগিতা অতিদ্রুত পাঠাচ্ছে। এমনকি আজকে চীন সরকার যে কিট ডেঙ্গু কিট দিলো সেটিও তারই অংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফরের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের ডেপুটি মিশন চিফ লিউ ইউইন। ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, ডেঙ্গুর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভেক্টর প্রোগ্রাম। প্রাথমিক এই শনাক্তকরণ প্রোগ্রাম যখনই ব্যর্থ হতে থাকে অথবা মৌসুম পরিবর্তনের কারণে হাসপাতালে রোগী বেড়ে যায়। এজন্য যে উৎসগুলোর কারণে এই পরিস্থিতি হচ্ছে সেখানে নজর দিতে হবে। যার যার দায়িত্ব তিনি তা পালন করলে শুধুমাত্র চিকিৎসা নিয়ে উদ্বেগ পোহাতে হবে না। তবে ডেঙ্গু এখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তিনি বলেন, মুগদা হাসপাতালসহ আমরা বেশকিছু সুযোগ-সুবিধার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। রোগী বেড়ে গেলে হয়তো কিছুটা কঠিন হবে। তবে যেসব নির্দেশনা সাধারণ মানুষকে পালনের জন্য দেওয়া হয়েছে, তা করতে পারলে রোগী ব্যবস্থাপনা সহজ হবে।
বিশেষ সহকারী বলেন, ‘বর্তমানে ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জাসহ চারটি ভাইরাসের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। যার কারণে অনেকে সাধারণ রোগ ভেবে বাসায় থাকছেন। দেরিতে হাসপাতালে আসায় চিকিৎসা জটিল হচ্ছে। আমরা মনে করি, শনাক্তকরণ কিট যথেষ্ট আছে। তারপরও সংকটের কিছু থাকলে আমরা সংগ্রহের ব্যবস্থা করছি। তবে সবার আগে দরকার সচেতনতা। উপসর্গ থাকলে পরীক্ষা করা ও চিকিৎসকের সহায়তা নেওয়া।’
সাইদুর রহমান বলেন, ‘বিগত সময়ে স্বাস্থ্যখাত কখনও অগ্রাধিকারে ছিল না, কখনও পাঁচে স্থান পায়নি। অন্তর্বর্তী সরকার স্বাস্থ্যকে সব জায়গায় গুরুত্ব দিচ্ছে। সেটি শুধু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নয়, আন্তর্জাতিক যেকোনো পর্যায়ে আলোচনায় হচ্ছে। তার অংশ হিসেবে চীন সরকার ডেঙ্গুর কিট দিয়েছে। এটি সহযোগিতার ছোট্ট একটা অংশমাত্র। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরও দৃশ্যমান হবে। এটি শুধু কতকগুলো কিট, ভ্যাকসিনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা রূপান্তরের জন্য যে অবকাঠামো ও নীতিগত সম্প্রাসারণ দরকার, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। এগুলো অল্প সময়ে দৃশ্যমান হয় না। তাদের সঙ্গে বড় ধরনের হাসপাতাল, ইলেক্ট্রো মেডিকেল ইক্যুইপমেস্ট প্ল্যান, ভ্যাকসিন সক্ষমতা গড়ে তোলা, রোবটিক্স যন্ত্রসহ নানা বিষয়ে সহযোগিতার আলোচনা চলছে।